কানাডায় পড়াশোনা: কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
কানাডায় পড়াশোনার ইচ্ছা প্রায় সকলেরই থাকে। কেননা এই দেশটিতে রয়েছে উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থাপনা। আর তাই অনেকেই জানতে ইচ্ছুক– কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে।
তো আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন এবং কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে এ টু জেড জানতে চান তাহলে আমাদের আজকের আলোচনার শেষ পর্যন্ত থাকুন। কারণ আজ আমরা কানাডায় উচ্চ শিক্ষা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য শেয়ার করব, যেগুলো আপনার জন্য সাহায্যকারী।
বিদেশ যাওয়ার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম
কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
কানাডায় স্কলারশিপ পেতে একাধিক উপায় রয়েছে। আর তাই নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করে কানাডায় স্কলারশিপ পেতে পারেন আপনি। যথা:-
১. বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে: কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে অনেক স্কলারশিপ প্রদান করে। যেমন, কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেবে বিদেশি ছাত্রদের স্কলারশিপ অনুদান প্রদান করা হয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োগশালা স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
২. সরকারি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম: কানাডা সরকার বিভিন্ন দেশের ছাত্রদের জন্য স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালায়। আর এই স্কলারশিপ প্রোগ্রাম গুলো মূলত বিভিন্ন সময় আয়োজিত হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি কানাডা সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ফলো করতে পারেন তাহলে সর্বশেষ আপডেট গুলো পেতে পারেন এবং সরকারি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম কবে কখন কোন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সেই সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারেন।
৩. প্রায়োগিক এবং প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রাম: কিছু প্রায়োগিক ও প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রাম রয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীদের ক্ষমতা এবং দক্ষতা পরীক্ষা করা হয়। আর এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি নিজেকে একজন দক্ষ স্টুডেন্ট হিসেবে তুলে ধরতে পারেন পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় জিতে অর্জন করতে পারেন কানাডার স্কলারশিপ।
৪. ব্যক্তিগত স্কলারশিপ: কিছু প্রায়োগিক এবং প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রাম ছাড়াও, অনেক ব্যক্তিগত স্কলারশিপ প্রদান করা হয়এই দেশটিতে। আর এই স্কলারশিপগুলি আপনি বিভিন্ন প্রায়োগিক প্রোগ্রামে অ্যাপ্লাই করে যথাযথ যোগ্যতা পূরণ করার মাধ্যমে অর্জন করতে পারেন।
৫. অন্যান্য স্কলারশিপ ডেটাবেস: কানাডা অনেক স্কলারশিপ ডেটাবেস রয়েছে, যেখানে আপনি বিভিন্ন স্কলারশিপের তথ্য পেতে পারেন। এগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে সরকারি এবং গেরাজি ওয়েবসাইট গুলো অনুসন্ধান করুন।
তবে অবশ্যই মনে রাখবেন, সময়ের সাথে বিভিন্ন স্কলারশিপ এবং প্রোগ্রামের প্রয়োজনীয় যোগ্যতা পরিবর্তিত হতে পারে, তাই আপনি সর্বদা সরকারি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পর্যালোচনা করুন এবং স্কলারশিপের জন্য আবেদন পত্র পাঠিয়ে দিন নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে।
তবে হ্যাঁ, আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা জেনে রাখা জরুরী। তাই নিজের পয়েন্টটি পড়ার মাধ্যমে জেনে নিন কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা
আপনি যদি কানাডার স্কলারশিপ পেতে চান অথবা কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা সংগ্রহ করতে চান তাহলে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদনের যোগ্যতা গুলো পূরণ করতে হবে। সেগুলো হলো–
১. প্রশিক্ষণের নির্দিষ্ট লক্ষ্য: প্রথমেই, আপনাকে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রাপ্ত করার জন্য কানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ে অথবা কলেজে প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে ভর্তি হতে হবে। এটি প্রায় একটি প্রমুখ কারণ, যা একজন বিদেশী ছাত্রকে কানাডায় আসার জন্য যোগ্য করে তোলে।
মনে রাখবেন এক্ষেত্রে একাডেমিক ফলাফল অবশ্যই আপনার তুলনামূলক ভালো হতে হবে, যেটা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের থেকে আপনাকে আলাদা হিসেবে প্রাধান্যতা পাইয়ে দেবে।
২. ব্যাংক স্টেটমেন্ট: কানাডায় পড়াশোনা করার জন্য আপনার অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা থাকতে পারে। আপনি অনেক ক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিগত অর্থায়ন বা স্কলারশিপ প্রাপ্ত করতে পারেন।
তবে প্রমাণ করতে হবে যে– আপনার পড়াশোনার জন্য পর্যাপ্ত টাকা রয়েছে এবং আপনি টোটাল টিউশন ফি খুব সহজেই পূরণ করতে পারবেন। মানে আপনাকে স্কলারশিপ ভিসার জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে যেটা প্রমাণ করবে কানাডায় পড়াশোনা করার জন্য আপনার কাছে পর্যাপ্ত তহবিল রয়েছে।
৩. স্বাস্থ্য পরীক্ষা: আমরা সবাই জানি এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে হলে মেডিকেল রিপোর্ট ঠিকঠাক থাকার প্রয়োজন পড়ে। তবে এই নিয়ম বাইরের প্রত্যেকটি দেশে নির্ধারণযোগ্য নয়।
তবে আপনি যদি কানাডা যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। কেননা কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রাপ্ত করার জন্য এই প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা বাধ্যতামূলক।
৫. ইংরেজি ভাষা দক্ষতা: ইংরেজি ভাষা দক্ষতা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রাপ্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখে। আর এটা আমরা সবাই জানি– বর্তমানে ইংরেজির কদর অনেক।
এছাড়াও কানাডায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে একটি ইংরেজি ভাষা দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হতে পারে। যেমন ধরুন– IELTS বা TOEFL পরীক্ষা। তাই অবশ্যই ইংরেজি ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে আপনার মাঝে। আর এটা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবশ্যক।
পাশাপাশি আপনি যদি বাংলাদেশে কোন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জড়িত না থাকেন তাহলে পুলিশের অনুমতি পত্র জোগাড় করতে হবে এবং সেটা কারণটা স্কলারশিপ ভিসায় আবেদনের সময় জমা দিতে হবে।
তবে আপনি যদি এ ব্যাপারে আরো ভালোভাবে জানতে চান তাহলে আপনার স্থানীয় কানাডা দূতাবাস বা কানাডা মাইগ্রেশন অফিসে যোগাযোগ করুন। কেননা সেখান থেকে আপনি প্রয়োজনীয় তথ্য এবং স্কলারশিপ পাওয়ার মাধ্যম গুলোর সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।।
আবেদন করতে কী কী প্রয়োজন হবে
কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতাগুলো যদি আপনার মাঝে থেকে থাকে তাহলে নিচে উল্লেখিত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহ করার মাধ্যমে আপনি আবেদন করতে পারবেন। মানে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন হবে সেগুলো হলো:-
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
- শিক্ষাগত যোগ্যতার নম্বর পত্র
- এসওপি
- প্রত্যয়ন পত্র
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর নথিপত্র
- আই এলটিএস বা টোফেল পরীক্ষার রেজাল্ট পত্র
- পুলিশের অনুভূতি পত্র এবং
- জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন।
কখন আবেদন করতে হয়
এখন কথা হচ্ছে কানাডায় উচ্চশিক্ষা পাওয়ার জন্য যে স্কলারশিপ পেতে ইচ্ছুক সেটাতে আবেদন করতে হয় কখন! কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে ভর্তির সঠিক সময় কখন?
কানাডায় স্কলারশিপ এর জন্য আবেদনের সময়সীমা সম্পর্কে বিশেষ নির্দেশাবলী রয়েছে, যা স্কলারশিপের প্রকার, উদ্দেশ্য, এবং প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের নির্দেশিকা উপর ভিত্তি করে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। তাই এসম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে হলে, আপনার আবেদনের উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট বা অফিসিয়াল সাইট এর সর্বশেষ আপডেট গুলো অনুসরণ করা প্রয়োজন।
তবে হ্যাঁ কানাডাতে মূলত
- সরকারী স্কলারশিপ,
- বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ,
দেয়া হয়ে থাকে। আর এই স্কলারশিপ গুলোর জন্য আবেদনের সময়সীমাও ভিন্ন হতে পারে। কেননা আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠান আলাদা আলাদা সময়ে শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদান করে।
তবে অধিকাংশ সময় সরকারী স্কলারশিপের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণভাবে অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে শুরু হয়, কিন্তু এটি অন্যান্য স্কলারশিপের জন্য প্রযোজ্য নয়। আবার কিছু স্কলারশিপের জন্য আবেদন মেয়াদ থেকে থাকে এপ্রিল, মে, জুন, জুলাই ইত্যাদি মাসে।
আর তাই আবেদনের সময়সীমা জানার জন্য, আপনি কানাডার সরকারি স্কলারশিপের জন্য ‘Canada Government Scholarships’ বা আপনার পছন্দসই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপের জন্য ‘Scholarships at [University Name]’ এই ধরনের কুয়েরি সার্চ করতে পারেনগুগল ক্রম ব্রাউজারে। যেমন:-
- কানাডায় স্কলারশিপ,
- কানাডায় পড়াশোনা,
- Study in Canada,
- Scholarships in Canada,
- Canada student visa ইত্যাদি লিখে।
অতঃপর সাজেস্ট কৃত ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদনের সময়সীমা ও আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। এবার আসুন জেনে নেই কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে কত টাকা খরচ পড়ে সে সম্পর্কে।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ মোটামুটি ১৫০ কানাডিয়ান ডলার, যেটা বাংলাদেশের হিসাবে ১১ হাজার ৭০০ টাকা। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডায় যেতে চান তাহলে স্টুডেন্ট ভিসা ফি বাবদ মোটামুটি পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা খরচ পড়বে।
কানাডায় পড়াশোনা করতে প্রতিমাসে আপনাকে কানাডিয়ান ডলার দুই হাজার খরচ করতে হবে যেটা বাংলাদেশের টাকায় ১,৫৬০০০ টাকা। তবে হ্যাঁ প্রতিষ্ঠানের ধরন এর ওপর ভিত্তি করে খরচের পরিসীমাটা কিছুটা কম অথবা বেশি হতে পারে।
তাই প্রত্যেকটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বলা যায় কানাডায় পড়াশোনা করতে একাডেমিক খরচ প্রতি বছরে কানাডিয়ান ডলার ৫০০০ থেকে ৩০ হাজার খরচ পড়বে।
তবে হ্যাঁ, আপনি যদি যোগ্য হয়ে থাকেন এবং আপনার স্ত্রী থেকে থাকে তাহলে কানাডায় পড়াশোনা করার পাশাপাশি কোন কর্মেও নিযুক্ত হতে পারবেন। কেননা ওই বৃষ্টিতে স্নাতক ডিগ্রি শেষ হওয়ার পর প্রচুর কাজের সুযোগ পাওয়া যায় যেগুলো অনেক হাই লেভেলের এবং বেতনের অ্যামাউন্ট অনেক বেশি।
তো আপনি যদি চান যে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী হয়েও কানাডায় পড়ে নিজের একটি সুন্দর ক্যারিয়ার করতে তাহলে এখনই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন উক্ত দেশটিতে। আর হ্যাঁ বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য কানাডায় পড়ার সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন বিষয় হচ্ছে–
- ইঞ্জিনিয়ারিং
- ফার্মেসি
- এগ্রিকালচার
- নার্সিং
- ব্যবসা ব্যবস্থাপনা
- অর্থনীতি
- কম্পিউটার বিজ্ঞান
- সাংবাদিকতা
- ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট সহ প্রভৃতি।
কানাডায় পড়াশোনা কি নিজের টাকায় করতে হয়?
দেখুন আপনি নিজের দেশেই হোক অথবা বাইরের দেশে অবশ্যই পড়াশোনা করতে হলে আপনাকে নিজের টাকাতেই করতে হবে এটা স্বাভাবিক। তবে আপনি যদি কানাডায় স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন তাহলে এক্ষেত্রে পড়াশোনার খরচটা বৃত্তির টাকাতেই সম্পন্ন করতে পারবেন।
কেননা আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি দেওয়া হয় মোটামুটি $১৪০০০ ডলার। আবার দুই বছরের দুইবার $১৪০০০ বৃত্তি প্রদানের পাশাপাশি মাস্টার্স প্রোগ্রাম সম্পন্ন করার পরবর্তীতে আরো দেওয়া হয় $২৮,০০০ ডলার।
অতএব, আপনি মূলত বৃত্তি/স্কলারশিপের টাকায় নিজের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারবেন। তবে ব্যক্তিগত খরচ সেটা সম্পূর্ণভাবে আপনার নিজেকেই জোগাড় করতে হবে। তাই পড়াশোনা কি নিজের টাকায় করতে হয় যারা এ ধরনের প্রশ্ন করেন তাদেরকে বলব– হ্যাঁ কানাডা সহজে কোন দেশে যদি আপনি পড়াশোনা করতে চান তাহলে সেটা নিজের টাকাতেই করতে হয়।
তবে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা থাকার কারণে আপনি উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে পারেন এবং ভালো একটা চাকরির সম্ভাবনা থেকে থাকে আপনার ক্যারিয়ার জীবনে।
তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, কানাডায় পড়াশোনা কানাডায় স্কলার্শিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কিত আলোচনার ইতি টানছি এখানেই। পরবর্তীতে আবারো নতুন টপিকে নতুন কোন আলোচনায় আপনাদের সাথে দেখা হবে কথা হবে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।