বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা কোনটি এবং এর ইতিহাস
বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা কোনটি এবং এর ইতিহাস কি? বর্তমানে বাংলাদেশে আটটি বিভাগের অন্তর্গত ৬৪ টি জেলা রয়েছে। তবে ১৯৭১- এ বাংলাদেশ সরকারের এই জেলার সংখ্যা ছিল মাত্র ১৯ টি। অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন– বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা কোনটি এবং এর ইতিহাস কি? আজকের আলোচনার মাধ্যমে আমরা মূলত এ বিষয়টি জানবো।
যারা বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা কোনটি তা জানতে চান এবং নির্ভুল উত্তর প্রদানের জন্য এর ইতিহাস ও বিস্তারিত ব্যাখ্যা চান তাদেরকে বলবো, আমাদের আজকের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ুন। কেননা, বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা কোনটি এই নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।
মূলত, কেউ বলে থাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা মেহেরপুর আবার কেউ বলে থাকে নারায়ণগঞ্জ। আজকের আলোচনায় এই দুইটি জেলার আয়তনের ও জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে আপনাদেরকে জানাবো কোন জেলা সবচেয়ে ছোট এবং এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
আরো পড়ুনঃ বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ কোনটি?
বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা কোনটি?
বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা নারায়ণগঞ্জ। তাই পরীক্ষার খাতায় বা সাধারণ জ্ঞানের যেকোনো প্রশ্নে আপনি নিঃসন্দেহে উত্তর দিতে পারেন যে– বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলার নাম হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ, যা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা জেলার অংশ। বর্তমান সময়ে এ জেলাটি মূলত ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক জেলা হিসেবে সুপরিচিত।
এক নজরে দেখুন
সবচেয়ে ছোট জেলা নারায়ণগঞ্জ কেন?
যেহেতু অনেকের ধারণা মেহেরপুর বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা, তাহলে স্বাভাবিকভাবে আপনি বলতেই পারেন নারায়ণগঞ্জ কেন ছোট ছেলেদের মধ্যে অবস্থান করছে। মূলত আয়তনের হিসেবে নারায়ণগঞ্জ হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা। কেননা মেহেরপুরের আয়তন ৭১৬.০৮ বর্গ কিলোমিটার। এটি ০৩টি উপজেলা, ০৩টি থানা, ০২টি পৌরসভা (১টি ’ক’ শ্রেণীর, ১টি ‘খ’ শ্রেণীর), ১৮টি ইউনিয়ন, ১৯৯টি মৌজা, ২৫৯টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। এর উপজেলাসমূহের নাম- মেহেরপুর সদর, মুজিবনগর ও গাংনী উপজেলা।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার মোট আয়তন ৬৮৪.৩৫ বর্গ কিলোমিটার। এই জেলা রাজধানী ঢাকা থেকে দক্ষিণ পূর্বে ২৩°৩৩’ থেকে ২৩°৫৭’ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°২৬’ থেকে ৯০°৪৫’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এর জেলা পূর্বে – ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা, পশ্চিমে – ঢাকা, উত্তরে – নরসিংদী ও গাজীপুর এবং দক্ষিণে – মুন্সীগঞ্জ জেলা দ্বারা বেষ্টিত।
আর আপনারা যদি উপরের ইমেজটি লক্ষ্য করেন তাহলে বুঝতেই পারছেন যে বাংলাদেশে আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে ছোট জেলা নারায়ণগঞ্জ এবং জনসংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে ছোট জেলা বান্দরবান।
বাংলাদেশের জেলা সমূহের তালিকা
ইতিমধ্যে আমরা আপনাদেরকে জানিয়েছি বাংলাদেশের মোট ৬৪টি জেলা রয়েছে। তাই যারা জেলার নাম, বিভাগ, প্রতিষ্ঠা সাল, জনসংখ্যার হার এবং আয়তন জানতে চান তারা নিচের চার্ট টি অনুসরণ করুন।
মানচিত্র | জেলা | বিভাগ | প্রতিষ্ঠিত | জনসংখ্যা(হাজার)[১] | আয়তন(বর্গকিমি)[১] |
বরগুনা জেলা | বরিশাল | ১৯৮৪ | ৯২৮ | ১৮৩১ | |
বরিশাল জেলা | বরিশাল | ১৭৯৭ | ২৪১৫ | ২৭৮৫ | |
ভোলা জেলা | বরিশাল | ১৯৮৪ | ১৯৪৬ | ৩৪০৩ | |
ঝালকাঠি জেলা | বরিশাল | ১৯৮৪ | ৭১০ | ৭৪৯ | |
পটুয়াখালী জেলা | বরিশাল | ১৯৬৯ | ১৫৯৬ | ৩২২১ | |
পিরোজপুর জেলা | বরিশাল | ১৯৮৪ | ১২৭৭ | ১৩০৮ | |
বান্দরবান জেলা | চট্টগ্রাম | ১৯৮১ | ৪০৫ | ৪৪৭৯ | |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা | চট্টগ্রাম | ১৯৮৪ | ২৯৫৪ | ১৯২৭ | |
চাঁদপুর জেলা | চট্টগ্রাম | ১৯৮৪ | ২৫১৪ | ১৭০৪ | |
চট্টগ্রাম জেলা | চট্টগ্রাম | ১৬৬৬ | ৭৯১৩ | ৫২৮৩ | |
কুমিল্লা জেলা | চট্টগ্রাম | ১৭৯০ | ৬০০৩ | ৩০৮৫ | |
কক্সবাজার জেলা | চট্টগ্রাম | ১৯৮৪ | ২৩৮২ | ২৪৯২ | |
ফেনী জেলা | চট্টগ্রাম | ১৯৮৪ | ১৪৯৬ | ৯২৮ | |
খাগড়াছড়ি জেলা | চট্টগ্রাম | ১৯৮৩ | ৬৩৯ | ২৭০০ | |
লক্ষ্মীপুর জেলা | চট্টগ্রাম | ১৯৮৪ | ১৭৯৮ | ১৪৫৬ | |
নোয়াখালী জেলা | চট্টগ্রাম | ১৮২১ | ৩২৩২ | ৪২০২ | |
রাঙ্গামাটি জেলা | চট্টগ্রাম | ১৯৮৩ | ৬২০ | ৬১১৬ | |
ঢাকা জেলা | ঢাকা | ১৭৭২ | ১২৫১৮ | ১৪৬৪ | |
ফরিদপুর জেলা | ঢাকা | ১৮১৫ | ১৯৮৯ | ২০৭৩ | |
গাজীপুর জেলা | ঢাকা | ১৯৮৪ | ৩৫৪৮ | ১৮০০ | |
গোপালগঞ্জ জেলা | ঢাকা | ১৯৮৪ | ১২১৮ | ১৪৯০ | |
কিশোরগঞ্জ জেলা | ঢাকা | ১৯৮৪ | ৩০২৯ | ২৬৮৯ | |
মাদারীপুর জেলা | ঢাকা | ১৯৮৪ | ১২১২ | ১১৪৫ | |
মানিকগঞ্জ জেলা | ঢাকা | ১৯৮৪ | ১৪৪৭ | ১৩৭৯ | |
মুন্সীগঞ্জ জেলা | ঢাকা | ১৯৮৪ | ১৫০৩ | ৯৫৫ | |
নারায়ণগঞ্জ জেলা | ঢাকা | ১৯৮৪ | ৩০৭৪ | ৭০০ | |
নরসিংদী জেলা | ঢাকা | ১৯৮৪ | ২৩১৫ | ১১৪১ | |
রাজবাড়ী জেলা | ঢাকা | ১৯৮৪ | ১০৯১ | ১১১৯ | |
শরীয়তপুর জেলা | ঢাকা | ১৯৮৪ | ১২০২ | ১১৮২ | |
টাঙ্গাইল জেলা | ঢাকা | ১৯৬৯ | ৩৭৫০ | ৩৪১৪ | |
বাগেরহাট জেলা | খুলনা | ১৯৮৪ | ১৪৬১ | ৩৯৫৯ | |
চুয়াডাঙ্গা জেলা | খুলনা | ১৯৮৪ | ১১২৩ | ১১৭৭ | |
যশোর জেলা | খুলনা | ১৭৮১ | ২৭৪২ | ২৫৬৭ | |
ঝিনাইদহ জেলা | খুলনা | ১৯৮৪ | ১৭৫৬ | ১৯৬১ | |
খুলনা জেলা | খুলনা | ১৮৮২ | ২২৯৪ | ৪৩৯৪ | |
কুষ্টিয়া জেলা | খুলনা | ১৯৪৭ | ১৯৩৩ | ১৬০১ | |
মাগুরা জেলা | খুলনা | ১৯৮৪ | ৯১৩ | ১০৪৯ | |
মেহেরপুর জেলা | খুলনা | ১৯৮৪ | ৬৫২ | ৭১৬ | |
নড়াইল জেলা | খুলনা | ১৯৮৪ | ৭১৫ | ৯৯০ | |
সাতক্ষীরা জেলা | খুলনা | ১৯৮৪ | ১৯৭৩ | ৩৮৫৮ | |
জামালপুর জেলা | ময়মনসিংহ | ১৯৭৮ | ২২৬৫ | ২০৩২ | |
ময়মনসিংহ জেলা | ময়মনসিংহ | ১৭৮৭ | ৫০৪২ | ৪৩৬৩ | |
নেত্রকোণা জেলা | ময়মনসিংহ | ১৯৮৪ | ২২০৭ | ২৮১০ | |
শেরপুর জেলা | ময়মনসিংহ | ১৯৮৪ | ১৩৩৪ | ১৩৬৪ | |
বগুড়া জেলা | রাজশাহী | ১৭৪৫ | ৩৩৭০ | ২৯২০ | |
জয়পুরহাট জেলা | রাজশাহী | ১৯৮৪ | ৯০৯ | ৯৬৫ | |
নওগাঁ জেলা | রাজশাহী | ১৯৮৪ | ২৫৭৬ | ৩৪৩৬ | |
নাটোর জেলা | রাজশাহী | ১৯৮৪ | ১৬৯৬ | ১৮৯৬ | |
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা | রাজশাহী | ১৯৮৪ | ১৬৪৭ | ১৭০৩ | |
পাবনা জেলা | রাজশাহী | ১৮৩২ | ২৪৯৭ | ২৩৭২ | |
রাজশাহী জেলা | রাজশাহী | ১৭৭২ | ২৫৭৩ | ২৪০৭ | |
সিরাজগঞ্জ জেলা | রাজশাহী | ১৯৮৪ | ৩০৭২ | ২৪৯৮ | |
দিনাজপুর জেলা | রংপুর | ১৭৮৬ | ৩৩০০ | ৩৪৩৮ | |
গাইবান্ধা জেলা | রংপুর | ১৯৮৪ | ২৩৪৯ | ২১৭৯ | |
কুড়িগ্রাম জেলা | রংপুর | ১৯৮৪ | ২০৫০ | ২২৯৬ | |
লালমনিরহাট জেলা | রংপুর | ১৯৮৪ | ১২৪৯ | ১২৪১ | |
নীলফামারী জেলা | রংপুর | ১৯৮৪ | ১৮২০ | ১৫৮০ | |
পঞ্চগড় জেলা | রংপুর | ১৯৮৪ | ৯৮১ | ১৪০৫ | |
রংপুর জেলা | রংপুর | ১৭৬৯ | ৩১৬৬ | ২৪০৮ | |
ঠাকুরগাঁও জেলা | রংপুর | ১৯৮৪ | ১৩৮০ | ১৮১০ | |
হবিগঞ্জ জেলা | সিলেট | ১৯৮৪ | ২০৫৯ | ২৬৩৭ | |
মৌলভীবাজার জেলা | সিলেট | ১৯৮৪ | ১৯০২ | ২৭৯৯ | |
সুনামগঞ্জ জেলা | সিলেট | ১৯৮৪ | ২৪৪৩ | ৩৬৭০ | |
সিলেট জেলা | সিলেট | ১৭৮২ | ৫৩১৬ | ৩৪৯০ |
বাংলাদেশে নারায়ণগঞ্জ জেলার অবস্থান
✓ স্থানাঙ্ক: ২৩°৩৬′ উত্তর ৯০°৩০′ পূর্ব
✓ দেশ বিভাগ: বাংলাদেশ ঢাকা বিভাগ
✓ আসন: ০৫
✓ সরকার জেলা প্রশাসক: মোঃ জসিম উদ্দিন
✓ মোট আয়তন: ৬৮৩.১৪ বর্গকিমি (২৬৩.৭৬ বর্গমাইল
✓ মোট জনসংখ্যার + জনঘনত্ব: ২৯,৪৮,২১৭ • ৪,৩০০/বর্গকিমি (১১,০০০/বর্গমাইল)
✓ প্রশাসনিক বিভাগের কোড- ৩০ ৬৭
✓ ওয়েবসাইট:www.narayanganj.gov.bd
বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা নারায়ণগঞ্জ এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা জানা গেছে, সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ নামের কোন নগরী বা জেলার অস্তিত্ব বাংলার মানচিত্রে ছিল না। পূর্বে সোনারগাঁও ছিল প্রাচীন বাংলার রাজধানী। মূলত মুসলিম আমলের সোনারগাঁও নামের উদ্ভব প্রাচীন সুবর্ণগ্রামকে কেন্দ্র করে। পরবর্তীতে কিছু অঞ্চলে মুসলিম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারণে ঢাকা নগরের অভ্যুদয়ের পূর্ব পর্যন্ত সময়কাল দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গের প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিল সোনারগাঁও।
চতুর্দশ শতাব্দীর প্রায় প্রথম দিকে এই সোনারগাঁও অঞ্চল নিজেদের দখলে নিয়ে পরবর্তীতে লখনৌতি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যার ফলে হিন্দু রাজত্বের অবসান ঘটে। তারপর ক্ষমতায় আসেন বাদশাহ শাহু গিয়াস উদ্দিন। সময়টা ছিল ১৩২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ। তারপর ১৩২৪ সালের দিকে গিয়াসউদ্দীন তুঘলক বাংলা অধিকার করে সাতগাঁও, লখনৌতি ও সোনারগাঁ- এই তিনটি প্রশাসনিক অংশ বা ইউনিটে বিভক্ত করেন।
পরবর্তীতে জানা যায়, ১৩৩৮ থেকে ১৩৫২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সোনারগাঁ ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন রাজ্যের রাজধানীর মর্যাদা লাভ করে। বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান ফখরুদ্দিন মোবারক শাহই সোনারগাঁয়ের শাসনকর্তা বাহরাম খানের সাহায্যকারী ছিলেন। ১৩৩৮ খ্রিষ্টাব্দে সুলতানের মৃত্যু ঘটলে দিল্লী হতে নতুন শাসনকর্তা নিয়োগে বিলম্ব হলে তিনি নিজেই বিদ্রোহ ঘোষণা করে সোনার গাঁ রক্ষার অধিকার ডায়েল করেন।
মূলত ১৩৫২ খ্রিস্টাবের দিকে সোনারগাঁও দখলে নেবার পরবর্তীতে সেখান থেকে জারি করা হয় মুদ্রা। এভাবে ক্রমবর্ধমান ধারায় ধীরে ধীরে এক একজন রাজত্ব অর্জন করতে থাকে। আপনারা যারা ইতিহাস সম্পর্কে নিয়মিত পড়েন তারা নিশ্চয়ই জানবেন মুঘল আমলের পূর্বে খিজিরপুর, কদমরশুল ও মদনগঞ্জ বাণিজ্যিক অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক নদী বন্দর ছিল। পলাশীর যুদ্ধে বাংলার শেষ নবাবের পরাজয়ের পর ইংরেজরা দল বেঁধে এই অঞ্চলে আসতে থাকে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে।
সে সময় পাট লবণও বিভিন্ন ধরনের খাবার মশলার জন্য বিশ্ব বিখ্যাত ছিল এই স্থানটি। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আগমনের সঙ্গে সঙ্গে শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম পাড়ের গুরুত্ব বাড়তে থাকে। কেন না সেসেসময় বাণিজ্যের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌকা ও নদী। কিন্তু পরবর্তীতে সেখানে এক নিম্ন জলাভূমি ভরাট করে গড়ে তোলা হয় ঘরবাড়ি। আর সেই জায়গাটা মূলত খিজিরপুর নামে পরিচিত ছিল কিন্তু অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে খিজিরপুর নাম বদলে নতুন নামকরণ করা হয়। স্থানটি সকলের কাছে পরিচিতি পায় নারায়ণগঞ্জ হিসেবে।
যেহেতু সময় পরিবর্তনশীল এবং সময়ের সাথে সাথে সব কিছুরই বদল ঘটে, তাই এক পর্যায়ে আমাদের আজকের নারায়ণগঞ্জ জেলা সেই পূর্বকালীন সময়ে খিজিরপুর নামে পরিচিত ছিল। যারা ইতিহাস সম্পর্কে জানতে ভালোবাসেন পড়ে থাকেন নিয়মিত তারা অবশ্যই নারায়ণগঞ্জের ইতিকথা সম্পর্কে জানবেন।
পরিশেষে: তো প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা কোনটি এবং এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরে আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আজ এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।