ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
|

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও ডেঙ্গু জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখার ঘরোয়া চিকিৎসা

মানুষের শরীরে গত দুই দশক ধরে আশঙ্কা জনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে, ডেঙ্গু জ্বর। এটি এমন এক প্রকারের জ্বর, যা মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। অনেকেই আমরা ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে জানি না।

ডেঙ্গু জ্বর কেন হয়, ডেঙ্গু জ্বর হলে কি কি লক্ষণ প্রকাশ পায়, যখন একজন মানুষের শরীরে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ প্রকাশ পাবে তখন কি কি সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরী এবং ডেঙ্গু রোগীকে কখন হাসপাতালে নিতে হবে, এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে, বলা যায় ডেঙ্গু রোগীদের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। তাই নিজে এবং পরিবারের সদস্যসহ আশেপাশের মানুষকে এ ব্যাপারে সতর্ক করতে অবশ্যই আপনার আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়া উচিত।

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভাল এবং সুস্থ আছেন। সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও ডেঙ্গু জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখার ঘরোয়া চিকিৎসা সংক্রান্ত আমাদের আজকের আর্টিকেলের আলোচনা পর্বে। তাই যারা ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও ডেঙ্গুজ্বর থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, তারা আজকের এই আর্টিকেল স্কিপ না করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

আরো পড়ুনঃ রোজা রেখে রক্তদান | রোজা রেখে রক্ত দিলে কি হয়

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও ডেঙ্গু জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখার ঘরোয়া চিকিৎসা

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ এবং ডেঙ্গু জ্বর থেকে মুক্তির ঘরোয়া চিকিৎসা বা আরো বিস্তারিত জানার পূর্বে প্রথমত আপনার ডেঙ্গু জ্বর কি, ডেঙ্গু জ্বর কাকে বলে, ডেঙ্গু জ্বরের কারণ বা উপসর্গ কি ইত্যাদি এ বিষয়ে ধারণা অর্জন করাটা জরুরী। তাই ডেঙ্গু জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখার ঘরোয়া চিকিৎসা আলোচনা করার পূর্বে আমরা ধারাবাহিকভাবে আপনাদের ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে অবগত করব।

তাই বিষয়টি সম্পূর্ণ ভালোভাবে বুঝতে স্টেপ বাই স্টেপ ডেঙ্গুজ্বর সম্পর্কে জেনে নিন। আশা করছি আমাদের দেওয়া এই সতর্কবার্তা আপনাদের ডেঙ্গু জ্বরের মতো একটি আতংকজনক রোগকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে। সো লেটস স্টার্টেড।

ডেঙ্গু জ্বর কি?

ডেঙ্গু জ্বর হলো একটি ভাইরাস জনিত জ্বর। যে জ্বর টি মূলত জুলাই থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে অধিক বেশি হয়ে থাকে। ডেঙ্গু হলো, একটি মশা বাহিত রোগ।। অ্যাডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয়।

কেননা স্ত্রী এডিস মশা যখন আমাদের শরীরে কামড় দেয় তখন তার মুখের লালা থেকে এক ধরনের ভাইরাস আমাদের দেহে প্রবেশ করে এবং সেটা সংক্রমণের মাধ্যমে ডেঙ্গু জীবাণু আমাদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। আর এটা থেকেই সৃষ্টি হয় ভাইরাসজনিত সংক্রমিত এই রোগের।

মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এই ডেঙ্গু একটি বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার আবির্ভাব ঘটে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চল এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকার শহরগুলোতে। এ পরবর্তীতে এটা ধীরে ধীরে পুরো বিশ্বের ছড়িয়ে পড়ে। জানলে অবাক হবেন, এই ডেঙ্গুর কারণে প্রতিবছর প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষ মারা যায়।

ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ বা কারণ

ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ হচ্ছে এডিস মশা। স্ত্রী অ্যাডিস মশার কারণে মানুষের শরীরে ডেঙ্গুর জীবাণু প্রবেশ করে। আবার ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে যদি কোন মশা রক্ত শুষে নেয় এবং পরবর্তীতে কোন সুস্থ মানুষের শরীরে রক্ত শুষে নেওয়ার উদ্দেশ্যে কামড় দেয় তাহলেও ওই ব্যক্তি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হবে। কেননা এটি একটি সংক্রমণজনিত রোগ।

ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ বা কারন মূলত এডিস মশা। যা আমাদের জীবনে ডেঙ্গু নামক আতঙ্ককে নিয়ে আসে এবং এর সংখ্যাকে ক্রমাগত বৃদ্ধি করে। এখন কথা হচ্ছে, আমাদের শরীরে যদি ডেঙ্গু রোগের আবির্ভাব ঘটে তাহলে আমরা কিভাবে বুঝব? সেই মুহূর্তে কি কি লক্ষণ প্রকাশ পাবে? আসুন পরবর্তী ধাপে এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ

ডেঙ্গু রোগের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। তাই যদি কখনো আপনার মনে হয় যে আপনি দীর্ঘদিন যাবত জরে ভুগছেন তাহলে এই লক্ষণগুলো আপনার মধ্যে রয়েছে কিনা সেগুলো মিলিয়ে দেখতে পারেন। আর হ্যাঁ অবশ্যই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াটা জরুরী। মূলত আপনার শরীরে যদি ডেঙ্গু রোগের আবির্ভাব ঘটে তাহলে লক্ষণ হিসেবে যা যা প্রকাশ পাবে সেগুলো হলো।

  • হঠাৎ প্রচন্ড জ্বর
  • তীব্র মাথাব্যথা
  • ক্লান্তি বা বমি বমি ভাব
  • চোখের পিছনে ব্যথা অনুভব
  • পেশী ও অস্থিসন্ধিতে গুরুতর ব্যথা
  • তোকে ফুসকুড়ি ওঠা
  • না অথবা মাড়ি দিয়ে হালকা রক্তপাত
  • জোরে তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে গিয়ে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট।
  • রিৎ স্পন্দন হার ও রক্তচাপ কমে যাওয়া
  • ত্বকে গোলাপি Rass বের হওয়া
  • ঘাড় এবং কুচকির লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া
  • যার দুই থেকে চার দিন বা তার অধিক সময় দীর্ঘস্থায়ী হওয়া
  • শরীরের তাপমাত্রা খুব দ্রুত হ্রাস পাওয়া আবার বৃদ্ধি পাওয়া।
  • মুখমণ্ডল ব্যতীত সারা শরীরে চুলকানি অনুভব
  • হাতের তালু অথবা পায়ের তালু উজ্জ্বল লাল অনুভব অথবা ফোলা ভাব
  • রক্তনালীর কোন ক্ষতি এবং কর্মক্ষমতা হ্রাস
  • ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে যাওয়া পুনরায় আবার ফিরে আসা
  • মাথা ঘোরা এবং অরুচি ভাব।

মূলত আপনার মাঝে যদি বেশি সংখ্যক এই লক্ষণগুলো থাকে তাহলে ধরা চলে যে আপনি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হতে দেরি না করে খুব শীঘ্রই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন।

ডেঙ্গু জ্বরের সময়সীমা

ডেঙ্গু জ্বরের সময়কাল হচ্ছে জুলাই থেকে অক্টোবর মাস। এ সময় মূলত পুরো বিশ্বে ডেঙ্গু রোগের সম্ভাবনা অধিকারের বৃদ্ধি পায়। আর এর অন্যতম কারণ হচ্ছে বছরের জুলাই এবং আগস্ট মাসের দিকে এডিস মশার বিস্তার ঘটে। তবে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে যে ডেঙ্গু জ্বরের সময় কাল নাকি আরো কিছুটা এগিয়ে এসেছে। আর তাই এখন জুলাই বা অক্টোবর মাসের জন্য এই রোগটি হওয়া অপেক্ষা করছে না মূলত জুন মাস থেকেই ডেঙ্গু জ্বরের সময় শুরু হয়ে যাচ্ছে। তাই অবশ্যই এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হবার কোনরকম সম্ভাবনা থাকলে অতি দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে সবাই অনেক বেশি আগ্রহী। কিন্তু দুঃখজনক কথা হচ্ছে ডেঙ্গু সংক্রমণের চিকিৎসার কোনরকম সুনির্দিষ্ট ঔষধ নেই। তবে আপনি যদি কিছু প্রতিরোধ এবং প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তাহলে আপনি ডেঙ্গু নামক আতঙ্কের থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

তবে ডেঙ্গু রোগে যদি আপনি বা আপনার নিকটস্থ কেউ আক্রান্ত হয়ে পড়ে তাহলে লক্ষণগুলোকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে। এই সময় শরীরে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। তাই ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা এবং স্বাস্থ্যকর পানীয় খাবার খাওয়াটা অধিক বেশি জরুরী।

মোট কোথায় ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা মূলত ঘরোয়া পরিবেশেই সম্পূর্ণ করতে হয়। এক্ষেত্রে মূলত আপনি নিশ্চিত হওয়ার জন্য চিকিৎসকের কাছে যাবেন এবং তাদের পরামর্শ গুলো গ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু বাকি কাজটা আপনাকে বাড়িতেই করতে হবে। তাই যারা ডেঙ্গু জ্বরের সঠিক চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তারা অবশ্যই ধৈর্য সহকারে নিচের পয়েন্ট গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কেননা এ পর্যায়ে আমরা ডেঙ্গু জ্বর থেকে মুক্তির ঘরোয়া কিছু প্রতিকার সম্পর্কে অবগত করব।

ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলে আপনার শরীরে যদি তার লক্ষণ প্রচন্ড মাত্রায় ফুটে ওঠে তাহলে ডেঙ্গুর ঘরোয়া চিকিৎসা খুব দ্রুত গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে মূলত আপনাকে যা যা করতে হবে সেগুলো হলো:

  • পান করতে হবে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং তরল জাতীয় খাবার অধিক পরিমাণে খেতে হবে।
  • শরীরে যাতে হাইড্রেটেড সমস্যা না থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
  • প্রচন্ড পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে এবং ঘুমাতে হবে।
  • পেয়ারার শরবত খেতে পারেন ডেঙ্গু রোগ থেকে পরিত্রাণের জন্য।
  • মেথি বীজ ভিজিয়ে এক মগ গরম পানি ঠান্ডা করে তা পান করতে পারেন।
  • নিম পাতার রস ডেঙ্গুচর থেকে মুক্তির একটি অন্যতম উপায়
  • ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে পুদিনা পাতার রস বেশ কার্যকরী
  • ডেঙ্গু উপশমের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ বার্লি চা
  • ডেঙ্গু জ্বরের বিরুদ্ধে কাজ করে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। তাই এই সময় ভালো ভালো খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • পেঁপে পাতার জুস খেতে পারেন একটি পরীক্ষায় প্রমাণিত ডেঙ্গু জ্বরের বিরুদ্ধে কাজ করে পেপে পাতার জুস

এছাড়াও খেতে পারেন গিলয় জুস। কেননা গিলয় আয়ুর্বেদিক ওষুধে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত এক প্রকার ভেষজ উদ্ভিদ, সংস্কৃত ভাষায় যার নাম অমৃত; অর্থ অমরত্বের শিকড়। গিলয়ের শিকড় গুঁড়ো করে বা স্যুপে সিদ্ধ করে খাওয়া হয়। ডেঙ্গু জ্বর প্রতিকারে গিলয় জ্যুসের বেশ খ্যাতি আছে। এটি বিপাকে সাহায্য করে এবং অনাক্রম্যতা তৈরি করে।

ডেঙ্গু রোগের ওষুধ

ইতোমধ্যে আমরা আপনাদেরকে জানিয়েছি ডেঙ্গু রোগের কোন ওষুধ নেই। এটা থেকে বাঁচতে হলে মূলত আপনাকে আপনার শরীরে যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পাবে তার বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। যেমন ডেঙ্গু জ্বর হলে প্রচন্ড মাথা ব্যথা করে এবং ঘন ঘন জ্বর আসে। তাই মাথা ব্যথা কমানোর জন্য মূলত আপনার শরীরে যাতে ডিহাইড্রেশন না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে জ্বরকে সম্পূর্ণ সারিয়ে ফেলার।

এক্ষেত্রে আপনি পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন, বিভিন্ন টক জাতীয় বা জ্বরের বিরুদ্ধে কাজ করে এমন ফলফলাদি খেতে পারেন সেই সাথে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে পারেন। মূলত চিকিৎসকের কাছে গেলেও ডেঙ্গু জ্বরের থেকে বাঁচার জন্য পরামর্শ হিসেবে তারা এগুলোই আপনাদেরকে বলবে।

ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়

ডেঙ্গু জ্বর হলে প্রথমত আপনাকে ঘরোয়াভাবে তা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে হবে। আর কখন হাসপাতালে যেতে হবে এ ব্যাপারটা মূলত আপনার অবস্থানের উপর নির্ভর করবে। কেননা কিছু কিছু ডেঙ্গু রোগী রয়েছেন যাদের অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তাই সে সময় অবশ্যই হাসপাতালে যেতেই হবে। মূলত ডেঙ্গু জ্বরের তিনটি ধরন বা ক্যাটাগরি রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে:

  • বি
  • সি

বেশিরভাগ মানুষ এ ক্যাটাগরির হয়ে থাকে যে সব রোগীরা স্বাভাবিক থাকে। তাই তাদের হাসপাতালে ভর্তি হবার কোন প্রয়োজন নেই। মূলত বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম নিলে এবং পরিমিত সুষম খাবার গ্রহণ করলে প্লাস কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলেই ডেঙ্গু রোগের হাত থেকে মুক্তি মিলবে। 

আর যদি বি ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে কোন রোগী তাহলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ গুরুতর ভাবে দেখা দেবে যেমন:

  • প্রচন্ড পেট ব্যথা
  • বমি
  • জন্মগত সমস্যা
  • কিডনি অথবা লিভারের সমস্যা
  • অন্তঃসত্ত্বা
  • ডায়াবেটিস জনিত কিছু সমস্যা।

আবার সি ক্যাটাগরির ডেঙ্গু জ্বরের যদি কেউ আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে অবশ্যই হাসপাতালে নিতে হবে কেননা এর অবস্থানটা খুবই খারাপ। এতে মূলত লিভার কিডনি এবং মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। তাই রোগীর অবস্থানের উপর নির্ভর করে চিন্তা ভাবনা করুন তাকে হাসপাতালে নিতে হবে কিনা। সব সময় চেষ্টা করুন সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার।

ডেঙ্গু জ্বর হতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

আলোচনার এ পর্যায়ে জানব ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে। সুতরাং আপনি কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ডেঙ্গুর হাত থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন সেই উপায় গুলোই তুলে ধরবো নিচের পয়েন্ট গুলোতে। তাহলে আসুন জেনে নেই ডেঙ্গু জ্বর হতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উপায় বা পদ্ধতি সমূহ।

  • ডেঙ্গু জ্বরের হাত থেকে বাঁচতে বর্ষার মৌসুমে বাড়ির ভেতরে ও মশা নিরোধক ব্যবহার করা।
  • সব সময় চেষ্টা করা মশারি টাঙিয়ে শোবার।
  • সন্ধ্যার আগে ঘরের জানালা বা দরজা লাগিয়ে দেওয়া।
  • ঘরের বাইরে বেরোলে লম্বা হাটা শার্ট লম্বা প্যান্ট এবং পায়ে মোজা পড়ে পুরো শরীর ঢেকে রাখার চেষ্টা করা।
  • মশার বংশবৃদ্ধির সম্ভাব্য জায়গা গুলো ধ্বংস করে ফেলা।
  • বাড়ির আশেপাশের সব সময় পরিষ্কার রাখা এবং কোন কিছুতে পানি জমে থাকলে সেগুলো ফেলে দেওয়া।
  • আশেপাশের মানুষদের এ ব্যাপারে অবগত করা এবং সচেতনতা তৈরি করা।
  • পরিবারের কেউ যদি ডেঙ্গু জুড়ে আক্রান্ত হয় তাহলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কে মশা কামড় থেকে রক্ষা করার জন্য বিশেষভাবে সতর্ক থাকা। 

পরিশেষে: ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও ডেঙ্গুজ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কিত আমাদের আজকের প্রবন্ধটি এখানেই শেষ করছি। তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। সেই সাথে যদি শিশুদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে কি কি করণীয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে ভিজিট করতে পারেন- ক্লিক করুন এই লিংকে। 

আজ এখানেই শেষ করছি। তো সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং নিয়মিত এমন গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলের নোটিফিকেশন সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাবস্ক্রাইব বা নোটিফিকেশন বাটনটি অন করে রাখবেন। সবাইকে আল্লাহ হাফেজ।।

Similar Posts

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *