ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড
|

ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম

ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম, ভোটার স্লিপ অথবা ভোটার নাম্বার দিয়ে অনলাইনে আইডি কার্ড বের করার প্রসেস সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। কেননা যারা নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য ইতোমধ্যে আবেদন করেছেন এবং যাদেরকে ইতিমধ্যে নির্বাচন অফিস থেকে ভোটার স্লিপও প্রদান করা হয়েছে, তাদের নিশ্চয়ই এই প্রসেস টা জেনে রাখা জরুরী।

কারণ বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের এনআইডি কার্ড অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। আর তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে NID Card Download করতে পারবেন ফরম নাম্বার, ভোটার স্লিপ নাম্বার বা ভোটার নাম্বার ব্যবহার করে। আসুন খুব সহজ মাধ্যমে জেনে নেই ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়মাবলী সম্পর্কে।

জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করবেন যেভাবে

ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম

ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম সম্পর্কে জানলে যে কেউ তার প্রয়োজনের সময় কোথাও না গিয়ে শুধুমাত্র ঘরে বসে নিজের মোবাইল ফোনটা ব্যবহার করার মাধ্যমে আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। আর এমন সুযোগ বহুদিন পূর্বেই চালু হয়েছে বাংলাদেশে। আর আমরা সবাই জানি– বর্তমান বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিত।

কেননা প্রযুক্তির উন্নয়নের ছোঁয়ায় এখন সকল ক্ষেত্রেই পরিবর্তন এসেছে, আমাদের এই ছোট্ট দেশে। তাই আগে যেমন ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করার জন্য কাউন্সিলে যাওয়ার প্রয়োজন পড়তো, যেতে হতো উপজেলা জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন অফিসে, এখন আর তার কোন কিছুই করতে হয় না।

আপনি মূলত ভোটার আইডি কার্ড এর জন্য আবেদন করা থেকে শুরু করে ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি সংগ্রহ করা পর্যন্ত ঘরে বসেই করতে পারবেন। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে– আপনি যদি এই প্রসেসটা জেনে থাকেন তাহলে কারো কোন প্রকার সাহায্যেরও প্রয়োজন পড়বে না আপনার।

আর তাই আজকে আমরা ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম এবং ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম, সেই সাথে ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড ২০২৩ সম্পর্কিত নানা বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করব। আশা করছি– আপনি আমাদের ইনস্ট্রাকশন ফলো করে খুব সহজেই ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

তো পাঠক বন্ধুরা, আপনাদের যাদের কাছে ভোটার স্লিপ নম্বর রয়েছে তারা যদি ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চান তাহলে পরবর্তী পয়েন্টে উল্লেখিত ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম অনুসরণ করুন এবং এখনই মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে সংগ্রহ করে ফেলুন আপনার এনআইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র টি।

জমির খতিয়ান বা ই-পর্চা ডাউনলোড করুন বিনামূল্যে

ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড ২০২৩

ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড ২০২৩ অর্থাৎ আপনি ২০২৩ সালে কিভাবে শুধুমাত্র ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন এই উদ্দেশ্যেই মূলত এই কিওয়ার্ডটি লিখে সার্চ করা।

সত্যি বলতে আপনি অন্যান্য আবেদন ফরম বা রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করেন মূলত ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করার ক্ষেত্রেও ওই একই নিয়ম ফলো করতে হবে।

আর আপনি নিশ্চয়ই জানবেন– পূর্বে আমাদেরকে জাতীয় পরিচয় পত্র হিসেবে ভোটার আইডি কার্ড দেওয়া হতো, কিন্তু এখন সেটা স্থানান্তরিত হয়ে স্মার্টকার্ডে পরিণত হয়েছে। কিন্তু ওই স্মার্ট কার্ড সরকারিভাবে অনুমোদন পাওয়ার পরবর্তীতে আমাদের হাতে আসবে।

অথচ কখনো কখনো পড়াশুনা বা চাকরির ক্ষেত্রে আমাদের হঠাৎই ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। আর যে কাজগুলো জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র দিয়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। আর ঠিক ওই মুহূর্তে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহের কথা মাথায় আসে সকলেরই।

আর তাই ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করার প্রসেসটা জানলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায় এবং নিজের প্রয়োজনে যেকোনো সময় অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নেওয়া যায় জাতীয় পরিচয় পত্র। ভোটার আইডি কার্ড বা জাতিয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার সময় মূলত দুইটি জিনিসের প্রয়োজন পড়ে। যথা:-

  • ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার।
  • ভোটার স্লিপ নাম্বার।

যেটা নতুন ভোটার হতে যাওয়ার সময় সকলের হাতেই দেওয়া হবে। মূলত আপনি ওই স্লিপ কাগজে উল্লেখিত নাম্বারের মাধ্যমে খুঁজে পেতে পারেন ভোটার আইডি কার্ড এর সমস্ত বৃত্তান্ত এবং ডাউনলোড করতে পারেন আপনার এনআইডি কার্ডটি। ভোটার স্লিপ কার্ড মূলত নিচের ইমেজটির মত হয়ে থাকে এবং ভোটার স্লিপ নাম্বার সচরাচর হয়ে থাকে ৮ নম্বরের।

ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড

ভোটার নাম্বার (স্লিপ) দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম

ভোটার নাম্বার (স্লিপ) দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য মূলত হাতে গোনা পাঁচটি ধাপ আপনাকে সম্পন্ন করতে হবে। তাহলে আসুন ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম বা প্রসেসিংটা এ পর্যায়ে জেনে নেওয়া যাক। 

প্রথমত: ভিজিট করতে হবে বাংলাদেশ এনআইডি অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম  এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অর্থাৎ  services.nidw.gov.bd – তে। 

দ্বিতীয়ত: বসাতে হবে জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর অথবা স্লিপ নম্বর।

তৃতীয়ত: লিখতে হবে জন্ম তারিখ

চতুর্থত: সাজেস্ট কৃত ক্যাপচা টি পূরণ করতে হবে এবং সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।

পঞ্চমত: সিলেক্ট করতে হবে আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা।

ষষ্ঠমত: উল্লেখ করতে হবে মোবাইল নম্বর এরপর ওটিপি ভেরিফিকেশন করার মাধ্যমে যেতে হবে পরবর্তী ধাপে।

সপ্তমত: সেজ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে এরপর nid account এ লগইন করার জন্য নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ডটি সাবমিট করতে হবে। 

অষ্টমত: ডাউনলোড অপশন এ ক্লিক করার মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেই আপনি ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। 

এবার আসুন  উল্লেখিত ধাপগুলো আরো বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে ছবিসহ ক্লিয়ারলি জেনে নেওয়া যাক। এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব হাতে গোনা পাঁচটি ধাপ। যথা: 

  1. এনআইডি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন
  2. ঠিকানা যাচাই
  3. মোবাইল ভেরিফিকেশন নাম্বার
  4. ফেস ভেরিফিকেশন এবং
  5. এনআইডি কার্ড ডাউনলোড

NID একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন

এনআইডি একাউট রেজিস্ট্রেশন এর জন্য প্রথমত আপনাকে এনআইডি এপ্লিকেশন সিস্টেম ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এর জন্য আপনি সরাসরি আমাদের উপরে উল্লেখিত লিংক ভিজিট করতে পারেন অথবা google করতে পারেন এনআইডি অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম সাইট লিখে। 

অতঃপর আপনার সামনে ফরম নম্বর ও জন্মতারিখ ইনপুট করার একটি ফর্ম সাজেস্ট করা হলে সেটা সঠিকভাবে পূরণ করে সিকিউরিটি ক্যাপচা সাবমিট করার পরবর্তীতে যেতে হবে নেক্সট ধাপে। আর হ্যাঁ কখনো কখনো ভোটার আইডি কার্ডের স্লিপ নম্বর বা ফর্ম নম্বর এবং জন্ম তারিখ সঠিকভাবে উল্লেখ করার পরেও ত্রুটি দেখায়। 

এজন্য আপনাকে ভোটার আইডি কার্ডের স্লিপ নম্বর এর পূর্বে বড় হাতের এন আই ডি এফ এন যুক্ত করতে হবে। মানে লিখতে হবে NIDFN+এন আই ডি স্লিপ নম্বর। তবেই আপনি পরবর্তী ধাপে যেতে পারবেন। বিষয়টি বুঝতে নিচের ইমেজটি লক্ষ্য করুন। 

ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড

ঠিকানা যাচাই

আপনি যদি এনআইডি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটির প্রথম ধাপ সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে অটোমেটিক্যালি আপনার সামনে নতুন একটা পেজ তুলে ধরা হবে। যেখানে আপনার বর্তমান ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানা সিলেক্ট করার বেশ কয়েকটি কলাম থাকবে। 

মূলত ঠিকানা যাচাই করার পদ্ধতির মধ্যে উক্ত ব্যক্তির বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার বিভাগ জেলা ও উপজেলা নির্বাচন করতে হবে যেটা ভোটার আইডি কার্ডেও উল্লেখ রয়েছে। এবং সবকিছু সঠিকভাবে সিলেক্ট করার পর পরবর্তী ধাপে যেতে নেক্সট অথবা পরবর্তীতে ক্লিক করতে হবে। বিষয়টি বোঝার জন্য আবারও লক্ষ্য করুন নিচের ইমেজ টি।

ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড

মোবাইল ভেরিফিকেশন

দ্বিতীয় ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পরবর্তীতে তৃতীয় ধাপে এসে মোবাইল ভেরিফিকেশন করতে বলা হবে আপনাকে। আর এই সময় আপনি যে নাম্বারটি উল্লেখ করবেন ওই নম্বরে ছয় সংখ্যার ওটিপি কোড পাঠানো হবে। অনেকেই এ সময় বুঝে উঠতে পারেন না কোন ফোন নম্বরটি দেবেন উক্ত স্থানে।

বিষয়টি ক্লিয়ার করার জন্য বলি আপনি মূলত এই সময় ভোটার আইডি কার্ডে আবেদন করার সময় যে মোবাইল নাম্বারটি দিয়েছিলেন সেটি দিতে পারবেন। পাশাপাশি যদি অন্য কোন মোবাইল নাম্বার দিতে চান তাহলে এ সময় আপনাকে মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। আর তখন আপনার পছন্দসই যেকোনো একটি নম্বর আপনি বসাতে পারবেন উক্ত স্থানে যে নম্বরে ওটিপি কোড পাঠানো হবে ভেরিফিকেশন এর জন্য।

বিষয়টি বুঝতে নিজের ইমেজটি লক্ষ্য করুন–

ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড

ফেইস ভেরিফিকেশন

চতুর্থ ধাপে ফেস ভেরিফিকেশন এর কাজ সমাপ্ত করতে হবে। অনেকেই মূলত এ পর্যায়ে এসে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হন। আর তাই এই পয়েন্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

আপনি যখন ভোটার স্লিপ নম্বর দিয়ে আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে চাইবেন তখন জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড এর অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশনের শেষের দিকে ওই ব্যক্তির অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ডের মালিকের ফেস ভেরিফিকেশন করাতে হবে। 

ফেস ভেরিফিকেশনের সময় আরেকটি কাজ সম্পন্ন করতে হয় সেটা হচ্ছে কিউআর কোড স্ক্যান। Qr কোড স্ক্যান করার পরবর্তীতে ফেস ভেরিফিকেশন করার জন্য ওই ব্যক্তির মুখের দিকে ক্যামেরা ধরা হয় এবং ওই সময় তাকে চোখের পলক এবং মাথা ডানে বামে নড়াতে হয়। কখনো কখনো হাসি দেওয়ারও প্রয়োজন পড়ে।

একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে আর আপনি যদি ওই সময়ের মধ্যে চোখের পলক সঠিকভাবে না ফেলেন অথবা ডানে বামে ঠিকঠাকভাবে মাথা না নড়াচড়া করেন তাহলে পুনরায় ফেস ভেরিফিকেশন করার প্রয়োজন পড়ে। যে কারণে অনেকের কাছেই এটা বিরক্তি কর মনে হয়। আশা করি আপনারা খুব সহজেই এই ধাপটিও পেরিয়ে যেতে পারবেন। এবার আসুন জেনে নেই লাস্ট ধাপ অর্থাৎ এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করার সর্বশেষ প্রসেস সম্পর্কে। আর হ্যাঁ কিউআর স্ক্যান এর ইমেজটি মূলত নিচের মত হয়ে থাকবে তাই বোঝার সুবিধার্থে লক্ষ করুন নিম্ন বর্ণিত ইমেজ।

ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড

এনআইডি কার্ড ডাউনলোড

ভোটার আইডি কার্ড স্লিপ নম্বর বসানো ঠিকানা যাচাই এবং মোবাইল ভেরিফিকেশন ও ফেস ভেরিফিকেশন করার পরবর্তীতে আপনার মূলত সমস্ত কাজ করা কমপ্লিট হয়ে যাবে। আর এ সময় ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য অ্যাকাউন্টের ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করতে হবে আপনাকে।

আর সেখানেই আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করার ডাউনলোড বাটন খুঁজে পাবেন। যেটা আপনি ডাউনলোড করলে পিডিএফ আকারে ডাউনলোড হয়ে যাবে আপনার ফাইলে। পরবর্তীতে সেটা প্রিন্ট করে কম্পিউটারের দোকান থেকে মাত্র দুই থেকে তিন টাকার মধ্যে বের করে নিতে পারবেন আপনি। ব্যাস আপনার কাজ এ পর্যন্তই।

ফরম নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

ফরম নাম্বার এবং ভোটার আইডি কার্ডের স্লিপ নম্বর মূলত একই। এটাকে একেকজন একেক নামে সম্বোধন করে থাকে। আপনি মূলত ফরম নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চাইলে আমাদের ওপরের প্রচেষ্টা অনুসরণ করুন। কেননা আপনি শুধুমাত্র আমাদের উল্লেখিত ঐ পাঁচটি স্টেপ সঠিকভাবে ফলো করতে পারলেই ফরম নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। তবুও ফরম নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে আমাদের কমেন্ট করে জানান।

ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম

ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম কি, ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোনে কি একই? অনেকেই রয়েছেন যারা এ ধরনের প্রশ্নও করে থাকেন। তাদেরকে বলছি হ্যাঁ আপনি যদি মোবাইল বা কম্পিউটারে ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করতে চান এবং ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চান তাহলে মূলত ওই একই পদ্ধতিতে আপনাকে পুরো কাজটি সমাপ্ত করতে হবে। তাই আমাদের ওপরে উল্লেখিত পাঁচটি ধাপ পর্যায়ক্রমে অনুসরণ করুন এবং মাত্র দুই মিনিটে এখনই ডাউনলোড করে ফেলুন আপনার ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি।

ফর্ম নম্বর দিয়ে NID কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম

ফর্ম নম্বর দিয়ে NID কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম যারা এক্সট্রা ভাবে জানতে চান তারা কখনো কখনো এটাও বুঝে উঠতে পারেন না ফরম নম্বর একজ্যাক্ট আসলে কোনটা! তাদেরকে বলব পুনরায় নিচের ইমেজটি লক্ষ্য করুন এবং চিহ্নিত অংশের নম্বরটি অনুসরণ করুন। কেননা প্রত্যেকটি এনআইডি কার্ড এর স্লিপে ওই একই স্থানে ফরম নম্বর বা স্লিপ নম্বর উল্লেখ করা থাকে। যেটা ব্যবহার করে আপনি ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড

ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড services.nidw.gov.bd

ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে হলে আপনার অন্য কিছু না জানলেও চলবে যদি আপনি শুধুমাত্র ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার সঠিক ওয়েবসাইটের নাম জানতে পারেন। কেননা আপনি services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে সরাসরি ভিজিট করলে আপনি আপনি পুরো প্রসেসটা বুঝতে পারবেন।

তাই যারা ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চান তারা উক্ত ওয়েবসাইটে এখনই ভিজিট করুন। আশা করছি, ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি নাম্বার ও জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি বের করার নিয়ম, স্লিপ নাম্বার দিয়ে নতুন ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড ২০২৩ ইত্যাদি সকল প্রশ্নের উত্তর আপনারা আমাদের এই আলোচনার মাধ্যমে পেয়েছেন। এবার আসুন আলোচনার শেষ মুহূর্তে কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর সম্পর্কে অবগত হওয়া যাক। যেগুলো সচরাচর ইউজাররা google, youtube ফেসবুকে সার্চ করে থাকেন।

ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করা নিয়ে প্রশ্ন উত্তর

১. এনআইডি অনলাইন কপি ডাউনলোড করব কি করে?

উত্তর: এন আই ডি ওয়েবসাইটে লগইন করে একাউন্ট ড্যাশবোর্ড থেকে আপনি ডাউনলোড অপশন এ ক্লিক করে খুব সহজেই এনআইডি অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। যে সিস্টেমটা আমরা ইতোমধ্যে আমাদের আরজিকেলে উল্লেখ করেছি।

২. ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয় কি?

উত্তরঃ ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করার আগ পর্যন্ত ভোটার স্লিপ অতি সযত্নে রাখতে হবে।  কেননা কার্ড সংগ্রহ করার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত এই স্লিপের অনেক গুরুত্ব বা তাৎপর্যতা রয়েছে। যখন আপনাকে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে তখন মূলত ওই স্লিপ দেখাতে হবে আপনাকে। তবে যদি দুর্ঘটনা বশ হতো কখনো নিবন্ধিত স্লিপটি হারিয়ে ফেলেন তাহলে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে দ্রুত যোগাযোগ করা অতীব জরুরী।

তবে ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে শুধুমাত্র উপজেলা নির্বাচন অফিসে গেলেই হবে না তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তীতে আপনাকে থানায় জিডি পর্যন্ত করতে হতে পারে। আবার কখনো কখনো আপনি জিডি ছাড়াও ভোটার আইডি কার্ডের স্লিপ নম্বর বা আইডি কার্ডের নম্বরটি জানতে পারবেন আপনার জেলার নির্বাচন অফিস থেকে। তাই এমন সমস্যার সম্মুখীন হলে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন।

৩. জাতীয় পরিচয় পত্রে ফরম নম্বর জন্ম তারিখ ভুল দেখানোর কারণ কি?

উত্তরঃ অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার সময় কখনো কখনো জাতীয় পরিচয় পত্র ফরম নম্বর জন্ম নিবন্ধন ইত্যাদি সকল ইনফরমেশন ভুল দেখায় আর এর কারণ হতে পারে আপনার আইডি কার্ড এখনো অনলাইন কপি হিসেবে সংগৃহীত হয়নি আবার যদি কখনো আপনি এনআইডি স্লিপ নম্বর সঠিকভাবে না বসান অর্থাৎ আমরা ইতিমধ্যে যে প্রসেসটা বলেছি সেটা মেনে না চলেন তাহলেও এমন ত্রুটি দেখা দিতে পারে। অতএব যদি কেউ এমন সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে পুনরায় চেষ্টা করুন।

৪. ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে আইডি কার্ড সংগ্রহ করার উপায় কি?

উত্তরঃ আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড এর স্মার্ট কপি হাতে পাওয়ার পূর্বে ভোটার স্লিপ হারিয়ে ফেলেন তাহলে আপনাকে আপনার গ্রাম মহল্লা পারার জন্য যে ভোটার তালিকা রয়েছে সেটা দেখতে হবে। কেননা ওই তালিকাতে আপনার ভোটার স্লিপ নম্বর উল্লেখ থাকবে। আর যদি এভাবে সংগ্রহ করতে না পারেন তাহলে আপনাকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।

৫. কম বয়সী ভোটারদের ভোটার স্লিপ হারালে করনীয় কি?

উত্তর: কারো যদি বয়স 18 বছরের কম হয়ে থাকে এবং সে একেবারেই নতুন ভোটার হয় তাহলে ওই ব্যক্তির ভোটার স্লিপ হারালে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কেননা এনআইডি নাম্বার পাওয়ার জন্য ফর্ম নম্বর বা ভোটার নাম্বার কোনটাই সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না এক্ষেত্রে একেবারেই নতুন হওয়ার জন্য। তবে যদি এমন দুর্ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে অতি শীঘ্রই উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে পরবর্তীতে জিডি করতে হতে পারে থানায় যেটা আমরা ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছি।

পরিশেষে: তো পাঠক বন্ধুরাNid নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করা, টোকেন দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম, মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম, পুরাতন আইডি কার্ড বের করার নিয়ম, নিবন্ধন স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড চেক, ভোটার স্লিপ ডাউনলোড বা ভোটার আইডি কার্ড চেক ইত্যাদি সম্পর্কে যারা প্রশ্ন করেন আশা করছি তারা সকল প্রশ্নের উত্তর আমাদের এই আর্টিকেল থেকে পেতে সক্ষম হয়েছেন।

তো আজ এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে আবারো নতুন কোন টপিকের আলোচনায় আপনাদের সাথে কথা হবে। সবাইকে আল্লাহ হাফেজ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *