অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ
| |

অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ ও প্রতিকার

অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে অনেকেই আগ্রহী। কেননা বর্তমানে এমন অনেক তরুন তরুণী রয়েছে যাদের বয়স হবার আগেই চুল পেকে যাচ্ছে। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই এই বিষয়টা নিয়ে অনেকেই বেশ চিন্তিত।

অল্প বয়সে কি কারনে চুল পাকে? কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পাকে ইত্যাদি এ বিষয়ে জানাটা সকলের জন্যই জরুরী। তাই আপনারা যারা অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চান, তারা আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তো পাঠক বন্ধুরা আসুন আমাদের আলোচনা-পর্ব শুরু করি।

আরও পড়ুনঃ ব্যাথা ছাড়াই অবাঞ্ছিত লোম দূর করার উপায়

অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ ও প্রতিকার

অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ হিসেবে মানসিক চাপ এবং জীবনযাত্রার ধরন দায়ী। এর পাশাপাশি আরো অনেক কারণ রয়েছে। তবে অকালে চুল পেকে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে এই  দুটিই বিবেচ্য। সত্যি বলতে অকালে চুলের পরিপক্কতা অনেকের কাছেই বেশ চিন্তার বিষয়। বয়স হলে চুল পাকবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু বয়স হবার আগে যদি চুল সাদা হয়ে যায় তাহলে লোকসমাজে বেশ হেনস্থার শিকার হতে হয়। 

আর তাই অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা এবং তা প্রয়োগ করা অতীব জরুরী। আর আপনি মূলত যে কোন সমস্যার সমাধান  তখনই খুঁজে বের করতে পারবেন, যখন সমস্যার কারণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আলোচনার এ পর্যায়ে সেই সকল কারণ সমূহ সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো যেগুলো  ইতোমধ্যে অকালে চুল পেকে যাওয়ার কারণ হিসেবে  চিহ্নিত করা হয়েছে। যথা:-

  • ভিটামিন বি -১২ কমপ্লেক্স এর ঘাটতি
  • ধূমপানে আসক্তি
  • মানসিক দুশ্চিন্তা
  • হরমোনাল সমস্যা
  • অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং
  • উল্টাপাল্টা প্রসাধনি ব্যবহার করা.

এর পাশাপাশি অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ হিসেবে আরো যে সকল বিষয় রয়েছে সেগুলো হচ্ছে:

বংশগত

বংশগত কারণে আপনার মাথার চুল অকালে পেকে যেতে পারে। পরিবারের রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে যদি অকালে চুল পেকে যাবার ইতিহাস থেকে থাকে তাহলে এই সমস্যা আপনার মাঝেও বিদ্যমান থাকতে পারে। 

আমাদের মাঝে কিছু মানুষ রয়েছেন যারা অকালে চুল পেকে যাওয়াকে বড় কোন রোগ মনে করেন। তাদেরকে বলছি  এটা কোন রোগ নয়, তাই অতিরিক্ত ভয় পাবার বা অতিরিক্ত মন:কষ্টে ঢোকার কোন প্রয়োজন নেই

হরমোন

বয়:সন্ধিকালে আমাদের শরীরে নানা রকম হরমোন নিঃসৃত হয়। যেগুলোর কিছু কিছু আমাদের শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রমাণিত যে হরমোনের সমস্যায় অকালে চুল পেকে যায়। বিশেষ করে হাইপোথাইরয়েডিজম ও হাইপারথাইরয়েডিজম এর সমস্যার কারণে অকালে চুল পেকে যাওয়ার প্রবণতা অধিক হারে বেড়ে যায় বলে জানা গেছে।

আমাদের রক্তে যখন থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ অনেক কমে যায় তখন সেটাকে হাইপোথাইরয়েডিজম সমস্যা বলা হয় অপরদিকে যখন আমাদের শরীরে থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ অধিক হারে বেড়ে যায় তখন তাকে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিজম।  তাই এক্ষেত্রে আপনি থাইরয়েডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে অল্প বয়সে চুল পাকার সমস্যা কে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন।

দেখতে পারেনঃ চিয়া সিড কি? চিয়া সিডের উপকারিতা

স্ট্রেস বা মানসিক চাপ

মানসিক অবসাদ, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা এবং বিভিন্ন মনোরোগ সমস্যা অকালে চুল পেকে যাওয়ার কারণ। আমাদের শরীরে সেরেটোনিন হরমোন রয়েছে যেটা তারুণ্য ধরে রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আর এই হরমোন মানসিক অবসাদের কারণে তার স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে বাধাগ্রস্ত হয়। আর তাই এদিক বিবেচনা করে মানসিক চাপ ও স্ট্রেস আকারে চুল পেকে যাওয়ার কারণ হিসেবে চিহ্নিত।

ভিটামিনের অভাব

অকালে চুল পেকে যাওয়ার কারণ হিসেবে ভিটামিনের অভাবকেও দায়ী করা হয়। মূলত ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২ কমপ্লেক্স এবং ফোলেট এর কারণে অকালে চুল পেকে যায়। 

শুধু তাই নয় যারা কেমোথেরাপি রেডিওথেরাপি সহ বিভিন্ন ওষুধ সেবন করে থাকেন তাদেরও চুল পেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।  পাশাপাশি অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করলে চুল অতিমাত্রায় ড্রাই ও বিবর্ণ হয়ে যায় যে কারণে অকালে চুল ঝরে পড়ে এবং পাকতে শুরু করে। 

অতিরিক্ত ফাস্টফুড, উচ্চমাত্রার প্রোটিন অতিমাত্রায় কোমল পানীয় ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব সেই সাথে বয়স অনুযায়ী ওজন বেশি থাকাটাও চুল আকারে পাকার কারণ হিসেবে বিবেচ্য। সুতরাং আপনার মাথার চুল যদি অকালে পেকে যায় তাহলে বুঝতে হবে এই কারণগুলো আপনার মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে এবং এই সমস্যাগুলোর কারণেই আপনার অকালে চুল ঝরে পড়া এবং পেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।

তবে এই সমস্যা থেকে আপনি খুব দ্রুত মুক্তি পেতে পারেন যদি সঠিক সময়ে কিছু প্রতিরোধী কৌশল অবলম্বন করেন। যা আমরা ধারাবাহিকভাবে আপনাদেরকে জানাবো। অতএব যারা অল্প বয়সে চুল পাকার সমস্যায় ভুগছেন এবং চুল পাকার সমস্যাকে দূর করার জন্য চিন্তিত তারা নিয়মিত আমাদের দেওয়া টিপস গুলো অনুসরণ করুন। 

আরও পড়ুনঃ ঘরোয়া উপায়ে ব্ল্যাকহেডস দূর করার উপায়

অল্প বয়সে চুল পাকা প্রতিরোধের কৌশল

চুল পাকা প্রতিরোধের কৌশল হিসেবে আপনি কিছু খেতে পারেন, কিছু ব্যবহার করতে পারেন এবং দৈনন্দিন জীবনে কিছু কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে পারেন। যেগুলো আমরা এ পর্যায়ে উল্লেখ করব। তাহলে আসুন চুল পাকা প্রতিরোধের কৌশল সমূহ জেনে নেওয়া যাক।

  • প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা
  • ফাস্টফুড, অতিমাত্রায় কোমল পানি ও মাদকদ্রব্য ধূমপান করা থেকে বিরত থাকা
  • বেশি বেশি মৌসুমী ফল ও শাক সবজি খাওয়া
  • খাবার তালিকায় সবুজ ও হলুদ রঙের ফল অধিক পরিমাণে রাখা
  • উচ্চ রক্তচাপ বা রক্তে কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা
  • নিয়মিত চুলের যত্ন নেওয়া এবং ভালোভাবে চুল আঁচড়ানো
  • চুলে পুষ্টি সমৃদ্ধ তেল ব্যবহার করা
  • স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে গোসল করা
  • নিয়মিত শরীর চর্চা করা এবং শরীরের সব অঙ্গে রক্ত সঞ্চালন করার জন্য সময় পেলে হাটা
  • রূপচর্চার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা
  • ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া চুলের কোন প্রসাধনে ব্যবহার না করা
  • সব সময় ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করা এবং মানসিকভাবে স্বস্তিতে থাকা

আপনি যদি নিজে থেকে এই কৌশল গুলো অবলম্বন করেন তাহলে চুল পাকার সমস্যা থেকে আপনি দূরে থাকতে পারবেন। এবার আসুন জেনে নেই চুল পাকা বন্ধ করার ঘরোয়া কিছু উপায় সম্পর্কে। 

অল্প বয়সে চুল পাকার প্রতিকার ও ঘরোয়া টিপস

আপনার যদি চুল পেকে যায় তাহলে প্রতিকার হিসেবে আপনি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। এ পর্যায়ে আমরা হাতেগোনা পাঁচটি টিপস দেব যেগুলো সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে আপনার অল্প বয়সে চুল পাকার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে ইনশাআল্লাহ। 

১. নারকেল তেল এবং লেবু

চুলের জন্য নারকেল তেল সবচেয়ে উপযোগী তেল। আর এই নারকেল তেলের সাথে আপনি যদি লেবুর রস মিশ্রিত করেন তাহলে এটা চুলের জন্য আরো বেশি শক্তিশালী প্রসাধনী হয়ে দাঁড়ায়। মূলত চুলের অকালে পেকে যাওয়ার সমস্যা প্রতিরোধে আপনি প্রতিদিন চার চা চামচ নারকেল তেলের সাথে আড়াই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পাকা চুলে ব্যবহার করতে পারেন। আশা করা যায় দূই সপ্তাহের মধ্যে আপনি ভালো ফল পাবেন। 

২. আমলকি এবং লেবু

চুলের যত্নে আমরা নানাভাবে আমলকি ব্যবহার করে থাকি। সেই সাথে লেবু প্রায় সকল প্রকার রূপচর্চার জন্যই ব্যবহার্য একটি উপাদান। লেবু এবং আমলকি দুটোই আমাদের দেশে জন্মে এবং এই দুটোই সহজলভ্য প্রায়। তাই আপনি চাইলে খুব সহজেই এই দুইটি উপাদান মিশ্রিত করে পাকা চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

আমলকি এবং লেবু ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে প্রতিদিন এক ঘন্টা করে সময় দিতে হবে। কেননা অকালে চুল পাকা রোধের জন্য আমলকির গুড়া এবং লেবুর রস মিশিয়ে তা ভালোভাবে ম্যাসাজ  করলে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। আর এটা আপনি প্রতিদিন গোসল করার আগ মুহূর্তে করবেন এবং ম্যাসাজ করার পরবর্তীতে শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ভাল ভাবে ধুয়ে ফেলবেন। ব্যাস দ্রুতই আপনার সমস্যার সমাধান মিলবে।

৩. গাজর

গাজর আমরা সালাদ হিসেবে খেয়ে থাকি। আর এটা আমরা সবাই জানি গাজরের পুষ্টি উপাদান আমাদের জন্য কতটা কার্যকরী। অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যার সমাধানে প্রতিদিন যদি আপনি একগ্লাস করে গাজরের রস পান করেন তাহলে খুব সহজেই আপনি পাকা চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন এবং আপনার শরীরকেও বেশ সুস্থ রাখতে পারবেন। তাই ঘরোয়া পদ্ধতি  হিসেবে আমরা অকালে চুল পেকে যাওয়া বন্ধ করতে গাজরের রস বা শরবত খাওয়া সাজেস্ট করব। 

৪. পেঁয়াজ

আপনি যদি পেঁয়াজ ভালোভাবে বেটে প্রতিদিন মাথার চামড়ায় ও চুলে ৩০ মিনিট যাবত ম্যাসাজ করেন এবং পরবর্তীতে ধুয়ে ফেলেন তাহলে কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার পাকা চুলের সমস্যা দূর হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। তাই ঘরোয়া টিপস হিসেবে আপনি এই পদ্ধতিও অবলম্বন করতে পারবেন। 

৫. তিল ও বাদাম

আপনার বাড়িতে যদি তিলের বীজ থেকে থাকে তাহলে এক বোতল বাদাম তেল কিনে ফেলুন। কেননা ইতোমধ্যে স্কিন ডাক্তাররা চুলের যত্নের কারণে তিলের বীজ ও বাদাম তেল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন যেটা কার্যকরী। মূলত আপনি যদি বাদাম তেল এবং তিলের বীজ গুঁড়ো করে পেস্ট করে সেটা মাথায় লাগান এবং ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলেন তাহলে কিছুদিনের মধ্যে আপনার অল্প সময়ের মধ্যে পেকে যাওয়া চুল ঠিক হয়ে যাবে এবং চুল পড়া বন্ধ হবে। 

শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি  নারকেল তেলের সাথে কারি পাতা ফুটিয়ে আপনি যদি তা সপ্তাহে দুই দিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট ম্যাসাজ করেন অথবা চা কিংবা কফি ১০ মিনিট ধরে ফুটিয়ে তা মাথায় ব্যবহার করেন তাহলেও চুল পাকার সমস্যা ঠিক হয়ে যায়। তাই আপনার সুবিধা অনুযায়ী আমাদের সাজেস্ট করা যেকোনো একটি টিপস বাছাই করুন এবং আজ থেকেই প্রয়োগ করুন। 

আরও দেখুনঃ সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য

চুল পাকা বন্ধ করার তেল

যারা ব্যস্ত মানুষ তারা মূলত চুলের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে শর্টকাট খুঁজেন। তাই অল্প বয়সে পেকে যাওয়া চুল যদি আপনি ঠিক করতে চান সেক্ষেত্রে কি তেল ইউজ করবেন এ নিয়ে জানার আগ্রহটা বেশি তৈরি হয়। মূলত এ পর্যায়ে আমরা আপনাদেরকে চুল পাকা বন্ধ করার জন্য তিনটি তেল সাজেস্ট করতে পারব। যেগুলো সাশ্রয়ী এবং খুবই পরিচিত তেল। যথা:-

  • সরিষার তেল
  • নারকেল তেল এবং
  • অলিভ অয়েল

তবে হ্যাঁ, আপনি যদি এই তেল ব্যবহার করে পাকা চুলের সমস্যা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ঠিক করতে চান তাহলে কিছুটা আলাদা ভাবে ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি সরিষার তেল যেভাবে চুলে ব্যবহার করবেন তা হলো:- ৫০০ মিলিগ্রাম সরিষার তেলে ভালো মানের ঠান্ডা নারকেল তেল ২০০ গ্রাম এবং এক চা চামচ ভাজা মেথি ও এক চা চামচ গুড়া কারিপাতা মেশাতে হবে। এরপর সপ্তাহে আপনি দুইবার ভালোভাবে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করবেন। 

অপরদিকে ঝিঙ্গে ছোট ছোট করে কেটে অলিভ অয়েল তেলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখবেন। এরপর তিনদিন মিশ্রণটি ভালোভাবে ফোটাবেন। যখন মিশ্রনটি কালো হয়ে যাবে তখন তা ঠান্ডা করে সপ্তাহে দুইবার মাথায় লাগাবেন। আশা করা যায় এতেও আপনার অকালে পেকে যাওয়া চুল গুলো কালো হবে এবং চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। 

তো পাঠক বন্ধুরা চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায়, অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান সম্পর্কে জানতে পেরে আশা করছি আপনাদের উপকার হবে। তো আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *