মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?
মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, নিয়মিত মাসিক না হলে কি করা উচিত, একজন অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ হিসেবে কি কি কারণ থাকতে পারে!
যেহেতু পিরিয়ডকালীন সময় নারীদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়, এটা প্রত্যেকটা নারীর জীবনে আসে এবং একটি ধারাবাহিক নিয়মে চলে– তাই যদি পিরিয়ড মিস হয় অথবা মাসিক-এ অনিয়ম ঘটে তাহলে সেটা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় পরেন। অবশ্য এটা দুশ্চিন্তারও বিষয়।
কেননা কোনো মাসে পিরিয়ড না হলে তা প্রেগনেন্সির সবথেকে বড় চিহ্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে হ্যাঁ, মাসিক না হলেই যে আপনি প্রেগন্যান্ট মানে আপনার বাচ্চা হতে চলেছে এমনটা নাও হতে পারে কখনো কখনো। কারণ পিরিয়ড মিস হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে
জেনে নিনঃ গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ সমূহ
তাই আজ আমরা পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ, নিয়মিত মাসিক না হলে করণীয় কাজ এবং অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ, সেই সাথে গর্ভবতী হওয়ার প্রাথমিক বা সাধারণ লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?
একটা মেয়ের মাসিক চক্র ২৪ থেকে ৩৮ দিনের মধ্যে হয়ে থাকে। আর এই সময়ের মধ্যে যদি কারো মাসিক অর্থাৎ ঋতুস্রাব না হয় তাহলে ধরে নেওয়া যায় যে সে গর্ভবতী হতে চলেছে। অতএব এই কথার উপর ভিত্তি করে বলা যায়– মাসিক না হলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তবে হ্যাঁ পিরিয়ড মিস হওয়ার আরও অন্যান্য কারণ থাকতে পারে। যে কারণগুলো কখনো কখনো জটিল রোগের উপসর্গ হিসেবে প্রকাশ পায়। যেগুলো সম্পর্কে আমরা আর্টিকেলের পরবর্তী অংশে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
দেখুন আপনি নিশ্চয়ই জানবেন– পিরিয়ড হচ্ছে একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, যা উচ্চতর স্তন্যপায়ী প্রাণীদের/মহিলা দের প্রজননের জন্য অভিযোজিত হয়। এটা মূলত প্রাকৃতিক নিয়মে নারীদের প্রতি মাসে হয়ে থাকে। একজন নারীর যোনিপথে এই সুনির্দিষ্ট সময়ের পরবর্তীতে মাসিক হয়। আর এটাকে ইংরেজিতে বলা হয়ে থাকে পিরিয়ড।
পিরিয়ড মিস হওয়াকে সাধারণত গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বলতে পারেন– মাসিক না হওয়ার অর্থ হচ্ছে অযাচিত গর্ভবতী হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। যারা বিবাহিত রয়েছেন তারা এবং যারা অবিবাহিত রয়েছেন তারা উভয়েরই মূলত এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা জরুরি যে, একজন গর্ভবতী মহিলার মাঝে সাধারণত কি কি লক্ষণ প্রকাশ পেলে তাকে প্রেগন্যান্ট হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।
কেননা এতে করে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় এবং অনাকাঙ্ক্ষিত বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তাহলে আসুন জেনে নেই– মাসিক মিস হওয়ার পরবর্তীতে কোন কোন লক্ষণ প্রকাশ পেলে একজন মহিলা প্রেগন্যান্ট হিসেবে নিজেকে নিশ্চিত করতে পারবেন।
✓ বমি বা বমি বমি ভাব
প্রেগনেন্সির অন্যতম লক্ষণ বা উপসর্গ হচ্ছে বমি হওয়া। আপনি যদি বমি হয়ে থাকে অথবা গা গলায় পাশাপাশি পিরিয়ড মিস হয় তাহলে এটাকে আপনি গর্ভধারণের একটি লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন। কেননা গা গোলানো অথবা বমি হওয়া গর্ভাবস্থার অন্যতম একটি বড় লক্ষণ।
✓ খাবারে অরুচি
মনে করুন আপনি আপনার পছন্দের খাবার গুলো সচরাচর খেয়ে থাকেন এবং সেগুলোর টেস্ট আপনার কাছে যথেষ্ট ভালো। কিন্তু ওই খাবারগুলো যদি আপনার কাছে বাজে খেতে লাগে এবং বাজে কোন গন্ধ লাগে তাহলে এটাকে প্রেগনেন্সির লক্ষণ বলা যায়।
কেননা সচরাচর প্রেগনেন্সি মহিলাদের মাঝে এই লক্ষণটি প্রকাশ পায় অর্থাৎ তারা একপর্যায়ে যে খাবারগুলো খেতে খুব ভালোবাসতো সেই খাবারটাই একদমই অসহ্য হয়ে ওঠে এবং সবচেয়ে বাজে খাবার হিসেবে নিজেদের কাছে পরিচিতি পায়। এমনটা মূলত শরীরের হরমোনের তারতম্যের কারণে ঘটে থাকে।
কারণ মেয়েদের শরীরে ইস্ট্রোজেন নামক হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায় এ পর্যায়ে। আর এই হরমোন মূলত সাধারণ কিছু সমস্যার সৃষ্টি করে আর তার মধ্যে খাবারে অরুচি হওয়া একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা এবং প্রেগনেন্সির একটি লক্ষণ।
✓ পেট ফুলে যাওয়া
কিছু কিছু মেয়ের মাসিকের আগে পেট ফেপে যায় বা ফুলে ওঠে। এমনটা মূলত হরমোনাল সমস্যার কারণে হয়। আর চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের পরীক্ষায় এটা প্রমাণিত হয়েছে– গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে ঠিক এমনই অনুভূতি কাজ করে মহিলাদের মাঝে।
তাই যদি আপনার পেট ফুলে যায় অথবা আপনি এমনটা অনুভব করেন যে আপনার গ্যাস হয়েছে তাহলে পিরিয়ড মিস হওয়ার পরবর্তীতে এই সমস্যাটাকেও প্রেগনেন্সির লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন।
✓ প্রসাবে পরিবর্তন
গর্ভবতী মহিলাদের বেশি পরিমাণ প্রস্রাব হয়ে থাকে। তাই পিরিয়ড মিস হওয়ার পরবর্তীতে যদি আপনার বেশি প্রসাব হয় তাহলে অন্যান্য কারণগুলোর মত এটা কেউ আপনি গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ বা উপসর্গ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন। কেননা সচরাচর গর্ভবতী মহিলাদের বারবার প্রসব করার প্রবণতা থাকে।
আর এটা হয়ে থাকে শিশুর দেহের আকার আকৃতি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে। কারণ ভ্রুন যত বড় হয় জরায়ুর আকার ও তত বাড়তে থাকে এবং এর ফলে মূত্রথলির উপর অনেকটাই চাপ পড়ে বিধায় এই অবস্থায় নারীদের বেশি প্রসব হয়ে থাকে।
✓ স্তনে ব্যথা
স্তনে বিভিন্ন কারণে ব্যথা হতে পারে। তবে উপরে উল্লেখিত লক্ষণ গুলোর পাশাপাশি যদি আপনার মাঝে স্তনে ব্যথা এই লক্ষণটিও থেকে থাকে তাহলে এটা গর্ভবতী মায়ের লক্ষণ হিসেবে আপনি চিহ্নিত করতে পারেন।
কেননা স্তন এর আকার পরিবর্তন প্রেগনেন্সির প্রাথমিক লক্ষণ। আর তাই এই সময় একজন মেয়ে স্তনে ব্যথা অনুভব হয়, পাশাপাশি স্তন অনেকটা ফুলে যায় এবং স্তনে স্পর্শ করলে সেটা নরম মনে হয় আবার কখনো কখনো আগের তুলনায় অধিক বেশি ভারিও লাগে।
✓ রক্তপাত
অনেক সময় রক্তপাত ঘটে থাকে গর্ভবতী মহিলাদের। তবে কেউ কেউ এটাকে মাসিক ভেবে ভুল করে বসে। কিন্তু মনে রাখবেন এটা আসলে মাসিক বা পিরিয়ড নয় এটা মূলত ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং। যেটা জড়াইতে ভ্রুণ ইমপ্ল্যান্টেশন এর সময় হয়ে থাকে।
আপনি যখন কনসিভ করবেন তখন থেকে শুরু করে হাতেগোনা এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং হয়ে থাকে। তাই এমনটা ঘটলে আপনি এটাকে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন এবং টেস্ট করে সুনিশ্চিত হতে পারেন যে আপনি সত্যিই গর্ভবতী কিনা।
এছাড়াও আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো গর্ভধারণের লক্ষণ হিসেবে সচরাচর চিহ্নিত করা হয়। যথা:-
- ক্লান্তি বোধ
- মুড সুইংস
- অতিরিক্ত ঘুম
- শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া প্রভৃতি।
তাই সুনিশ্চিত হতে দেরি না করে এখনই ঘরোয়া পদ্ধতিতে অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সাজেস্টকৃত মাধ্যমে জেনে নিন যে আপনি সত্যিই গর্ভধারণ করতে চলেছেন কিনা অর্থাৎ আপনার মাসিক মিস হওয়ার কারণ কি গর্ভধারণকে ইঙ্গিত করছে নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোন কারণ।
মাসিক না হলে কি সমস্যা হয়
আপনি যদি গর্ভধারণ না করতে চান তাহলে প্রথমত মাসিক মিস হওয়াটা আপনার জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ সম্পর্কিত সমস্যা হতে পারে। তবে এর বাইরেও নিয়মিত মাসিক না হলে আরো বেশ কিছু সমস্যা হয়। যেমন:-
- হাড়ের ক্ষয়
- হৃদরোগ
- হাড় ভাঙ্গা
- ওভারিতে টিউমার
- ওভারিয়ান সিস্ট
- স্ট্রোক সহ নানা সমস্যা।
অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ
অনেক সময় অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। আর এই নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় অনেকেই। অনেকে আবার এটাকে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ হিসেবেও ধরে নেয়। তবে হ্যাঁ আপনি কি জানেন মূলত কতদিন দেরি হলে মাসিক দেরিতে হওয়া বিষয়টা চিন্তার বিষয় হয়ে উঠতে পারে। অনেকেই হয়তো জানেন আবার অনেকেই জানেন না।
সচরাচর একটা মহিলার যদি এক সপ্তাহ দেরিতে মাসিক হয় তাহলে এটা স্বাভাবিক হিসেবে ধরা চলে। যেমন মনে করুন– আপনার ২৫ দিন পর পর পিরিয়ড হয়ে থাকে অন্যদিকে যদি আমার কথা বলি তাহলে মনে করুন যে আমার ৩০ দিন পর পর হয়ে থাকে। এখানে মূলত পাঁচ দিনের তফাৎ রয়েছে। আর ঠিক এই হিসেবে আপনি পাঁচদিন বা সর্বোচ্চ সাত দিনকে স্বাভাবিক হিসেবে ধরতে পারেন।
কিন্তু যদি এর অধিক সময় মাসিক বন্ধ হয় তাহলে মনে করবেন এটা আপনার কোন শারীরিক সমস্যা। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন সমস্যার কারণে মাসিক দেরিতে হয়ে থাকে।
১. কম ওজন
স্বাভাবিকের থেকে অতিরিক্ত কম ওজন হয়ে থাকলে এক্ষেত্রে মূলত মাসিক মিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং অনিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে। আর তাই আপনাকে চেষ্টা করতে হবে আপনার বয়স এর সাথে তুলনা করে দেহের ওজন সঠিক পরিমাণে নিয়ে আসা। মানে আপনাকে ওজন বৃদ্ধি করতে হবে।
২. মানসিক দুশ্চিন্তা
বর্তমান সময়ে মাত্রাতিরিক্ত স্ট্রেস থেকেও পিরিয়ডের সমস্যা হয়ে থাকে। আজকাল ১০০% মানুষের মধ্যে বলা যায় ৯৫% মানুষ অধিক বেশি চিন্তা করেন এবং তার মধ্যে ৯৫% মানুষ মানসিক চাপে ভোগেন। আর এই মানসিক চাপ যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে সেটা শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার উপর প্রভাব বিস্তার করে।
তাই যে সকল অবিবাহিত মেয়েদের পিরিয়ড মিস হয় তাদের এমনটা হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে আপনি মানসিক দুশ্চিন্তাকেও চিহ্নিত করতে পারেন। কেননা এই সময়ে সবচেয়ে কমন কারণ হিসেবে অবস্থান করছে এটি।
৩. Early প্রেগনেন্সি লস
মনে করুন আপনি গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন কিন্তু সেটা জানতেন না। অতঃপর আপনার গর্ভপাত ও ঘটে গেছে।। আর এমনটা যদি হয়ে থাকে তাহলে পিরিয়ড মিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং অনিয়মিত পিরিয়ড হয়ে থাকে।
৪. স্বাস্থ্য সমস্যা
গলায় ইনফেকশন, সর্দি কাশি ইত্যাদি আরো কিছু সাধারণ সমস্যার কারণে ও কখনো কখনো পিরিয়ড দেরিতে হয়ে থাকে। বিশেষ করে আপনার যদি থাইরয়েডের সমস্যা থাকে অথবা ওভারিতে পলিসিস্টিক সেন্ট্রোমের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
মনে রাখবেন বর্তমানে বেশিরভাগ নারীদের ওভারিয়ান সমস্যা সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওভারীতেপলি সিস্ট, ওভারিতে টিউমার এই প্রত্যেকটা কারণ পিরিয়ড মিস হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।
নিয়মিত মাসিক না হলে করনীয় কি
যেহেতু অনিয়মিত মাসিক বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা কি ইঙ্গিত করে তাহলে নিয়মিত মাসিক না হলে কি করবেন! অনেকেই জানতে ইচ্ছুক। আর তাই এ পর্যায়ে আমরা নিয়মিত মাসিক হওয়ার জন্য কিছু ঘরোয়া টিপস দিব।
আশা করি আপনি যদি আপনার লাইফ স্টাইলে পরিবর্তন নিয়ে আসেন এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খান পাশাপাশি এই ঘরোয়া টিপস গুলো মেনে চলেন তাহলে আপনার অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা নিয়মিত হয়ে যাবে অতি সহজেই।
১. কাঁচা হলুদ
এক কাপ দুধে চার চামচের চার ভাগের এক ভাগ কাঁচা হলুদ এবং তাতে সামান্য পরিমাণে মধু বা গুড় মিশিয়ে প্রতিদিন খান। কেননা এটা প্রাচীনকাল থেকেই চিকিৎসা শাস্ত্রে প্রমাণিত– পিরিয়ড নিয়মিত করতে এবং শরীরের হরমোনাল ব্যালেন্স সঠিক রাখতে কাঁচা হলুদ বেশ কার্যকরী।
আর আপনি যদি দুধের সাথে মধু অথবা গুড় মিশিয়ে এই পানীয়টি খেয়ে থাকেন তাহলে এটা আপনার অনিয়মিত মাসিককে নিয়মিত করবে। তাই মেনে চলার চেষ্টা করুন এই ঘরোয়া টিপসটি।
২. এলোভেরা
এলোভেরা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী, আর এর উপকারিতার কথা আলাদা ভাবে বলার মত কিছুই নেই। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তাজা এলোভেরা পাতার রস সামান্য মধু মিশিয়ে খান তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার চেহারায় যেমন পরিবর্তন আসবে ঠিক একইভাবে আপনি দেখবেন যে আপনার মাসিকও নিয়মিত হয়েছে।
সুতরাং অনিয়মিত মাসিক কে নিয়মিত করতে নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠে এলোভেরার জুস বা অ্যালোভেরার রস মধু মিশিয়ে পান করুন।
৩. আদা
এক কাপ পানিতে এক চা চামচ পরিমাণ মিহি আদা কুচি দিয়ে পাঁচ থেকে সাত মিনিট ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। পরবর্তীতে মধু মিশিয়ে এটা প্রতিদিন খাবার খাওয়ার পর খেয়ে ফেলুন। এই টিপসটি ফলো করলেও অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।
৪. যোগব্যায়াম
আপনি যদি মেডিটেশন করেন এবং বিশেষ কিছু যোগ ব্যায়াম করে থাকেন তাহলে আপনার অনিয়মিত পিরিয়ড ঠিক হয়ে যাবে এটা ১০০% নিশ্চিত। এর জন্য ইউটিউব এর সাহায্য নিতে পারেন।
কেননা বর্তমানে এখন ইউটিউব থেকে আপনি এমন অনেক যোগব্যায়াম সংগ্রহ করতে পারবেন যেগুলো পিরিয়ডকে নিয়মিত করার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল।
৫. কাঁচা পেঁপে
কাঁচা পেঁপে অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। আর তাই আপনি চাইলে অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করার জন্য কাঁচা পেঁপের রস প্রতিদিন খেতে পারেন। এছাড়াও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করার মাধ্যমেও এই সমস্যার সমাধান বলতে পারে আপনার। এর জন্য অবশ্যই মিলেমিশে খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন নিচে উল্লেখিত খাবার গুলো যথা:-
- গরু,
- মুরগীর মাংস,
- কলিজা,
- চিংড়ি,
- ডিম,
- কচুর শাক,
- লাল শাক,
- পালং শাক,
- মিষ্টি আলু,
- ফুলকপি,
- মটরশুঁটি,
- তরমুজ,
- খেজুর,
- গাব,
- টমেটো,
- ডাল,
- ভুট্টা,
- শস্যদানা ইত্যাদি ইত্যাদি।
সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয়
আপনি যদি এই মুহূর্তে কনসিভ করতে না চান তাহলে সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয় হিসেবে আমরা সাজেস্ট করব ভালো কোন গাইনোকোলজিস্ট এর পরামর্শ গ্রহণ করবার। আর আপনি যদি গর্ভধারণ করতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে গর্ভধারণের লক্ষণগুলো মিলিয়ে নিয়ে একটি টেস্ট করার মাধ্যমে নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নিন এবং সাবধানতা অবলম্বন করুন।
এবার আসুন আলোচনার শেষ পর্যায়ে জেনে নেওয়া যাক গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কতদিন পর বোঝা যায় সে সম্পর্কে।
জেনে নিনঃ আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায়
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায়
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ মূলত পিরিয়ড মিস হওয়ার ২১ দিনের মধ্যেই বোঝা যায়। আর আপনি যদি আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি এ ব্যাপারটি আপনার কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে। কেননা আমরা সেই প্রত্যেকটি লক্ষণ বা কারণ কে উল্লেখ করেছি যেগুলো গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজ এ পর্যন্তই। আশা করছি মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এই প্রশ্নটির উত্তর আপনাদের কাছে ক্লিয়ার। তো সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।