আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায়
|

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায়

মাতৃগর্ভে যে সন্তান রয়েছে, সেটা ছেলে হতে চলেছে নাকি মেয়ে এ ব্যাপারে জানার আগ্রহ সকলেরই থেকে থাকে। কেননা মাতৃত্ব নারী জীবনের সুন্দর একটি সময় বা বিশেষ এক মুহূর্ত। তাই কয়েক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরবর্তীতে গর্ভবতী মা সহ পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন সকলেরই কৌতূহল জাগে মনে। সবাই জানতে চায়– যে সন্তান ভূমিষ্ঠ হতে চলেছে সেটা ছেলে নাকি মেয়ে। আর তাইতো এখন সকলেই প্রায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করে থাকেন।

কিন্তু কথা হচ্ছে– আপনার আল্টাসনোগ্রাম রিপোর্ট-এ ছেলে না কি মেয়ের কথা বলা হয়েছে সেটা বুঝবেন কিভাবে? আমরা মূলত এই ব্যাপারেই বিস্তারিত জানাবো আপনাদেরকে। তাই আপনি যদি আল্টাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় সম্পর্কে অবগত হতে চান তাহলে আমাদের সাথে থাকুন এবং নিম্মোক্ত বিষয়গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় এর এ টু জেড তুলে ধরা হয়েছে আজকের এই নিবন্ধনটিতে।

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ সমূহ

আল্ট্রাসনোগ্রামকি?

আলট্রাসনোগ্রাম হচ্ছে একটি শব্দ তরঙ্গ ভিত্তিক ইমেজিং মেডিকেল চেকআপ, যেটা একদমই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত একটি মাধ্যম। মূলত আধুনিক চিকিৎসায় বিশেষ করে মায়ের গর্ভে ভ্রূণের ঠিকমতো বেড়ে ওঠার ব্যাপারটা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য শরীরের ভেতরের শব্দ শুনে চলমান ছবি তৈরি করা হয় আলট্রাসনোগ্রাম বা আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে।

জানা যায় – শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ টিস্যু বা অন্যান্য কাঠামোর অবস্থানের ছবি ভিজুয়ালাইজ করা হয় এই মাধ্যমটিকে কেন্দ্র করে। আর আধুনিক এই চিকিৎসা ব্যবস্থার দারুন মাধ্যমটি আবিষ্কার করেছেন– ইংল্যান্ডের স্কটিশ ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান টেসন লেন ডোনালড।

আর আপনি যদি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে চান তাহলে আল্ট্রাস্নোগ্রাম কি? আলতাসোনো গ্রাম কাকে বলে এবং আল্ট্রাসনোগ্রাম করার সঠিক সময়, সেই সাথে এ সম্পর্কিত আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। তাই ধারাবাহিকভাবে আমরা প্রত্যেকটি বিষয় আপনাদের সুবিধার্থে তুলে ধরছি।

এবার আসুন জেনে নেই গর্ভবতী মায়েদের মূলত কখন বা কোন সময়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করা উচিত বা আল্ট্রাসনোগ্রাম করার যথোপযুক্ত সময় কখন!

আল্ট্রাসনোগ্রাম কখন করা যাবে?

আলট্রাসনোগ্রাম করার সঠিক সময় হলো– প্রেগনেন্সি কালীন ২০-২২ সপ্তাহ অতিক্রম করার পরবর্তী সময়। সাধারণত গর্ভবতী মায়ের ২০ সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পরবর্তীতে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে বাচ্চার জেন্ডার জানা যায় অর্থাৎ গর্ভে থাকা সন্তানটি ছেলে হতে চলেছে নাকি মেয়ে সেটা জানা যায় স্পষ্টভাবে।

তবে হ্যাঁ মনে রাখবেন, কখনো কখনো কিছু গর্ভবতী মায়ের গর্ভে থাকা সন্তানের অবস্থান এবং গ্রোথ ভেদে এই সময় সন্তানকে সুস্পষ্ট ভাবে দেখা যায় না। ফলে বুঝে ওঠা সম্ভব হয় না, গর্ভে থাকা সন্তানটি আসলে ছেলে নাকি মেয়ে। তাই তাদের ক্ষেত্রে আলট্রাসনোগ্রাম করার সঠিক সময় হচ্ছে ৩০ সপ্তাহ পরবর্তী সময়।

আর তাই আপনি যদি একজন গর্ভবতী মা হয়ে থাকেন তাহলে ২২ সপ্তাহ অতিবাহিত হবার পরবর্তীতে অথবা তীর সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পরবর্তীতে আলট্রাসনোগ্রাম করে সঠিক রিপোর্ট পেতে পারবেন।

জেনে নিনঃ মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট। Ultrasonogram Pregnancy Report

দেখুন ইতিমধ্যে আমরা বলেছি– আল্ট্রাসনোগ্রাম হচ্ছে একটি আধুনিক চিকিৎসা মাধ্যম, আর এই মাধ্যম কে কেন্দ্র করে আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন এর মাধ্যমে গর্ভবতী মায়ের ভ্রুনে হাই ফ্রিকোয়েন্সি শব্দ তরঙ্গ প্রবেশ করানো হয় এবং সেটা ইমেজিং আকারে দেখানো হয়। এই চেকআপ মাধ্যমেটি মূলত একদমই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত। আর তাই কোন প্রকার চিন্তা ছাড়াই যে কোন গর্ভবতী মহিলা আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে পারেন।

কিন্তু আর্টাসনোগ্রাম রিপোর্ট সম্পর্কে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আপনার জেনে থাকা জরুরী। তাই নিচের চার্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা এই পয়েন্টগুলো মাথায় থাকলে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন গর্ভে থাকার সন্তানটি ছেলে হতে চলেছে নাকি মেয়ে এবং কোন শব্দটি কি ইঙ্গিত করছে সে সম্পর্কে।

Ultrasonogram Pregnancy ReportUltrasonogram Pregnancy Report এর ব্যাখ্যা
১. Fetal Number. এটিকে দ্বারা মূলত ব্রুনের সংখ্যা নির্দেশ করা হয়। গর্ভবতী মায়ের ফোনে যদি একটি মাত্র সন্তান থেকে থাকে তাহলে আল্ট্রাসনোগ্রাম প্রেগনেন্সি রিপোর্টে লেখা থাকবে ১/ওয়ান/সিঙ্গেল। আর যদি ডাবল অর্থাৎ যমজ সন্তান থেকে থাকে সেক্ষেত্রে আল্টাসনোগ্রাম প্রেগন্যান্সি রিপোর্টে লেখা থাকবে ২/টু/ডাবল। অর্থাৎ ফেটাল নাম্বারের সাহায্যে আপনি ভ্রুনের সংখ্যা জানতে পারবেন।
২. Fetal Heart Rate. আল্ট্রাসনোগ্রাম প্রেগনেন্সি রিপোর্ট থেকে আপনি মূলত ফেটাল হার্ড রেট এর দ্বারা প্রতি মিনিটে গর্ভে অবস্থানরত সন্তানের হৃদস্পন্দনের হার বুঝতে পারবেন। মানে আপনার সন্তানের হার্টবিট স্বাভাবিক রয়েছে নাকি অস্বাভাবিক সে সম্পর্কে অবগত হওয়া যাবে এই রিপোর্টের সাহায্যে।
৩. Fetal position. ফেটাল পজিশন মানে হচ্ছে ভ্রুনের অবস্থান। মূলত ফেটার পজিশন যদি ঠিক থেকে থাকে তাহলে খুব সহজেই নির্বাচন করা যায় গর্ভে থাকা সন্তানকে ছেলে হতে চলেছে নাকি মেয়ে। তাই রিপোর্টের এই অপশনটির ব্যাখ্যা থেকে আপনি আপনার সন্তানের পজিশন সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।
৪. Fetal Anatomic survy. গর্ভে অবস্থানরত সন্তানের হার্ট, কিডনি, পাকস্থলী, ভেসেল, ইত্যাদি তৈরি হয়েছে কিনা এবং সেগুলোর অবস্থান সঠিক রয়েছে কিনা সে সম্পর্কে জানা যাবে আল্টাসনোগ্রাম রিপোর্ট থেকে। 
৫. Amoniotic Fluid Index. Amniotic Fluid index– এর দ্বারা গর্ভের তরল সূচককে নির্দেশ করা হয়, যেখানে গর্ভের ভ্রুননল ভাসমান অবস্থায় থাকে। এক্ষেত্রে অ্যামনিওটিক ফ্লুইড সূচক- 5 cm থেকে 25 cm এর মধ্যবর্তী হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু 5 এর কম হলে অলিগোহাইড্রামনিওস এবং 25 এর বেশি হলে পলিহাইড্রামনিওস সমস্যা হয়। অর্থাৎ রিপোর্টের এই বিষয়টি থেকে আপনি ভ্রুনের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পারবেন। 
৬. GA- Gestational Age. এটি থেকে গর্ভাবস্থা কতটা দীর্ঘতা সম্পর্কে জানা যায়।
৭. HC- Head Circumference. HC- Head Circumference- ভ্রুনের মাথার পরিধি কতটুকু তা নির্দেশ করে থাকে।
৮. Placenta. গর্ভাবস্থায় জরায়ুতে বিকাশ লাভ করা একটি অঙ্গ হলো এটি, যা ক্রমবর্ধমান শিশুকে অক্সিজেন এবং পুষ্টি প্রদান করে পাশাপাশি শিশুর রক্ত ​​থেকে বর্জ্য পদার্থও বের করে দেয়। সেই সাথে এটি জরায়ুর প্রাচীরের সাথে সংযুক্ত হয় এবং এটি থেকে শিশুর নাভির উদ্ভব হয়
৯. AC- Abdominal Circumference. ভ্রুনের পেটের পরিধি প্রকাশ করে AC- Abdominal Circumference. অর্থাৎ আল্ট্রাসনোগ্রাম প্রেগনেন্সি রিপোর্ট এর এই মাধ্যমে আপনি সন্তানের পেটের পরিধি জানতে পারবেন।
১০. FL- Femur Length. ভ্রুনের দৈর্ঘ্য কতটুকু তা জানতে পারবেন এটি থেকে
১১. BPD- Biparietal Diameter. BPD হলো ভ্রুণের পরিমাপের একটি প্যারামিটার। এটি ভ্রুণের ব্যাস নির্দেশ করবে। 

গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা কেমন হওয়া উচিত

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায়

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় হিসেবে বেশ কিছু মাধ্যম রয়েছে। তবে সাধারণত আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টের ডেসক্রিপশন অপশনে যদি লেখা থাকে জেন্ডার- এম, তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনার গর্ভে থাকার সন্তানটি ছেলে হতে চলেছে।

অন্যদিকে যদি আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টের ডেসক্রিপশন বক্সে জেন্ডার- এন লেখা থাকে তাহলে ধরে নেওয়া যায় উক্ত সন্তানটি মেয়ে হতে চলেছে। তবে হ্যাঁ কখনো কখনো ছেলে সন্তানকে জেন্ডার বয় হিসেবেও সম্বোধন করা হয়।

কিন্তু আপনার সন্তানের অবস্থান যদি ঠিক না থাকে সেক্ষেত্রে বেশকিছু বিষয়ের উপর ভিত্তি করে জেন্ডার নির্ধারণ করা হয়। সেগুলো হচ্ছে:-

  • গর্ভবতী মায়ের রক্তচাপ
  • রিপোর্টের চিহ্ন এবং
  • ভ্রুনের হার্টবিট।

তবে একটা বিষয় সকলেরই মনে রাখা উচিত, সেটা হলো– বর্তমানে এই আধুনিক টেকনোলজির যুগে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্বময় পর্যন্ত একদমই ১০০% নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয় যে আপনার সন্তানের জেন্ডার কি হতে চলেছে!

কেননা আল্টাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় সম্পর্কে জানার পরেও এবং চিকিৎসকরা বলার পরবর্তীতেও কখনো কখনো মেয়ে হতে পারে আবার কখনো কখনো ছেলেও হতে পারে। তবে বেশিরভাগ সময় আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট সঠিক তথ্য প্রদান করে।

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট মেয়ে বুঝার উপায়

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট মেয়ে বুঝার উপায় হলো- জেন্ডার এন অথবা জেন্ডার গার্ল। মূলত হাতে পাওয়ার রিপোর্টে যদি আপনি আল্ট্রাসনোগ্রাম ডেসক্রিপশন বক্সে gender-n or gender girl দেখতে পান তাহলে নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনার মেয়ে হতে চলেছে।

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে বুঝার উপায়

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে বুঝার উপায় হলো- জেন্ডার এম অথবা জেন্ডার বয়। মূলত হাতে পাওয়ার রিপোর্টে যদি আপনি আল্ট্রাসনোগ্রাম ডেসক্রিপশন বক্সে gender-m or gender boy দেখতে পান তাহলে নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনার ছেলে হতে চলেছে।

তবে হ্যাঁ, কখনো কখনো চিকিৎসকরা কিছু বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করে ইঙ্গিত করেন তা ছেলে হতে চলেছে নাকি মেয়ে। ধরুন আপনাকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে– সেই রিপোর্টের নিচে যদি কোন ছবি দেওয়া থাকে এবং সেই ছবিতে যদি ডান পাশে কোন চিহ্ন বা + দেওয়া থাকে তাহলে ধরে নিতে পারেন সেটা ছেলে হওয়াকে ইঙ্গিত করছে। 

অন্যদিকে যদি বাম পাশে প্লাস বা কোন ধরনের চিহ্ন দেওয়া দেখে থাকেন তাহলে বুঝতে হবে চিকিৎসকরা তা মেয়ে হবার বিষয়কে ইঙ্গিত করছে।

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে বুঝার উপায়

বাচ্চার জেন্ডার আলট্রাসাউন্ডে না বুঝতে পারার কারন কি?

বাঁচার জেন্ডার কি সেটা আল্ট্রাসাউন্ডে না বুঝতে পারার কারন হচ্ছে– ভ্রুনের স্বাভাবিক বিকাশ অব্যাহতি। যদি ভ্রুণ সঠিক রূপে বৃদ্ধি না পায় বা সাধারণ ছোটখাটো কিছু সমস্যা থেকে থাকে তাহলে বাচ্চার জেন্ডার সুস্পষ্ট ভাবে প্রকাশ পায় না। 

তবে হ্যাঁ, প্রথমবার আল্টাসনোগ্রাম রিপোর্টে যদি এমন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে ৩০ সপ্তাহ পরবর্তীতে পুনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে পারবেন। আশা করা যায় এ পর্যায়ে আপনি আপনার বাচ্চার জেন্ডার বুঝতে পারবেন আল্টাসাউন্ড এর মাধ্যমে।

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বুঝতে না পারলে কি করবো?

আমাদের আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনি এটা নির্বাচন করতে পারবেন যে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে নাকি মেয়ে। তবে হ্যাঁ অনেকেই আবার এমন প্রশ্ন করে থাকেন আর্টাসনোগ্রাম রিপোর্ট বুঝতে না পারলে কি করব? এক্ষেত্রে আপনি অভিজ্ঞদের সাহায্য নিতে পারেন অথবা চিকিৎসকের কাছ থেকেই জেনে নিতে পারেন। 

তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজ এ পর্যন্তই। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় সম্পর্কিত আলোচনার ইতি টানছি এখানেই। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ। 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *