কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না
কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না: যারা দেশের হয়ে কাজ করতে চান এবং সেনাবাহিনীর চাকরিকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে চান, তাদের আজকের এই আর্টিকেলে স্বাগতম জানাই। সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আপনারা যারা স্বপ্ন দেখছেন একসময় সেনাবাহিনীর হয়ে দশের সাথে দেশের জন্য কাজ করবেন তাদের মনে নিশ্চয়ই স্বাভাবিক একটি প্রশ্ন এসে থাকে। প্রশ্নটি হলো– কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না।
একটা বিষয় যদি আপনি লক্ষ্য করেন তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন, বর্তমান সময়ে মানুষ কর্মক্ষেত্রের জন্য এত এত সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও, সরকারি চাকরির মায়া ছাড়তে পারেন না। আবার কারো কারো স্বপ্ন থাকে ডিফেন্সে চাকরি করবে। তাই আজকের এই আর্টিকেল সত্যিই সেই সব মানুষদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দেখুন আপনি নিশ্চয়ই জানবেন অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে যেমন শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতা কে প্রাধান্য দেওয়া হয়, এই চাকরির ক্ষেত্রে একদমই সেটা করা হয় না। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে আপনি যদি সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন একজন বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে।
কিন্তু এর পাশাপাশি আপনার অন্যান্য আরো বিষয় যাচাই-বাছাই করা হবে। মূলত বেশ কিছু পরীক্ষার পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য একজন সৈনিক কে নির্বাচন করা হয়। তাই আমাদের আজকের প্রবন্ধে আপনাদের প্রশ্নের জবাব দেব। তো আসুন জেনে নেই, কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না এ সম্পর্কে বিস্তারিত।
আজকের আলোচনায় আপনি যা যা পাবেন:
- মেয়েদের কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না
- ছেলেদের কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না
- সেনাবাহিনী হতে কি কি লাগে?
- সেনাবাহিনীর শারীরিক যোগ্যতা
- কি কি রোগ থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না
- সেনাবাহিনীতে কি কি পরীক্ষা করা হয়?
- সেনাবাহিনী মাঠে কি কি করতে হয়?
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশীদের জন্য টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়
কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না
সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে চাইলে কতটুকু উচ্চতা হতে হবে, ওজন হতে হবে কতটুকু এ বিষয়ে প্রায় সকলেরই জানা। কেননা সেনাবাহিনীর চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে প্রায় এই সবকিছুই উল্লেখ করা থাকে। আর তাইতো বেশিরভাগ সময়ে দেখা যায়, যাদের উচ্চতা ভালো, শারীরিক গঠন স্বাস্থ্যবান এবং সুন্দর, তারা সেনাবাহিনীতে চাকরি করার উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট একটা দিনে সেনাবাহিনীর লাইনে দাঁড়ান।
তাদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ সিলেক্ট হয় আবার কেউ কেউ রিজেক্টেড হয়ে যায়। আর এই নিয়ে যেন চিন্তার কোন শেষ নেই। কেউ স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্যে কেউবা একটা চাকরি করার আশায় দাঁড়িয়ে যান সেনাবাহিনীতে। আবার কেউ কেউ রয়েছেন যারা দাঁড়ানোর কথা চিন্তা করছেন কিন্তু এটা ভেবে অনেক বেশি দুশ্চিন্তায় ভুগছেন, যে আপনি সেনাবাহিনীতে চাকরি করার জন্য উপযুক্ত কি না?
এ বিষয়টা মূলত আমাদের আজকের আর্টিকেল যদি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে পড়েন তাহলে অনেকটাই ক্লিয়ার হয়ে যাবে। কেননা সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে শারীরিক বেশ কিছু বিষয় বিশেষভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। মূলত আপনি যদি সেনাবাহিনীতে যোগদানের পূর্বে মাত্র তিনটি বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখেন তাহলে বলা যায় আপনি একজন যোগ্য পার্থী এবং এই বিষয়গুলো যদি আপনার মধ্যে ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই সিলেক্টেড হবেন।
সেনাবাহিনীতে চাকরির যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে হলে আপনার নিম্ন বর্ণিত এই তিনটি বিষয়- এ বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। যথা:
- শারীরিক যোগ্যতা
- সিলেকশন প্রক্রিয়া বা বাছাইকরণ পদ্ধতি
- রিজেকশন বা বাতিলের কারণ।
সেনাবাহিনীর মাঠে কি কি হয়?
সেনাবাহিনীর মাঠে মূলত একজন চাকরিপ্রার্থীর ফিটনেস পরীক্ষা করা হয়। আর এটা সম্পূর্ণ আউট লুক অর্থাৎ বাইরের। অনেকেই হয়তো আউটলুক শব্দটির অর্থ এমনভাবে নিতে পারেন, মনে করতে পারেন সৌন্দর্যের বাছাই করা হয়। তবে না এটা একদমই ভুল। আউটলুক ফিটনেস মূলত সে সুন্দর না অসুন্দর, ফর্সা না কালো এগুলো নয়। তার শরীর ফিট কি না এবং ওজন ও অন্যান্য দিক ঠিকঠাক আছে কিনা এগুলো যাচাই বাছাই করা হয়।
তাই স্বাভাবিকভাবে আপনার উচ্চতা যদি নূন্যতম ৫ ফিট ৬ ইঞ্চি হয়, ওজন প্রায় ৫০ কেজির মত হয় বা তার বেশি এবং বুকের মাপ ৩০ বা ৩২ তাহলে ধারণা করতে পারেন যে আপনি সেই সব পারফেক্ট এর মধ্যে একজন। মানে আপনার আউটলুক তাদের চাহিদা অনুযায়ী রয়েছে।
মেয়েদের কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না
বর্তমান সময়ে ছেলে অথবা মেয়ে কেউ কারো থেকে পিছিয়ে নেই। আর তাইতো এই সময় ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও সেনাবাহিনীতে নিয়োগ পাচ্ছেন। মূলত যেকোনো কাজেই এখন ছেলের পাশাপাশি মেয়েরাও তালে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে। এখন কথা হল মেয়েদেরকে মূলত কি কি কারণে রিজেক্ট করা হয়? মেয়েদের কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না? আর্টিকেলের এ পর্যায়ে আমরা সেটা সম্পর্কেই বিস্তারিত জানব।
সেনাবাহিনীতে নিয়োগ পেতে হলে একজন মেয়ের উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ১ ইঞ্চি হতেই হবে। সেকেন্ড ধাপে ওয়েট চেক করা হবে। একজন মেয়ের যদি উচ্চতা পাঁচ ফুট এক ইঞ্চি হয় তাহলে তার ওজন অবশ্যই 40 থেকে 41 কেজি হতে হবে। মূলত ওজনের তুলনায় হাইট কম বা হাইট এর তুলনায় ওজন অতিরিক্ত হলে সেনাবাহিনীর চাকরি হবার সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে।
পরবর্তীতে ব্লাড প্রেসার এবং হার্টবিট চেকআপ করা হয় মেয়েদের। স্বাভাবিকের থেকে অতিরিক্ত বা অল্প সবকিছু যাচাই-বাছাই করা হয় সেনাবাহিনীর চাকরির ক্ষেত্রে। মূলত একটা মেয়ের শরীরের ভেতরে যে কোন ছোট ছোট সমস্যা তাদের সৈনিক হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। মূলত তার সব রকমের টেস্ট করা হয় এবং টেস্ট নরমাল হলে তবেই সেনাবাহিনীর জন্য তাকে নির্ধারণ করা হয়।
মেয়েদের মেডিকেল চেকআপের পাশাপাশি আরো কিছু বিষয় খুব কড়াভাবে নজরে রাখা হয়। যেমন:
- সোজা হয়ে দাঁড়ানোর পর দুই পায়ের মাঝখানে ফাঁকা থাকে নাকি না। যদি কারো ফাঁকা থাকে তাহলে সেটা গ্রহণযোগ্য আর যদি দুই পা একসঙ্গে করে দাঁড়ানোর পর মাঝখানে ভরাট হয়ে যায় তাহলে সে রিজেক্টেড হবে।
- মেয়েদের নাক পরীক্ষা করা হয়। কেননা অনেক সময় নাকের ভেতরের মাংস বৃদ্ধি পেয়ে যায় তাই না ঠিকঠাক রয়েছে কিনা কখনো সার্জারি করা হয়েছে কিনা, এই প্রত্যেকটি বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
- সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে চাইলে অবশ্যই একটা মেয়ের ইউরিন টেস্ট ঠিক ঠাক থাকতে হবে। কেননা মেডিকেলে মেয়েদের মূত্রনালীতে কোন ইনফেকশন রয়েছে কিনা এটাও পরীক্ষা করা হয় এমনকি ফুল বডি এক্সরে করা হয়। এতে করে এটা চেক করা হয় যে শরীরের কোন হাড় ভাঙ্গা রয়েছে কিনা বা সবকিছু ঠিকঠাক রয়েছে কিনা।
- সেনাবাহিনীতে চাকরির জন্য কানের শ্রবণশক্তিও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। থেকে কম বা অতিরিক্ত শুনলেও সেনাবাহিনীতে চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। শ্রবণ শক্তির সাথে সাথে মেয়েদের দৃষ্টি শক্তিও পরীক্ষা করা হয়।
- জিহ্বা হাত হাতের আঙ্গুল সবকিছুই পরীক্ষা করা হয় সেনাবাহিনীর চাকরির ক্ষেত্রে। আর এটা শুধু মেয়েদের ক্ষেত্রে নয় মূলত ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই।
- পাশাপাশি হার্নিয়া বা পাইলসের মতো কোনো রোগ রয়েছে কিনা এ বিষয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
এবার চলুন জেনে নেই সেনাবাহিনীতে আবেদন করার পূর্বে আপনার কি কি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। এ পর্যায়ে মূলত আমরা সেই সকল সমস্যাগুলো বিস্তারিত আলোচনা করব যেগুলো ছেলে-মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তাহলে আসুন শুরু করি,
কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না ছেলে মেয়ে উভয়ের
সেনাবাহিনীতে মূলত অবশ্যই হাতেগোনা কয়েকটি সমস্যা খুব কড়াভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। সেগুলো হলো:
- শরীরের কোন কাটা দাগ
- উচ্চতা এবং সে অনুযায়ী ওজনের পরিমাণ
- চোখের, দাঁতের বা ত্বকের কোন সমস্যা
- বাজে নেশা বা জটিল কোন রোগ
- পা বা ফ্ল্যাট ফিড সমস্যা হওয়া এবং
- ভার্জিনিটি পরীক্ষা।
শরীরে কাটা দাগ
সেনাবাহিনীতে চাকরি না হওয়ার কারণ হিসেবে অন্যতম একটি হচ্ছে শরীরের কোন গভীর কাটা দাগ। সুতরাং আপনার শরীরের যদি কোথাও কাটা দাগ অতিরিক্ত পরিমাণে থেকে থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার সমস্যাটা জটিল এবং সেনাবাহিনীর চাকরি হওয়াটা খুবই কঠিন। আর এটা শুধু হাতে পায়ে বা গায়ে নয় আপনার মুখ মাথা যে কোন স্থানেই হতে পারে। মূলত এই চাকরির ক্ষেত্রে শরীরের কাটা দাগকে খুবই কড়া ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বাছাই করা হয়।
সেই সাথে আপনার মাথায় যদি চুল না থাকে অর্থাৎ আপনি টাক হয়ে থাকেন তাহলেও আপনার সেনাবাহিনীর চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। পাশাপাশি আপনার মাড়িতে স্বাভাবিকের থেকে অতিরিক্ত দাঁত থাকলেও এই বিষয়টিও নজরে আনা হয়। সুতরাং আপনার মাঝে যদি এই সমস্যাগুলো আপনি দেখতে পান তাহলে বুঝবেন সেনাবাহিনীর চাকরি হওয়াটা আপনার জন্য বড্ড কঠিন।
উচ্চতা অনুযায়ী শরীরের ওজন
সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে চাইলে অবশ্যই তাদের নির্ধারিত উচ্চতার অধিকারী হতে হবে এটা আমাদের সকলের জানা। কিন্তু সেই উচ্চতা অনুযায়ী আবার ওজনও ঠিকঠাক থাকতে হবে। বেটে হলে চলবে না আবার অতিরিক্ত ওজন হলেও চলবে না। যদি আপনি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে আপনার উচ্চতা যদি পাঁচ ফুট এক ইঞ্চি হয় তাহলে আপনার ওজন হতে হবে ৪০ থেকে ৪১ কেজি। তাই এই বিষয়টিও যাচাই-বাছাই করবেন।
দাঁত, মারি, ত্বক অথবা চোখের কোন সমস্যা
সেনাবাহিনীর চাকরির ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলো বেশ বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। কেননা এই চাকরির ক্ষেত্রে চাকরি প্রার্থীর শরীরকে নিখুঁতভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তাই আপনার শরীরে যদি চুলকানি, শ্রেতরোগ, কুষ্ঠ রোগ বা মারাত্মক কোন চুলকানির সমস্যা থাকে তাহলে আপনার সেনাবাহিনীর চাকরি হবে না।
সেই সাথে আপনি যদি চোখে কম দেখেন তাহলেও আপনাকে অযোগ্য বলে গ্রহণ করা হবে। মুখের মধ্যে অতিরিক্ত বাড়তি দাঁত থাকলেও সেটা সেনাবাহিনীর চাকরির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে আবার নাকের মধ্যে অতিরিক্ত মাংস থাকলেও এ বিষয়টা নজরে আনা হয়। মূলত শরীরের খুঁটিনাটি সবকিছু চেকআপ করা হয় সেনাবাহিনীর চাকরির প্রার্থীদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে।
হাত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা
কিছু মানুষের হাত শুধু শুধু অতিরিক্ত হারে ঘেমে যাবার সমস্যা থেকে থাকে। যেটা বড্ড অস্বস্তিকর। আপনার যদি এই সমস্যাটা থাকে তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনি সেনাবাহিনীর চাকরির জন্য যোগ্য হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবেন না, মানে আপনাকে অযোগ্য বলে গণ্য করা হবে। তাই এই বিষয়টাও মাথায় রাখুন।
ফ্ল্যাট ফিড সমস্যা
আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যাদের একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ফ্ল্যাট ফিড এর সমস্যা রয়েছে। অনেকেই হয়তো এই শব্দটির সাথে নতুন পরিচিত। তবে এটা খুব কঠিন একটা সমস্যা না হলেও সেনাবাহিনীর চাকরির ক্ষেত্রে এ বিষয়টিকে কড়া ভাবে নজরে রাখা হয়। ফ্ল্যাট ফিড সমস্যার মানে হল দুই হাটু একসঙ্গে মিশে যাওয়া।
মনে করুন আপনি দুই পা একেবারে একসঙ্গে রেখে দাঁড়িয়েছেন। এখন যদি আপনার পায়ের মাঝ বরাবর অর্থাৎ হাটুতে কোন ফাঁকা অংশ না থাকে তাহলেই আপনাকে ফ্ল্যাটফিড সমস্যা রয়েছে বলে আখ্যায়িত করা হবে। সুতরাং আপনি রিজেক্টেড হয়ে যাবেন সেনাবাহিনীর চাকরির প্রার্থীদের মধ্যে থেকে।
ভার্জিনিটি চেকআপ
বিষয়টা একটু অন্য রকমের হলেও সত্যি যে সেনাবাহিনীর চাকরির ক্ষেত্রে আপনি ভার্জিন কি না এ বিষয়টা নজরে আনা হয়। আপনি যদি ভার্জিন না হন তাহলে আপনাকে বাতিল করে দেওয়া হবে। মনে রাখবেন কোন প্রকার যৌন রোগে আক্রান্ত হলে আপনাকে ডিফেন্স স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরবর্তীতে রিজেক্ট করে দেয়া হবে।
তাছাড়াও যদি আপনার গোপনাঙ্গে কোন বড় ধরনের অসুখ থাকে এমনকি আপনার অন্ডকোষ ছোট অথবা অতিরিক্ত বড় হয় এক্ষেত্রেও আপনাকে বাতিল করা হবে। সেই সাথে যারা অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করেন তাদেরও সেনাবাহিনীর চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না বললেই চলে। কেননা এই প্রত্যেকটি বিষয় খুব তীক্ষ্ণভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার মাধ্যমে একজন প্রার্থীকে সিলেক্ট করা হয়।
পরিশেষে: তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার পর সম্পূর্ণটা জানতে পেরেছেন। তো সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন খুব শীঘ্রই আবারো আপনাদের সাথে নতুন টপিকে নতুন কোন আলোচনায় দেখা হবে কথা হবে। সবাইকে আল্লাহ হাফেজ।