সুমাইয়া নামের অর্থ কি? কেন এত জনপ্রিয়?
সুমাইয়া এটি হয়তো বা মানুষের পছন্দের নামের তালিকার প্রথম সারির মধ্যে একটি। গ্রাম হোক আর শহরের মানুষ নামটি আসলেই সবার সাথে মানানসই বটে।
একটু খেয়াল করলেই দেখবেন আপনার ফেসবুকের ফ্রেন্ডলিস্টে ও ডজনখানেক সুমাইয়া আছে। আর যদি ভুলক্রমেও সুমাইয়া নামের কাউকে ফেসবুকের সার্চ বক্সে খুঁজতে গেছেন তাহলে এন্টার চাপার সাথে সাথে লাখ খানেক সুমাইয়ার আইডি সামনে চলে আসবে। এত লম্বা নামের লিস্ট এর ভিড়ে আপনি কনফিউজ হয়ে যাবেন আপনি আসলে কোন সুমাইয়াকে খুজতেছিলেন।
আসলে সুমাইয়া নামের অর্থ কি? কেনই বা এই নামের এত জনপ্রিয়তা? যদিও নিঃসন্দেহে এটি বাংলাদেশি মেয়েদের সুন্দর নাম গুলোর মধ্যে অন্যতম, তাই বলেই কি সবাইকে এই নামটিই পছন্দ করতে হবে? নাকি এই নামের বিশেষ কোন অর্থ আছে? তারই চুলচেরা বিশ্লেষণ করবো আজ আমরা।
চলুন শুরু করা যাক..,
সুমাইয়া নামের অর্থ কি?
সুমাইয়া শব্দটি মূলত (আসমা) (সামা) অথবা সিমাহ শব্দের ইসমে মুসাগগার, তথা ক্ষুদ্রত্ববাচক বিশেষ্য। আর আসমা/ইসম এর বহুবচন। ইসম অর্থ নাম, খ্যাতি, সুনাম ইত্যাদি। সামা অর্থ উন্নত, উচ্চ। আর সিমাহ অর্থ স্বতন্ত্র চিহ্ন বা নিদর্শন।
সুতরাং সুমাইয়া নামের অর্থ হবে যথাক্রমে সুনাম, সুখ্যাতি অথবা সুউচ্চ, সমুন্নত কিংবা স্বতন্ত্র চিহ্ন বা নিদর্শনের অধিকারী। এবং বলা যেতেই পারে এর সুন্দর অর্থের কারনেই হয়তোবা সবাই এই নামটি পছন্দ করেন।
সুমাইয়া নামটির কেন এত জনপ্রিয়?
প্রকৃতপক্ষে সুমাইয়া এমন একটি নাম, যেটি অর্থ এবং সৌন্দর্য্য দুই দিক থেকেই দশে দশ। নামটি যথাক্রমে ইসলামি, মর্ডান, ছোট, মানানসই এবং অর্থবহ।
তাছাড়াও নামটির সাথে একটি বিশেষ ইসলামিক ইমোশন জড়িয়ে আছে। ইসলামের প্রথম শহীদ ব্যক্তি হলেন হযরত সুমাইয়া (রাঃ)। এবং তিনি ছিলেন শুরুর দিকে ইসলাম গ্রহনকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭তম।
আর এসব বিশেষ বিশেষ কারনে এই সুমাইয়া নামটি বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের প্রায় সকল দেশে এত জনপ্রিয়। “সুমাইয়া নামের অর্থ কি” লিখে শুধুমাত্র বাংলাদেশেই গড়ে প্রায় ৬ হাজার মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন।