বিদেশ যাওয়ার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম
বিদেশে যাওয়ার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম জানার প্রয়োজন পড়ে, যে বা যারা নিজ দেশ থেকে বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। কেননা বিদেশ যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট তৈরি সহ অন্যান্য শর্ত সমূহ পূরণের জন্য মেডিকেল চেকআপ বাধ্যতামূলক।
আর সেই বিদেশ যাওয়ার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করা যায় এখন অনলাইনের মাধ্যমেই। তাই আজকে আমরা বিদেশ যাওয়ার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম জানাবো আপনাদেরকে।
তো পাঠক বন্ধুরা, আপনি যদি বিদেশ যাওয়ার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান– তাহলে নিম্ন বর্ণিত স্টেপগুলো ফলো করুন। পাশাপাশি জেনে নিন– পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম এবং মেডিকেল রিপোর্ট সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় সম্পর্কে।
মেডিকেল রিপোর্ট চেক
বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাই মূলত মেডিকেল রিপোর্ট। আপনার শারীরিক ফিটনেস ঠিক রয়েছে কিনা, শরীরের অভ্যন্তরে জটিল কোন রোগের বাসা বেধেছে কিনা বা আপনার মাঝে কোন ছোঁয়াচে অথবা বিপদজনক এমন কোন রোগ রয়েছে কিনা– এটা নিশ্চিত হতেই মূলত মেডিকেল রিপোর্ট চেক করা হয়।
তাই ছাড়া বিদেশে ভ্রমণে যেতে ইচ্ছুক তাদেরকে অবশ্যই বাধ্যতামূলকভাবে মেডিকেল চেকআপ করাতে হয়। আর উক্ত মেডিকেল রিপোর্ট ফিট নাকি আনফিট সেটা জানার জন্য অবশ্যই চেক করা জরুরী হয়ে পড়ে। আর সেই মেডিকেল রিপোর্ট মূলত অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে চেক করা যায়।
আর হ্যাঁ, বিদেশ যাওয়ার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম আপনার নিজেরই জেনে রাখা জরুরী। কেননা আপনি যদি অন্যের সহযোগিতায় অথবা দালালের মাধ্যমে মেডিকেল সার্টিফিকেট পেতে চান তাহলে সেটা দুই নাম্বার হবে এমনটাই আশা করা যায়, যেটা পরবর্তীতে আপনার জন্য বিপদ ডেকে আনবে।
তাই এ ধরনের বিপদ এড়িয়ে চলতে চাইলে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার উপায় জানান পাশাপাশি অন্যান্য কাজকর্মগুলো নিজে থেকে সম্পাদন করার চেষ্টা করুন। কেননা এখন পাসপোর্ট সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে নিজ দেশ থেকে বাইরের দেশে যাওয়ার জন্য প্রায় সকল কার্যকলাপ নিজে নিজে অনলাইনের মাধ্যমেই করা সম্ভব। এবার আসুন জানি মেডিকেল রিপোর্ট কাকে বলে বা মেডিকেল রিপোর্ট কি?
মেডিকেল রিপোর্ট কি?
মেডিকেল রিপোর্ট হলো: একটি নথি বা দলিল, যা ডাক্তার বা চিকিৎসক সংশ্লিষ্ট রোগীর চিকিৎসার প্রস্তাব, নির্দেশাবলী এবং তার স্বাস্থ্যগত অবস্থার তথ্য সংক্রান্ত বিবরণ ধারণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই রিপোর্টে সাধারণত
- শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষা ফলাফল,
- টেস্ট রেজাল্ট,
- রোগীর সমস্যার বর্ণনা,
- প্রেসক্রিপশন,
- রোগীর প্রয়োজনীয় ঔষধ,
- চিকিৎসার পরামর্শ ইত্যাদি উল্লেখ থাকে।
মেডিকেল রিপোর্ট মূলত মেডিকেল চেকআপ করার পরবর্তীতে অর্থাৎ ডাক্তারের চিকিৎসার পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী তৈরি হয় এবং এটি রোগীর চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত সকল ব্যক্তিগত ও মেডিকেল তথ্যের সংক্রান্ত দলিল হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
এটি বিভিন্ন উপাদান সমূহের একটি সংগ্রহ ও তালিকাভুক্তি হিসাবে কাজ করে। মেডিকেল রিপোর্ট সাধারণত প্রিন্ট করে প্রদান করা হয়, যাতে রোগী ও অন্যান্য চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ সংক্ষেপে পরদর্শিত তথ্য পেতে পারেন। আর এই রিপোর্টটি ডাক্তার বা চিকিৎসকের সাথে সংযুক্ত হয়।
তাই যে বা যারা বিদেশ যেতে ইচ্ছুক তাদের ভিসা বা পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য মেডিকেল চেকআপ করা বাধ্যতামূলক হয় এবং ওই মেডিকেল চেকআপ এর সার্টিফিকেট শর্তসাপেক্ষে ডকুমেন্টের সঙ্গে জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
আর হ্যাঁ এই মেডিকেল চেকআপ সাধারণত বিদেশ যাওয়ার জন্য ভিসা করার অনেক পূর্বেই করা হয়। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক আপনি এই বিদেশ যাওয়ার মেডিকেল চেকআপ মূলত কয়টি উপায় চেক করতে পারবেন!
জেনে নিনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
বিদেশ যাওয়ার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার উপায় কয়টি?
বিদেশ যাওয়ার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম বা উপায় হিসেবে আপনি দুইটি মাধ্যম কে বেছে নিতে পারেন। কেননা বিদেশ যাওয়ার জন্য যে মেডিকেল টেস্ট করা হয় তার রিপোর্ট দুই উপায়ে চেক করা যায়। যথা:-
- ১. যে দেশে যাচ্ছেন সেই দেশের ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট থেকে
- ২. ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর ওয়েবসাইট থেকে।
অনেকেই মেডিকেল রিপোর্ট দেখার বিকল্প পদ্ধতি জানতে চান। আর তাদের জন্য মূলত দ্বিতীয় মাধ্যমটি বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে সাজেস্ট করা হচ্ছে। কেননা বিকল্প হিসেবে এই একটি উপায় রয়েছে। আপনি যে মেডিকেল ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সমস্ত টেস্ট করিয়েছেন সেই সেন্টারে নিজস্ব ওয়েবসাইটে গিয়ে টেস্ট রিপোর্ট চেক করার অপশন থেকে আপনি খুব সহজেই আপনার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে পারবেন নির্ঝামেলায়।
এবার আসুন জেনে নেই- পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম। চেষ্টা করবেন আর্টিকেলের এইটুকু অংশ মনোযোগ সহকারে পড়বার। কেননা ধাপে ধাপে শুধুমাত্র এই কয়েকটি কাজ সম্পন্ন করলে আপনি পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে বিদেশে যাওয়ার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে পারবেন মাত্র দুই মিনিটে।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক
আপনি যে দেশটিতে যাচ্ছেন ওই দেশের ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট থেকে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে পারবেন আমাদের সাজেস্টকৃত নিয়ম বা পদ্ধতি অনুসরণ করে। মনে করুন আপনি মধ্যপ্রাচ্যের কোন একটি দেশে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাবেন। সেটা হতে পারে আরব আমিরাত, আবার হতে পারে বাহারাইন অথবা ওমান। তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি মূলত নিজের উল্লেখিত ধাপ গুলো সম্পন্ন করবেন। যথা:-
- প্রথমত: ভিজিট করবেন https://wafid.com/medical-status-search/ এই লিংকে।
- দ্বিতীয়ত: পাসপোর্ট নাম্বার অথবা জিসিসি মেডিকেল স্লিপ নাম্বার যেকোনো একটি উল্লেখ করবেন।
- তৃতীয়ত: সাজেস্টকৃত ক্যাপচা টি পূরণ করবেন।
- চতুর্থত: ক্লিক করবেন চেক বাটনে।
ব্যাস পরবর্তীতে আপনাকে আপনার মেডিকেল রিপোর্ট দেখানো হবে অর্থাৎ আপনার সামনে আপনার মেডিকেল রিপোর্ট এর সার্টিফিকেট শো করানো হবে উক্ত ওয়েবসাইটে।
আর যেহেতু আমরা প্রত্যেকেই গুগলে খুব বেশি একটিভ এবং সচরাচর যে কোন কিছু জানার প্রয়োজন পড়লে গুগলে সার্চ করে থাকি। তাই আপনি যে দেশে যাবেন সেই দেশের মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার ওয়েবসাইট লিখেও সার্চ করতে পারেন নতুন ব্রাউজার ওপেন করে।
কেননা এতে করে আপনাকে google সর্বদা আপনার কাঙ্ক্ষিত দেশটির ওয়েবসাইট লিংক সাজেস্ট করবে। তবে সচরাচর ইউজাররা যে দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য বেশি আগ্রহী এবং মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার জন্য সার্চ করে থাকেন, সেই সার্চ ইঞ্জিনের উপর ভিত্তি করে আমরা মেডিকেল রিপোর্ট চেক সৌদি, মালেশিয়া মেডিকেল রিপোর্ট চেক এবং কাতার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করব।
তাই আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত দেশটির ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট লিংক পেতে চাইলে আর্টিকেলের পরবর্তী অংশটুকু পড়তে পারেন। কারণ আমরা ধারাবাহিকভাবে আমাদের উল্লেখিত দেশগুলোর ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট থেকে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম তুলে ধরব আর্টিকেলের এ পর্যায়ে।
মেডিকেল রিপোর্ট চেক সৌদি
সৌদি আরবে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা মূলত গামকা অর্থাৎ জিসিসি মেডিক্যাল সেন্টার থেকে খুব সহজেই মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে পারবেন। এর জন্য ধারাবাহিকভাবে নিচের ধাপ গুলোর সম্পন্ন করুন। যথা:-
- প্রথমত: এটি নতুন ব্রাউজার ওপেন করুন।
- দ্বিতীয়ত: সার্চ করুন gcc medical checkup লিখে অথবা সরাসরি ভিজিট করুন wafid.com এই ওয়েবসাইটে।
- তৃতীয়ত: পূরণ করুন পাসপোর্ট নাম্বার। আর স্লিপ নাম্বার এর সাহায্যে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে চাইলে wafid slip number সিলেক্ট করে বসিয়ে দিন সঠিক নাম্বার।
- চতুর্থত: সিলেক্ট করুন আপনার জাতীয়তা অর্থাৎ ন্যাশনালিটি।
- পঞ্চমত: কোন ক্যাপচা পূরণের নির্দেশনা দিলে সেটা পূরণ করুন।
- ষষ্ঠমত: ক্লিক করুন চেক অপশনে।
ব্যাস সঙ্গে সঙ্গে মেডিকেল রিপোর্ট সাজেস্ট করা হবে উক্ত ওয়েবসাইটে। এবার আসুন মালয়েশিয়া মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।
তবে হ্যাঁ, আপনি মূলত আমাদের উল্লেখিত এই কয়েকটি নিয়ম ফলো করে সচরাচর প্রত্যেকটি দেশের ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট থেকে আপনার মেডিকেল রিপোর্ট অনলাইন এর মাধ্যমে চেক করতে পারবেন।
মালয়েশিয়া মেডিকেল রিপোর্ট চেক
আপনার ভ্রমণকৃত দেশটি যদি মালয়েশিয়া হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার জন্য আমাদের সাজেস্টকৃত লিংকে সরাসরি ভিজিট করে মাত্র চার টি ধাপ সম্পন্ন করার মাধ্যমে মালেশিয়া মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে পারবেন। যথা:-
- প্রথমত: ক্লিক করুন https://eservices.imi.gov.my/myimms/FomemaStatus এই লিংকে।
- দ্বিতীয়তঃ বসিয়ে দিন পাসপোর্ট নাম্বার
- তৃতীয়ত: সিলেক্ট করুন আপনার ন্যাশনালিটি অর্থাৎ বাংলাদেশ।
- চতুর্থত: ক্লিক করুন সাজেস্টকৃত বক্সটিতে।
যদি আপনার পাসপোর্ট নম্বর সঠিক উল্লেখ থাকে এবং আপনি আপনার জাতীয়তা ঠিকঠাক সিলেক্ট করে থাকেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আপনার সামনে আপনার মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট তুলে ধরা হবে, যেটা দেখে আপনি সহজেই বুঝে উঠতে পারবেন আপনার বিদেশ যাওয়ার মেডিকেল রিপোর্ট ফিট নাকি আনফিট।
কাতার মেডিকেল রিপোর্ট চেক
মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে উন্নত দেশ কাতারে যেতে হলেও মূলত মেডিকেল রিপোর্ট এর প্রয়োজন পড়ে। তাই আলোচনার এ পর্যায়ে কাতার মেডিকেল রিপোর্ট চেক অনলাইন পদ্ধতি আমরা ধারাবাহিকভাবে সাজেস্ট করব। তো আপনার ভ্রমণকৃত দেশটি যদি কাতার হয়ে থাকে তাহলে নিচের ধাপগুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে আপনি কাতার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে পারেন অনলাইনে। তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাকঃ-
- প্রথমত: https://wafid.com/medical-status-search/ এই লিঙ্কে প্রবেশ করুন
- দ্বিতীয়ত: মেডিকেল স্ট্যাটাস চেক এই অপশনে ক্লিক করুন।
- তৃতীয়ত: আপনার সামনে জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর অথবা পাসপোর্ট সিরিয়াল নাম্বার প্রদানের একটি অপশন আসলে সেখানে যেকোনো একটি উল্লেখ করে তা প্রদান করুন।
- চতুর্থত: আপনি যেহেতু বাংলাদেশ থেকে কাতারের যেতে চান তাই ন্যাশনালিটি বা জাতীয়তা কি সেটা উল্লেখ করুন অর্থাৎ সিলেক্ট করুন বাংলাদেশী।
- পঞ্চমত: যথাযথ ভাবে ক্যাপচা প্রশ্নের উত্তর দেন এবং সবশেষে সাবমিট অপশনে ক্লিক করুন।
ঠিক এভাবেই আপনার সামনে সঙ্গে সঙ্গে মেডিকেল রিপোর্ট তুলে ধরা হবে। আর হ্যাঁ এ পর্যায়ে আপনি চাইলেই আপনার যে মেডিকেল রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে তা ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন আপনার প্রয়োজনে।
তাই সরাসরি ডাউনলোড অপশন এ ক্লিক করুন এবং পিডিএফ আকারে বের করে নিয়ে সহজেই ব্যবহার করুন আপনার প্রয়োজনে। এবার আসুন পাসপোর্ট মেডিকেল রিপোর্ট চেক অনলাইন বাংলাদেশ এবং মেডিকেল রিপোর্ট ফিট রয়েছে নাকি আনফিট সেগুলো কিভাবে বোঝা যায় এ সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা যাক সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে।
জেনে নিনঃ ইতালি ভিসা আবেদন লিংক ও নিয়ম কানুন
পাসপোর্ট মেডিকেল রিপোর্ট চেক অনলাইন বাংলাদেশ
আর্টিকেলের এ পর্যন্ত আলোচনায় আশা করছি পাসপোর্ট ব্যবহার করে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার সিস্টেমটি বুঝতে সক্ষম হয়েছেন। তাই পাসপোর্ট মেডিকেল রিপোর্ট চেক অনলাইন বাংলাদেশ সম্পর্কে ইউজাররা সাধারণত যে সকল প্রশ্ন করে থাকেন তার সমাধানও পেয়েছেন।
তবে এ পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আলোচনা করবো আমরা। কেননা আপনি আপনার মেডিকেল রিপোর্ট যদি সংগ্রহ করেন কিন্তু সেটা যথাযথ রয়েছে কিনা সেটা বুঝতে না পারেন সেক্ষেত্রে কি করবেন? কোথায় বা কার কাছে যাবেন? এ প্রশ্নের উত্তর পেতে:-
প্রথমেই, আপনার পাসপোর্টের মেডিকেল রিপোর্টে থাকা রেফারেন্স নম্বর অনুসন্ধান করুন। সাধারণত এই রেফারেন্স নম্বর রিপোর্টের প্রথম পাতায় থাকে।
তারপরে, আপনি সরাসরি যে কোন মেডিকেল ল্যাবে যেতে পারেন যেখানে আপনার মেডিকেল রিপোর্ট প্রদান করবেন। কেননা আপনার মেডিকেল রিপোর্টের সমস্ত তথ্য যাচাই করে দিতে পারে সেই ল্যাবের কর্মীরা।
আর মূলত এই উপায়ে আপনি নিজেই আপনার পাসপোর্ট মেডিকেল রিপোর্টের সত্যায়ন করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, এটি কোনো অফিশিয়াল পদ্ধতি নয়, কিন্তু এই উপায়ে আপনি আপনার পাসপোর্ট মেডিকেল রিপোর্টের বৈধতা যাচাই করতে পারবেন বিকল্প পদ্ধতিতে। কিন্তু অফিশিয়ালি আপনার পাসপোর্টের মেডিকেল রিপোর্টের সত্যায়নের জন্য অফিসিয়াল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার প্রয়োজন পড়বে পরবর্তীতে।
মেডিকেল রিপোর্ট FIT এবং UNFIT কি?
মেডিকেল রিপোর্ট FIT রয়েছে নাকি UNFIT সেটা বুঝবেন কিভাবে?
আপনি যখন ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট থেকে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করবেন তখন মূলত আপনার সামনে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তুলে ধরা হবে। যেখানে সুস্পষ্টভাবে আপনার সমস্যা গুলো তুলে ধরা হবে।
তাই মেডিকেল রিপোর্ট ফিট রয়েছে নাকি আনফিট রয়েছে সেটা মূলত আপনি আপনার মেডিকেল রিপোর্ট পড়ার পরবর্তীতে আপনা আপনি বুঝে যাবেন। তবুও যদি এ ব্যাপারে আপনার জ্ঞান খুবই স্বল্প হয়ে থাকে তাহলে উক্ত রিপোর্টটি প্রিন্ট করে বের করে সেটা কোন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে পারেন এবং সেটা সত্যায়িত করতে পারেন।
তবে হ্যাঁ সচরাচর মেডিকেল রিপোর্ট মূলত যে কারণে আন ফিট হয়ে থাকে সেগুলো জেনে রাখলে মূলত আপনি নিজে থেকেই আপনার মেডিকেল রিপোর্ট ঠিকঠাক রয়েছে কিনা সেটা যাচাই-বাছাই করতে পারবেন। তাহলে আসুন এ পর্যায়ে মেডিকেল রিপোর্ট আনফিট হওয়ার কারণগুলো জেনে নেওয়া যাক।
যেসব কারণে মেডিকেল রিপোর্ট UNFIT হয়
সচরাচর মানুষের শরীরে যদি জটিল কিছু রোগ থেকে থাকে তাহলে মেডিকেল রিপোর্ট আনফিট হিসেবে গণ্য করা হয়। এখন কথা হচ্ছে সেই রোগ গুলো আসলে কি কি? আমরা মূলত এ পর্যায়ে সচরাচর বাইরের দেশগুলোর যে রোগ গুলো মেডিকেলের আনফিট বিষয়ে হিসেবে চিহ্নিত করে সেগুলো তুলে ধরবো।
তবে মনে রাখবেন আমাদের উল্লেখিত রোগের নাম হলো সব দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। একেক দেশে মূলত এক একটি রোগের কারণে রিজেক্টেড করা হতে পারে। তাহলে জেনে নিন যেসব কারণে মেডিকেল রিপোর্ট আনফিট হয় সে সকল রোগের নাম। যথা:-
- হেপাটািইটিস
- HIV
- Corona Positive
- চর্মরোগ
- জন্ডিস
- হৃদরোগ
- শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি
- গর্ভবতী মহিলা
- শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কোন ত্রুটি।
এক কথায়, মেডিকেল রিপোর্টে মূলত চেক করা হয় আপনার শরীরে বিরল রোগ গুলো রয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত হতে।
তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, বিদেশ যাওয়ার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম সম্পর্কিত আলোচনাটি থেকে আশা করছি আপনারা আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের সকল উত্তর পেয়েছেন। তবুও যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে বা বোঝার অসুবিধা থাকে আমাদের কমেন্ট করে জানান। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।