মধুর উপকারিতা
|

মধুর উপকারিতা ও ব্যবহার

মধুর উপকারিতা ও বিভিন্ন ব্যবহার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো আমরা আজ এই পোষ্টের মাধ্যম। তার আগে জেনে নেওয়া যাক, মধু কি? মধু একটি তরল ঘন মিষ্টি যা মৌমাছি তৈরি করে। তারা ফুল থেকে অমৃত সংগ্রহ করার পরে এটিকে আবার মৌচাকে নিয়ে যায় এবং এটিকে পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করে। তারপর অন্যান্য মৌমাছিগুলো এটি মধু না হওয়া পর্যন্ত চিবিয়ে খায়। মৌমাছিরা মৌচাকে মোমযুক্ত স্থানে মধু জমা করে। তারা এটিকে শুকানোর জন্য তাদের ডানা দিয়ে ফ্যান করে বা বাতাস করে। এ প্রক্রিয়াটি এটিকে স্টিকি বা আঠালো করে তোলে এইভাবে মধু তৈরি হয়। মধু প্রকৃতির সর্বশেষ্ঠ প্রাকৃতিক নিরাময় হিসেবে হাজার হাজার বছর ধরে একটি ঘরোয়া চিকিৎসা ও প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

চিকিৎসাশাস্ত্রের গবেষকরা মধুকে মহাঔষধ বলেছেন। কারণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগের প্রতিকার হিসেবে কাজ করে থাকে। মধু শুধু ঔষধি হিসেবে ব্যবহার হয় না খাদ্য এবং রূপচর্চার ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মধু বিভিন্ন পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। প্রাচীনকাল থেকেই বহু মানুষের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। পৃথিবীতে মধুর চাহিদা ব্যাপক হারে রয়েছে। মধুতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল রয়েছে। তবে কাঁচা মধুর বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এমনকি এটি কিছু হাসপাতালে ক্ষতের চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মধুতে প্রায় ৪৫ রকমের খাদ্য উপাদান রয়েছে মানুষ শত শত বছর ধরে ঐতিহ্যগতভাবে ওষুধের মধ্যে কাঁচা মধু ব্যবহার করে আসছে। কাঁচা মধুর মধ্যে যে স্বাস্থ্য উপাদান রয়েছে তা প্রক্রিয়াজাত মধুতে নেই। মধুকে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস বলা হয়।

মেথির উপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পড়ুন

মধুর প্রকারভেদঃ

পৃথিবীতে প্রায় ৩২০ ধরনের চেয়েও বেশি মধু রয়েছে।প্রায় সব মধুর গুনাগুন রয়েছে। তবে মধু কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে বা মধুর ২ প্রকারভেদ রয়েছে।

কাঁচা মধুঃ

কাঁচা মধু সরাসরি মৌচাক থেকে আসে। এটাকে সবচেয়ে কম প্রক্রিয়াজাত করা হয়। কাঁচা মধুতে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।

পাস্তুরাইজ মধুঃ

মধুকে মৌচাক থেকে নিয়ে আসে পাস্তুরাইজ করা হয় মানে প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয়। বেশিরভাগ দোকানে পাস্তুরাইজ মধু পাওয়া যায় কারণ বেশিদিন মধু সংরক্ষণ করার জন্য বা মধুকে ফ্রেশ বা পরিষ্কার করার জন্য পাস্তুরাইজ করা হয়।

পুষ্টির দিক থেকে এক টেবিল চামচ মধুতে ৬৪ ক্যালোরি এবং ১৭ গ্রাম চিনি রয়েছে। যার মধ্যে ফ্রুক টজ প্গ্লুকোজ, মলটোজ রয়েছে। এখানে কার্যত কোনো ফাইবার চর্বি বা প্রোটিন নেই। মধুতে কিছু ভিটামিন এবং খনিজ আছে যা খুবই অল্প পরিমাণে।

 

মধুর ব্যবহারঃ

মধুর কার্যকারিতা এত বেশি যে মধুর যেকোন ভাবে ব্যবহার করা যায়। মধু চা, কফি, স্মুদি, শরবত, কেক, পুডিং কিংবা যে কোন রেসিপি চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার করতে পারবেন। মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরি করতে মধু ব্যবহার করা যাবে। তাছাড়া আপনি প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানির সাথে ১ চামচ মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন পারবেন কারণ ডায়েটিশিয়ান চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার করতে বলে এতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কমে যায়। যারা ওজন কমাতে চান কিংবা যাদের শরীরে অনেক রোগের সমস্যা তাদের প্রতিদিন অবশ্যই মধু খেতে হবে।

 

মধুর উপকারিতাঃ

মধুর অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে মধুর প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। সম্প্রতি খবরে প্রকাশিত হয়েছে মধু শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ রোধে সাহায্য করে। মধুতে পানি কম চিনি বেশি এজন্য এতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে না জীবাণুর বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। মধু প্রাকৃতিক শক্তির বুস্টার হিসেবে পরিচিত। স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য মধুর উপকারিতা অনেক ভাবে প্রমানিত হয়েছে এজন্য অবশ্যই মধুর ব্যবহার করতে হবে। নিজেকে বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখতে অবশ্যই মধুর উপকারিতা গুলো একবার দেখে নিন।

প্রাকৃতিক শক্তির বুস্টার

মধুকে সবাই প্রাকৃতিক শক্তির উৎস বা বুস্টার হিসেবে চিনে কারণ মধু একমাত্র উপাদান যা তৎক্ষণাৎ শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন আপনার চা চিনির পরিবর্তে মধু দিবেন এতে আপনার কর্মক্ষমতা অনেক উন্নত হবে। মধুতে প্রচুর পরিমান কার্বোহাইড্রেট থাকে যা শরীরে দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

মধু ওজন কমাতে দারুণভাবে কাজ করে। আপনি যদি ওজন নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় থাকেন তাহলে বলব মধু আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মধু কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই আপনি প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানির সাথে এক চামচ মধু এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

গলা ব্যথা ও কাশি দূর করে

ঠান্ডা লেগেছে? এক চামচ মধু ব্যবহার করে দেখুন। মধু গলা ব্যথার একটি পুরনো চিকিৎসা। ঠান্ডায় ভাইরাস আপনাকে আঘাত করলে চায়ের সাথে লেবুর রস এবং মধু যোগ করবেন ঠান্ডা এটি খুব ভাল কাজ করে। এটি কাশি দমনকারী হিসেবেও কাজ করে। আপনি কাশি হলে শুধু মধুও খেতে পারেন কারণ মধু কোন কাশির সিরাপ এর চেয়ে বেশি কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে। মধু যে কাশি প্রশমিত করে এটি গল্প নয় এটি আসলে মধু খাওয়ার অন্যতম সেরা উপকারিতা। এটি বিশেষ করে ব শিশুদের আক্রান্ত শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে আরো বেশি কার্যকর। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ইনফ্লামেটরি শক্তির জন্য কাশি দমনে সফল।

পোড়া এবং ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে

মধু বেশিরভাগই গ্লুকোজ এবং ফ্রকটোজ দ্বারা গঠিত। ক্ষত গুলিতে মধু প্রয়োগ করলে জল শোষণ করে যা দ্রুত ক্ষত নিরাময় করতে সাহায্য করে। এটি ক্ষত পোড়া এবং কাটার জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রাথমিক চিকিৎসা বলে মনে করা হয়। মধুর অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে বাধা দেয় এবং ক্ষতগুলোকে সংক্রমণ থেকে মুক্ত করতে সাহায্য করে এটি ফোলা ব্যথা এবং দাগ কমাতে সাহায্য করে।

প্রদাহ বিরোধী হিসেবে কাজ করে

মধু প্রদাহবিরোধী হিসেবে কাজ করে। মধুতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরকে প্রদাহ থেকে রক্ষা করতে পারে। মধু বিভিন্ন প্রকার রোগ থেকে শরীরকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত মধু পান করলে আপনি প্রদাহজনক রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

ডায়রিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহার

মধু ডায়রিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। কারণ কাঁচা মধু হজমের উপর প্রশান্তিদায়ক প্রভাব ফেলতে পারে যারা ডায়রিয়া চিকিৎসা সাহায্য করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যারা মধু পান করেছে তাদের মলত্যাগ কম হয়েছে এবং অসুস্থতা থেকে দ্রুত সুস্থ হয়েছেন। হালকা ডায়রিয়া হলে অবশ্যই এক গ্লাস পানির সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খাবেন। তবে অতিরিক্ত মধু খাওয়া যাবে না ডায়রিয়া আরও বেশি হতে পারে।

ডায়াবেটিস চিকিৎসায় মধুর ব্যবহার

মধু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চিনির চেয়ে কম খারাপ। কারণ অনেক রোগীরা মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি পছন্দ করেন তাদের ভয়ানক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে চিনির পরিবর্তে মধুর ব্যবহার করতে পারেন। এতে রক্তের শর্করার মাত্রা কম হতে পারে বলে গবেষকরা মনে করেন।

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে মধুর ব্যবহার

মধু রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে কারণ মধুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রক্তচাপ কমায়। প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় অবশ্যই মধু যোগ করতে পারেন এতে আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে বিভিন্ন রোগের দেখা দিতে পারে হূদরোগ স্ট্রোক হার্ট অ্যাটাক ক্যান্সার এরকম বড় বড় বিভিন্ন রোগের সমস্যা হতে পারে। এজন্য অবশ্যই উচ্চরক্তচাপের নিয়ন্ত্রণ রাখতে প্রতিদিন মধু পান করতে হবে।

হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

মধুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা হূদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। মধুতে উচ্চমানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এবং জৈব এসিড যেমন ফ্ল্যাভোনয়েড যা ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মত দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিকাশে অবদান রাখতে সাহায্য করে।

হজম শক্তি উন্নতি করে

মধু হজমের উন্নতিতে সাহায্য করে। যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তারা মধু ব্যবহার করতে পারেন। মধু একটি প্রি বায়োটিক খাদ্য হিসেবে স্বীকৃত যার অর্থ এটি আপনার অন্ত্রে বসবাসকারী ভালো ব্যাকটেরিয়াকে লালন করতে পারেন। এটি বদহজম এবং আলসার গ্যাস্ট্রিক এর প্রাকৃতিক প্রতিকার যা যুগ যুগ ধরে মধু ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

যৌন দুর্বলতা কমায়

মধু যৌন-দুর্বলতার-চিকিৎসা এক জাদুকরি চিকিৎসা বলে মনে করে সবাই। কারণ মধু প্রাকৃতিক শক্তি সঞ্চয় করতে সাহায্য করে এজন্য যাদের যৌন দুর্বলতা রয়েছে তারা অবশ্যই প্রতিদিন মধু পান করবেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কুসুম গরম পানির সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খাবেন অথবা চায়ের সাথে মধু মিশিয়ে খান এতে যৌন দুর্বলতার সমস্যা খুব দ্রুত সমাধান হবে।

ঘুমের উন্নতি ঘটায়

তুমি কি সারারাত জেগে থাকো? ঘুমের সমস্যা দূর করতে অবশ্যই মধুর ব্যবহার করা উচিত। দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার জন্য বিখ্যাত দুধ এবং মধুর প্রতিকার ব্যবহার করুন। আপনি এক গ্লাস গরম দুধে এক চামচ মধু যোগ করুন এই দুধটি আপনি রাতে ঘুমানোর আগে খেয়ে নিবেন দেখবেন খুবই তাড়াতাড়ি আপনার ঘুম আসবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

মধুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। যা শক্তি যোগাতে সাহায্য করে যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এজন্য অবশ্যই আপনার ডায়েটে মধু যোগ করুন। প্রতিদিন চা অথবা কুসুম গরম পানির সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

বাতের ব্যথার সমস্যা

মধু বাতের ব্যথার চিকিৎসা খুব ভালো কাজ করে। মধু শুধু বাতের ব্যাথার চিকিৎসা নয় যেকোনো ব্যথা দূর করতে মধু খুব কার্যকর।

দাঁতের সমস্যায় মধুর ব্যবহার

মধু ব্যবহারের দাঁতের সমস্যা দূর হয়। মধু দাঁতকে পরিষ্কার করে এবং শক্তিশালী করে তোলে।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করে

নিয়মিত মধুপান করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। মধু মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে খুবই ভালো কাজ করে। এ মধু প্রাকৃতিক মাউথ ওয়াশ হিসেবে পরিচিত।

দৃষ্টিশক্তি ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে

মধু দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চোখের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিদিন মধু পান করতে হবে। মধু শুধু চোখেই সমস্যা নয় স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে মধু খুবই উপকারী।
অ্যান্টি অক্সিডেন্টের ভালো উৎস

কাঁচা মধু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো একটি উৎস। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরকে ফ্রি রেডিকেল এর কারনে কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। শুধু এটাই নয় যে কোন বড় ধরনের রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

ত্বকের যত্নে মধুর ব্যবহার

ত্বকের যত্নে মধুর উপকারিতা এত বেশি যে বলে শেষ করা যাবে না। মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। যাদের শুষ্ক ত্বক তাদের জন্য খুবই উপকারী। মধু ব্যবহারে ত্বকের যে কোন সমস্যা দূর হয় এবং ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। আপনি ত্বকের যত্নে যে কোন ফেসপ্যাক এর সাথে মধু যোগ করে ব্যবহার করতে পারবেন।

চুলের যত্নে মধুর ব্যবহার

চুলের যত্নে মধু এক জাদুকরি ঔষধ। শুষ্ক চুল, খুশকি, আগা ফাটা যেকোনো সমস্যা দূর করতে মধু খুব ভালো কাজ করে। চুল সিলকি স্মুথ এবং চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে মধুর কোন বিকল্প নাই আপনার চুল দ্রুত লম্বা করতে এবং ঝলমলে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। মাথার ত্বক পরিষ্কার করার প্রাকৃতিক এজেন্ট বলা হয়। মধুকে কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

পরিশেষে কিছু সতর্কতাঃ

মধুর অপকারিতা ও রয়েছে। এটি ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বহন করতে পারে। মধু বিশেষ করে শিশুদের জন্য খুবই বিপদজনক এক বছরের কম বয়সী শিশুদের কখনো কাঁচা মধু কেন যাবেনা খাওয়ানো যাবে না এতে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের অতিরিক্ত মধু সেবন এ সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। মধু পান ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *