ইতালি ভিসা আবেদন লিংক ও নিয়ম কানুন
দেখুন আপনি নিশ্চয়ই এটা জানেন– যখন এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাড়ি জামাতে চাইবেন তখন অবশ্যই ওই দেশের ভিসা সংগ্রহ করতে হবে আমার আপনার মত বাইরের দেশের নাগরিকদের। আর আজকাল যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে এখন ভিসা সংগ্রহ করা পানির মত সহজ হয়ে গিয়েছে, যে প্রসেসটা আমরা আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো।
তো বন্ধুরা, আপনারা যারা ইতালিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এবং ইতালি ভিসা আবেদন লিংক ও নিয়ম কানুন সম্পর্কে অবগত হতে চান তারা আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন। কেননা– আমরা ইতালির ভিসা আবেদনের সকল নিয়মাবলী ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছি আজকের এই নিবন্ধনটিতে। সো লেটস স্টার্টেড।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
ইতালি ভিসা আবেদন লিংক ও নিয়ম কানুন
আজ থেকে কিছু সময় পূর্বে যখন মানুষ খুব একটা মোবাইল ফোন ব্যবহার করত না তখন যেকোন দেশের ভিসা সংগ্রহ করার জন্য অন্যের সাহায্য নিতে হতো, যে কারণে মানুষকে বেশ হেনস্থার শিকার হতে হতো এমনকি ঘুষ হিসেবে টাকাও জমা করতে হতো প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত।
কিন্তু আপনি এখন ঘরে বসে শুধুমাত্র আপনার মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে এখনই আবেদন করতে পারেন ভিসার জন্য। আর তাইতো বর্তমানে মানুষজনও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলছে এবং যে কোন কিছু জানার প্রয়োজন পড়তেই সবার প্রথমে সার্চ করছে google অথবা ইউটিউবে।
আর একারণেই আমরা আজকের এই আর্টিকেলে ইউজারদের চাহিদার কথা চিন্তা করে আলোচনা করতে চলেছি ইতালি ভিসা আবেদন লিংক ও নিয়ম কানুন সম্পর্কে এ টু জে।
আজকের আলোচনায় আপনাদের জন্য থাকছে:
- ইতালি ভিসা আবেদন
- ইতালির ভিসার প্রকারভেদ
- ইতালির ভিসা আবেদন করার নিয়ম
- ইতালির ভিসা আবেদন পদ্ধতি
- ইতালির ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ইতালির ভিসা আবেদন খরচ
- ইতালির ভিসা আবেদন পদ্ধতি যোগ্যতা ও খরচ
- ইতালি স্পনসর ভিসা ২০২৩ আবেদন করার সঠিক নিয়ম
- সকল প্রকার ইতালি ভিসা আবেদন লিংক ও নিয়ম কানুন ২০২৩
ইতালি ভিসা আবেদন
বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক যুবকরা ইতালিতে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করছেন। যাদের কেউ কেউ অবৈধভাবে ইতালিতে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কিন্তু এখন ইতালির ভিসা সংগ্রহ করা খুবই সহজ হয়ে গিয়েছে। কেননা ইতালি সরকার ভিসার মাধ্যমে ৩০ টি দেশ থেকে সর্বমোট ৩০ হাজার ৮৫০ জন লোক নিচ্ছে বছরে। আবার কখনো কখনো জনবলের আসন সংখ্যা এর বেশীও হচ্ছে।
আর তাই ইচ্ছুক প্রার্থীরা চাইলেই এখন ইতালি সরকারের সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে অনলাইনে ভিসা তৈরি করে বৈধ উপায়ে পাড়ি জমাতে পারে দেশটিতে। নিজের দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার মূলত বেশ কিছু কারণ থেকে থাকে মানুষের। তবে যারা দালালদের মাধ্যমে ইতালিতে যাচ্ছেন তাদের মূলত উদ্দেশ্য কোন কর্মে নিযুক্ত হওয়া এবং নিজ পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনা।
আর আপনার উদ্দেশ্য যদি থেকে থাকে এটি তাহলে অবৈধ উপায়ে ভিসা সংগ্রহ আপনার জন্য বিপদজনক। আর তাই যারা সঠিক উপায়ে ইতালির ভিসা আবেদন করতে ইচ্ছুক তারা পরবর্তী স্টেপগুলো পড়ুন।
ইতালির ভিসা ক্যাটাগরি | ইতালি ভিসা কত প্রকার ও কি কি?
ভিসার প্রকারের উপর নির্ভর করে আবেদন পদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে। আর তাই ইতালি ভিসা আবেদন লিংক ও নিয়ম কানুন জানার পূর্বে ইতালির ভিসা ক্যাটাগরি বা ইতালির ভিসার প্রকারভেদ গুলো জেনে রাখাটা অধিক বেশি জরুরী। মূলত ইতালির ভিসা ৮ প্রকারের হয়ে থাকে। সেগুলো হচ্ছে:-
- ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা।
- স্পন্সর ভিসা।
- মালটা ভিসা।
- ইতালি সিজনাল ভিসা।
- ইতালি ফ্যামিলি ভিসা।
- ইতালি টুরিস্ট ভিসা।
- ইতালি ভ্রমণ ভিসা।
- ইতালি মেডিকেল ভিসা।
অতএব আপনি ইতালিতে অবস্থান করতে চাইলে আপনাকে এই ৮ ধরনের ভিসার মধ্যে যেকোনো একটি বেছে নিতে হবে। তবে সেখানে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অবস্থান করতে পারবেন আপনি।
আরোঃ ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
ইতালির ভিসা আবেদন করার নিয়ম
একজন বাইরের দেশের নাগরিক বা বাসিন্দা ইতালি যাওয়ার জন্য দুই ভাবে আবেদন করতে পারবে ভিসার জন্য। মূলত ইতালির ভিসা সংগ্রহের জন্য ইতালির ভিসা আবেদন করার নিয়ম হিসেবে
দুইটি পদ্ধতি রয়েছে। সেগুলো হলো:-
- ইতালিতে কোন আত্মীয়-স্বজন থাকলে তাদের মাধ্যমে ইতালি সরকারের কাছে সরাসরি আবেদন করা অথবা
- কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ইতালির ভিসার জন্য আবেদন করা।
অতএব, আপনাকে যেকোনো একটি মাধ্যম বেছে নিতে হবে এই দুইটির মধ্যে। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক ভিসার ধরনের উপর নির্ভর করে আপনি কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ইতালির ভিসার জন্য আবেদন করবেন।
- প্রথমত: ভিজিট করুন https://visathing.com/italy লিংকে
- দ্বিতীয়তঃ ক্লিক করুন এপ্লাই অনলাইন বাটনে
- তৃতীয়ত: বসিয়ে দিন আপনার মোবাইল নম্বর
- চতুর্থত: প্রয়োজনীয় সকল ইনফরমেশন পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন কার্য সম্পন্ন করুন
- পঞ্চমত: সিলেক্ট করুন পাসপোর্ট নাম্বার এবং ভিসা ক্যাটাগরি
- ষষ্ঠমত: সাজেস্কৃত স্টেপগুলো পূরণ করার মাধ্যমে আবেদন কার্য সম্পন্ন করুন।
ব্যাস আপনার কাজ এটুকুই। আপনি মূলত হাতে গোনা এই ছয়টি ধাপ পার করতে পারলেই হয়ে যাবে আপনার ইতালি ভিসার জন্য অনলাইন আবেদন।
ইতালির ভিসা তে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
এখন কথা হলো, আপনার সামনে ভিসা আবেদন করার জন্য যে ইনফরমেশন গুলো পূরণ করার কথা উল্লেখ করা থাকবে পাশাপাশি পরবর্তীতে দূতাবাসে যে কাগজপত্র জমা দিতে হবে, সেগুলো মূলত আপনি কোন কাগজপত্রের উপর নির্ভর করে পূরণ করবেন এবং কোন গুলোর কপি জমা করবেন দূতাবাসে! অর্থাৎ ইতালিতে ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি? আসুন এ পর্যায়ে ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো সম্পর্কে অবগত হওয়া যাক। যথা:
- অরিজিনাল পাসপোর্ট
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
- ন্যাশনাল আইডি কার্ড/স্মার্ট কার্ড
- কাজের অভিজ্ঞতার সনদপত্র বা চুক্তির সনদপত্র
- জন্ম নিবন্ধন সনদ, কেননা ইতালিতে ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ১৮ বছরের অধিক বয়সি হতে হবে এবং ছেলে মেয়ে উভয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ইতালির ভিসা আবেদন পদ্ধতি যোগ্যতা ও খরচ
যারা ইতালি যেতে ইচ্ছুক তাদের জানার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ভিসার খরচ কত এবং ভিসা আবেদন পদ্ধতির ক্ষেত্রে যোগ্যতা হিসেবে কি কি প্রয়োজন! দেখুন, ইতোমধ্যে আমরা ইতালির ভিসার বেশকিছু ক্যাটাগরি আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আর আপনি যদি বৈধ উপায়ে ইতালিতে অবস্থান করতে চান তাহলে ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই যোগ্যতা হিসেবে বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজন পড়বে টাকার।
আর তাছাড়াও ইতালির ভিসা আবেদনের জন্য আপনার হাতে দুটি পদ্ধতি রয়েছে একটি হচ্ছে সিজনাল অন্যট নন সিজনাল। আপনি যদি সিজনাল ভিসাতে ইতালিতে যান তাহলে সে ক্ষেত্রে খরচ পড়বে সর্বনিম্ন ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে আপনি যদি নন সিজনাল ভিসা নিয়ে ইতালিতে যেতে চান সেক্ষেত্রে খরচ পড়বে ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।
এখন আপনারা যারা সিজনাল এবং নন-সিজোনাল ভিসা সম্পর্কে জানেন না তাদের মনের নিশ্চয়ই এই প্রশ্নটি এসেছে যে সিজনাল ভিসা বলতে আসলে কি বোঝায় এবং নন সিজনাল ভিসা বলতে কী বোঝায়? মূলত ইতালিতে যারা ভ্রমণ বা ব্যবসা করার জন্য যেতে চান তারা সাধারণত সিজনাল ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে বাইরের দেশের নাগরিক সর্বোচ্চ ছয় থেকে নয় মাস ওই দেশটিতে অবস্থান করতে পারবেন।
আর এর বাইরে যারা অন্য কোন প্রয়োজনে অন্য কোন উদ্দেশ্যে ইতালিতে অবস্থান করতে চান তাদেরকে মূলত নন সিজনাল ভিসার মাধ্যমে যেতে হবে। যেখানে আপনি গিয়ে স্থায়ীভাবে কোন চাকরি করতে পারবেন বা পড়াশোনা করতে পারবেন। অনেকে ব্যবসা এবং কাজকে গুলিয়ে ফেলতে পারেন।
দেখুন একটা বিষয় ভাবলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি যদি ইতালিতে কোন জব অর্থাৎ কোন কাজ করতে চান তাহলে সেখানে আপনাকে বছরের পর বছর অবস্থান করতে হবে। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই আপনাকে এক্ষেত্রে ননসিজোনাল ভিসা সংগ্রহ করার প্রয়োজন পড়বে।
কেননা আপনি ছয় থেকে নয় মাসের মধ্যে চাকরি করে সে দেশটি থেকে ফিরে আসতে চাইবেন না। আর আপনি যদি নন সিজনাল ভিসা র মাধ্যমে ইতালিতে চান তাহলে সর্বনিম্ন ২ অথবা ৩ বছর সেখানে অবস্থান করতে পারবেন। এবার আসুন, ইতালি ভিসার বিভিন্ন ক্যাটাগরির আবেদন লিংক এবং নিয়মাবলী সম্পর্কে অবগত হওয়া যাক।
ইতালি ভিসা আবেদন লিংক ও নিয়ম ২০২৩
যেকোনো ক্যাটাগরির ইতালি ভিসা আবেদন করতে হলে আপনাকে ছয় টি বিষয় বা ৬টি কাজ সম্পন্ন করতে হবে। সেগুলো হলো:-
- ভিসার ধরন সনাক্তকরণ
- রেজিস্ট্রেশন বা আবেদন প্রক্রিয়ার সম্পন্নকরণ
- অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক
- প্রয়োজনীয় ফ্রি প্রদান এবং
- আবেদন স্থিতি ট্রাককরন
ভিসার ধরন শনাক্ত
প্রথম ধাপে আপনাকে অবশ্যই সঠিকভাবে ভিসার ধরন নির্বাচন করতে হবে। কেননা ভিসার ধরণের উপর নির্ভর করে ভিসার খরচ এবং প্রয়োজনীয় যোগ্যতা নির্ভর করে। এজন্য প্রথম পর্যায়ে আপনি ইতালির ভিসা সংগ্রহের জন্য ভিসার ধরন সনাক্ত করুন এরপর জেনে নিন এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় কি কি ডকুমেন্ট জমা করতে হবে সেই সাথে আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে কত দিন সময় লাগতে পারে এবং আপনাকে ওই ভিসার জন্য ঠিক কি পরিমান টাকা জমা করতে হবে।
কেননা এই সমস্ত কিছু জানার পরবর্তীতেই আপনি অনলাইনে ইতালি ভিসার জন্য আবেদন করতে যেতে পারেন। নচেত নয়। কারণ আপনি যদি এই তথ্যগুলো পূর্বে সংগ্রহ না করেন তাহলে অবশ্যই ওই ভিসা আপনার জন্য প্রযোজ্য হবে না। তাই সবার প্রথমে নির্বাচন করুন ভিসার ধরন।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ
আপনি যদি প্রথম ধাপটি সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে আপনাকে দ্বিতীয় ধাপে এসে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তাই আপনি পুরোপুরি প্রস্তুত হলে আবেদন ফরম ডাউনলোড করুন। আর হ্যাঁ আপনি ইতালিতে গিয়ে দীর্ঘদিন যাবত অবস্থান করতে চান নাকি স্বল্পমেয়াদি কোন ভিসায় যেতে চান এটা নির্বাচন করে সকল ইনফরমেশন সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং সেটা প্রিন্ট করুন সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সহ দূতাবাসে তা জমা করুন।
এপয়েন্টমেন্ট বুক এবং ফ্রি প্রদান
কিছু সময় পূর্বেও মূলত ভিসা সংগ্রহের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করার প্রয়োজন পড়তো। তবে আপাতত তার দরকার পড়ছে না। তাই আপনি এই ভাবটি স্কিপ করে নেক্সট ধাপে যেতে পারেন অর্থাৎ ফ্রি প্রদানের কাজটি করতে হবে এ পর্যায়ে আপনাকে।
কেননা আবেদনপত্র পূরণ এবং অন্যান্য ডকুমেন্ট তৈরি হওয়ার পরবর্তীতে ভিসার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ ফি জমা করতে হবে। আরেফী মূলত আবেদন কেন্দ্রে নগদ টাকায় এবং ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড দিয়ে প্রদান করতে পারবেন আপনি। আর যদি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা প্রদান করেন তাহলে অবশ্যই রশিদ গ্রহণ করা আবশ্যক।
আবেদন স্থিতি ট্র্যাক
আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরবর্তীতে দূতাবাস থেকে যখন ভিসা আবেদন কেন্দ্রে পাঠানো হবে তখন ফোন নাম্বারে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে উক্ত বিষয়ে। আর যদি আপনি এই খবরটি আরও নিশ্চিত হয়ে পেতে চান তাহলে এসএমএস পরিষেবা ক্রয় করার মাধ্যমে আপনি পেয়ে যাবেন উক্ত খবরা খবর। পাশাপাশি ইমেইলের মাধ্যমেও এ খবরটি পাঠানো হয় গ্রাহকদের। আপনি চাইলে এখনি www.vfsvisaonline.comএই লিংকে গিয়ে আবেদন স্থিতি ট্র্যাক নিশ্চিতকরণের ব্যবস্থাটি করতে পারেন।
ভিসা সংগ্রহ
ভিসার জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন এরপর আবেদন ফ্রি প্রদান এর নির্দিষ্ট সময় পড়ে আপনাকে আপনার ভিসা অর্থাৎ পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। মূলত ভিএফএস সিলেট বা চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে পাসপোর্টটি সকল জেলায় কুরিয়ার পরিষেবার মাধ্যমে পাঠানো হয়। তবে আপনার যদি সে সুযোগটি থেকে থাকে তাহলে আপনি নিজে উক্ত কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।
তবে মনে রাখবেন যদি কারো বয়স 18 বছরের কম হয়ে থাকে তাহলে ওই বয়সী ছেলে অথবা মেয়ের পাসপোর্ট সংগ্রহের সময় আইনগত অভিভাবক সঙ্গে থাকা জরুরী। পাশাপাশি মূল রশিদ এবং যেকোনো ধরনের সরকারি পরিচয় পত্র অবশ্যই সাথে থাকা আবশ্যক। তবে আপনি যদি ইতালির ভিসা হাতে পাওয়া নিয়ে আরো ক্লিয়ারলি ধারনা পেতে চান তাহলে এখনই ভিজিট করতে পারেন visa.vfsglobal.comএই ওয়েবসাইট।
জেনে নিনঃ বিদেশ যাওয়ার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম
ইতালি ভিসা | ইতালি ভিসা পাওয়ার উপায়
ইতালি ভিসা পাওয়ার উপায় বা মাধ্যম সম্পর্কে আমরা ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি। আশা করি আমাদের আলোচনা থেকে আপনি ইতালি ভিসা পাওয়ার উপায় সমূহ সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন এবং কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই এখনই ইতালির ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা ইতালি স্পনসর ভিসা ২০২৩ আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা প্রদান করব।
কেননা বর্তমানে যারা বাইরের দেশ থেকে ইতালিতে যান তারা বেশিরভাগ সময় স্পনসর ভিসার মাধ্যমে ওই দেশটিতে অবস্থান করেন। তো আপনি যদি স্পন্সর ভিসার মাধ্যমে ইতালিতে যেতে চান সেক্ষেত্রে ভিসা সংগ্রহের জন্য ধারাবাহিকভাবে আপনাকে যে কাজগুলো সমাপ্ত করতে হবে পাশাপাশি যে কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করতে হবে সেগুলো হলো:-
- ছয় মাস মেয়াদি পাসপোর্ট ফটোকপি
- এন আইডি কার্ডের ফটোকপি অর্থাৎ স্মার্ট কার্ড
- ৬ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর ফটোকপি
- বিদেশে কর্মরত থাকলে তার সনদপত্র
- বর্তমানে কর্মরত রয়েছে তার প্রমাণ পত্র
আর হ্যাঁ, অনেকেই জানেন না ইতালির স্পনসর ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়? আপনি যদি এটা জানতে চান তাহলে চোখ রাখতে হবে পরবর্তী আপডেট পর্যন্ত। অথবা আপনি চাইলে এখনই গুগলে সার্চ করতে পারেন ইতালি স্পনসর ভিসা কিভাবে পাওয়া যায় এই কিওয়ার্ডটি লিখে।
কেননা ইতালি দেশটি প্রত্যেক বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক নতুন কর্মী নিয়োগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে স্পন্সর ভিসা সংগ্রহের জন্য সুযোগ প্রদান করে থাকে। আর এটা সচরাচর ফেব্রুয়ারি অথবা মার্চ মাসের দিকে চালু রাখা হয়। তাই আপনি যদি বছরের শুরু মাসগুলোতে একটু বেশি খবরা খবর পড়েন বা এই তথ্যটি জানার জন্য চোখ কান খোলা রাখেন তাহলে পেপার পত্রিকা বা বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন ইতালি স্পনসর ভিসার খবরাখবর।
তবে হ্যাঁ সবচেয়ে ভালো হবে বাংলাদেশী প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে চোখ রাখা। কেননা এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ভুয়া তথ্য প্রকাশ করে থাকে। কিন্তু আপনি যদি বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন তাহলে সঠিক ইনফরমেশন সংগ্রহ করতে পারবেন আর হ্যাঁ চাইলে আপনি আমাদের ওয়েবসাইট পরবর্তীতে ভিজিট করতে পারেন এই খবরটি পেতে।
কেননা আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে রিসার্চ করার মাধ্যমে ইতালি ভিসা আবেদন লিংক ও নিয়মাবলী পাশাপাশি ইতালি স্পন্সর ভিসা সম্পর্কিত নানা খবরাখবর প্রকাশ করে থাকি। মূলত অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এই খবরগুলো প্রকাশ হওয়ার পরবর্তীতে ইউজারদের সুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা নিয়মিত পোস্ট আপডেট করি। তাই আপনি যদি সরকারিভাবে স্পনসর ভিসার মাধ্যমে ইতালিতে যেতে চান তাহলে এটা আপনার জন্য অন্যতম সুযোগ হয়ে দাঁড়াবে।
আর তাই চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে এবং ইতালি স্পনসর ভিসা আবেদনের জন্য মাত্র কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করুন যেগুলো আমরা নিম্নে উল্লেখ করছি। যথা:-
- প্রথম ধাপে: ইতালির স্পন্সর ভিসা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট সার্চ করুন অথবা ইতালি ভিসা ফ্রম বাংলাদেশ লিখে সার্চ করার করুন। এ পর্যায়ে যখন আপনাকে google সার্চ কন্ট্রোল প্রথম একটি ওয়েবসাইট সাজেস্ট করবে তখন তাতে প্রবেশ করুন।
- দ্বিতীয় ধাপে: রেজিস্ট্রেশন কার্য সম্পন্ন করুন। এ পর্যায়ে মূলত আপনাকে আপনার মোবাইল নাম্বার অথবা মেইল প্রদান করার মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে।
- তৃতীয় ধাপে: বসিয়ে দিন ওটিপি নম্বর। আপনি যদি মোবাইল নম্বর দিয়ে থাকেন তাহলে এসএমএস অথবা কলের মাধ্যমে ওটিপি নাম্বার পাঠানো হবে আপনার নিকট। আর যদি আপনি মেইল দিয়ে থাকেন তাহলে মেইলে একটি কোড সেন্ড করা হবে যেটা বসানোর পরবর্তীতে আপনি নেক্সট ধাপে যেতে পারবেন। আর এ সময়ে আপনার প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন পূরণ করার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন কার্য সম্পন্ন করতে হবে।
ব্যাস পরবর্তীতে কি কি করতে হবে সেটা নিশ্চয়ই আমাদের আলোচনা থেকে ধারণা পাচ্ছেন। কেননা আমরা ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করার পরবর্তীতে সেগুলো দূতাবাসের জমা করতে হয় এবং নির্দিষ্ট সময় পরে পাসপোর্ট অর্থাৎ ভিসা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। আর হ্যাঁ ইতালি স্পনসর ভিসা মূলত নন সিজনাল ভিসার অন্তর্ভুক্ত। আর তাই এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে।
তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, ইতালি ভিসা আবেদন লিংক ও নিয়ম কানুন, ইতালি ভিসা পাওয়ার উপায়, ইতালি ভিসা আবেদন পদ্ধতির যোগ্যতা ও খরচ, ইতালি ভিসা তে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসমূহ এবং ইতালির ভিসা আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে জানার পর আশা করছি আপনারা খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং ইতালি ভিসা নির্দিষ্ট সময় পর কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই বৈধ উপায়ে সংগ্রহ করতে সক্ষম হবেন।
আজকের আলোচনা এপর্যন্তই। যদি ইতালি ভিসা আবেদন লিংক ও নিয়ম কানুন সম্পর্কে আপনারা সম্পূর্ণ তথ্য পেয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি শেয়ার করুন। সবাইকে ধন্যবাদ এবং আল্লাহ হাফেজ।