সরকারি চাকরি ছাড়ার নিয়ম
| |

সরকারি চাকরি ছাড়ার নিয়ম ও সঠিক প্রক্রিয়া

সরকারি চাকরি ছাড়ার নিয়ম এবং প্রক্রিয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে অনেক প্রশ্ন থাকে। সরকারি চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে হলে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে এবং কোন কোন নিয়ম মানতে হবে, এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকের নিবন্ধনে আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

সরকারি চাকরি | Government job

সত্যি বলতে সরকারি চাকরি এমন একটি চাকরি যেখানে ব্যক্তি, সরকারী সংস্থার জন্য কাজ করেন এবং তিনি সরকারের বিভিন্ন সুবিধা এবং সুরক্ষা পান। সরকারি চাকরি একটি স্থিতিশীল এবং নিরাপদ কর্মসংস্থান হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু কখনো কখনো ব্যক্তিগত সমস্যা, পেশাগত উন্নতি অথবা নতুন কাজের সুযোগ সন্ধানের কারণে সরকারি চাকরি থেকে পদত্যাগ গ্রহণ করার ইচ্ছা পোষণ করেন অনেকেই। 

আর তাই জানার প্রয়োজন পড়ে সরকারি চাকরি ছাড়ার নিয়ম। এজন্যই আজকের আলোচনায় সরকারি চাকরি ছাড়ার নিয়ম এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে সম্পূর্ণ গাইডলাইন ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্ট সাজেস্ট করব। তাই মনোযোগ সহকারে নিবন্ধনটি পড়ুন। পাশাপাশি আরো দেখুন– কি কি কারণে সরকারি চাকরি চলে যায় তার পরীক্ষিত কারণসমূহ।

সরকারি চাকরি ছাড়ার নিয়ম | সরকারি চাকরি থেকে পদত্যাগের প্রক্রিয়া 

সরকারি চাকরি থেকে পদত্যাগের প্রক্রিয়া সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম ও নির্দেশিকা অনুযায়ী সম্পন্ন হয়ে থাকে। আর সবার প্রথমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। অতঃপর সেটা স্বীকৃত হলে অর্থাৎ এক্সেপটেড হলে পদত্যাগ করা সম্ভব হয়। এখন নিশ্চয়ই আপনার মনে এই প্রশ্নটি জাগবে যে– পদত্যাগ পত্র কিভাবে লিখবেন বা পদত্যাগ পত্রের ফরম্যাট সাধারণত কেমন হয়ে থাকে। তার সবটাই জানাবো আপনাদেরকে। পাশাপাশি এটা উল্লেখ করব পদত্যাগ পত্রে কোন কোন বিষয়গুলো থাকা অবশ্যই জরুরী। 

তবে তার আগে জেনে নিন– সরকারি চাকরি থেকে পদত্যাগের কারণ হিসেবে মূলত কোন কোন কারণ দায়ী হয়ে থাকে! আর হ্যাঁ আপনি যদি আরো জানতে চান দ্রুত চাকরি পাওয়ার উপায় তাহলে বলবো আমাদের সাজেস্টকৃত লিংকে ভিজিট করুন। কেননা ইতিমধ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে গুরুত্বপূর্ণ এই পোস্টটি আপডেট করা হয়েছে। 

সরকারি চাকরি থেকে পদত্যাগের কারণ

সরকারি চাকরির কদর সব সময়। আর বর্তমান বাজারে সরকারি চাকরি পাওয়া বড্ড ভাগ্য ও পরিশ্রমের ব্যাপার। তবুও যদি কেউ একবার সরকারি চাকরিতে জয়েন করে তাহলে কাজের অভিজ্ঞতা দক্ষতার উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে বেশ ভালো কাজের অফারও পাওয়া সম্ভব হয়। তাই অনেকেই সরকারি চাকরি থেকে পদেত্যাগ করার ইচ্ছা পোষণ করেন নতুন চাকরিতে নিযুক্ত হওয়ার জন্য। 

তো যাই হোক, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সরকারি চাকরির সোনার হরিণ বটে। কিন্তু আপনি যদি সরকারি চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে চান তাহলে সরকারি চাকরি ছাড়ার নিয়ম কি সেটা সঠিক আলোকে জানতে হবে এবং উত্তর নিয়ম অনুসরণ করে জমা দিতে হবে পদত্যাগ পত্র। পদত্যাগ পত্র লেখার নিয়ম এবং পদত্যাগ পত্রে সাধারণত কি কি বিষয় থাকা অবশ্যই জরুরি তার নিচের অংশটুকুতে আলোচনা করছি। 

তবে সংক্ষেপে জানুন, সাধারণত যে সকল কারণে সরকারি চাকরি ছাড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয় অর্থাৎ পদত্যাগের কারণসমূহ। 

  • উন্নত চাকরি বা উন্নত ক্যারিয়ার 
  • উন্নত বেতন ও উন্নত সুযোগ সুবিধা 
  • কাজের চাপ ও পরিবেশ 
  • পারিবারিক বা পার্সোনাল কারণ 
  • উন্নত শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ 
  • জীবনের লক্ষ্য পরিবর্তন 
  • উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা. 

আরো পড়ুন– কি কি রোগ থাকলেই সরকারি চাকরি হয় না

চাকরি ছাড়ার দরখাস্ত লেখার নিয়ম | চাকরি ছাড়ার আবেদনপত্র ফরম্যাট | চাকরি হতে অব্যাহতি পত্রের নমুনা

আপনার যদি চাকরি থেকে স্থফা নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে অবশ্যই সর্বপ্রথম ধাপে চাকরি ছাড়ার দরখাস্ত ভালোভাবে নিয়ম-নীতি মেনে লিখতে হবে। আর প্রফেশনাল ভাবে যদি পদত্যাগ পত্র লিখতে চান তাহলে অবশ্যই পত্রের মধ্যে যে জরুরি বিষয়গুলো থাকা আবশ্যক সেগুলো হলো–

  • ব্যক্তির মেইন উদ্দেশ্য অর্থাৎ আপনার উদ্দেশ্য কি 
  • আপনার সরকারি চাকরি ছাড়ার প্রধান কারণ কি 

পাশাপাশি সুন্দর বাচনভঙ্গি, সম্বোধন সুস্পষ্ট ও মার্জনীয় সের সাথে তারিখ ও ঠিকানা উল্লেখ করণ। যাইহোক আপনি যদি চাকরি ছাড়ার আবেদনপত্র ফরম্যাট বুঝতে চান তাহলে চাকরি হতে অব্যাহতি পত্রের নমুনা হিসেবে একটি দরখাস্ত দেখে নেয়াটাই সর্বোত্তম। কেননা এতে করে আপনার বোঝা অনেক বেশি সহজ হবে। 

চাকরি হতে অব্যাহতি পত্রের নমুনা

তারিখ: ১২-০৬-২০২৪

বরাবর, 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার 

রাজশাহী। 

মাধ্যম– যথাযথ কর্তৃপক্ষ।

বিষয়– চাকরি থেকে ইস্তফা প্রদান প্রসঙ্গে আবেদন। 

মহোদয়, 

বিনীত নিবেদন এই যে আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী নর্মদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারি শিক্ষক মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী। আমি গত ১০-০৬-২০১৬ তারিখে উক্ত বিদ্যালয়ে যোগদান করি। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আমি ০৫-৮-২০২৪ তারিখ হতে স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে চাকরি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। 

অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন অনুগ্রহপূর্বক আমাকে অনুমতি দিন এবং আমার ইস্তফা পত্র গ্রহণ করে একান্ত মর্জি হোন। 

নিবেদক 

হাসান চৌধুরী

সহকারী শিক্ষক 

নরবাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় 

সিংড়া নাটোর

নমুনা স্বাক্ষর—

  • মোঃ আশরাফুল হক————–
  • ———————————–
  • ———————————–

আপনি যদি জানতে চান ইংরেজিতে কিভাবে পদত্যাগ পত্র লিখতে হয়, তাহলে বলবো নিচের নমুনা এপ্লিকেশনটি আবারও দেখুন। আর হ্যাঁ, সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি পদত্যাগ পত্র লেখার সময় অনুসরণ করতে পারেন নির্দিষ্ট কিছু ধাপ। যেমন–

  • শুরুতেই চিঠির তারিখ লেখা এবং আপনার সুপারভাইজার বা ম্যানেজারের কাছে পৌঁছানোর জন্য চিঠিটির ঠিকানা উল্লেখ 
  • দ্বিতীয়ত– একটি বিবৃতি দিয়ে লেখাটি শুরু করা, যেটা সুস্পষ্ট ভাবে এক কথায় এটা বোঝাবে যে আপনি পদত্যাগ করার উদ্দেশ্যে আবেদনপত্র টি লিখছেন। উদাহরণ হিসেবে যদি বলি তাহলে এমনটা লিখবেন– অনুগ্রহ করে এই আবেদন পত্রটি নজরে রাখবেন। 
  • তৃতীয় ধাপে অবশ্যই পদত্যাগের একটি কারণ উল্লেখ করবেন যেটা হবে ইতিবাচক। উদাহরণ হিসেবে আমরা যে সরকারি চাকরির নমুনা দরখাস্ত দেখিয়েছি সেখানে উল্লেখ রয়েছে ব্যক্তিগত কিছু কারণে পদত্যাগের জন্য আবেদন করছেন। কিন্তু যদি এমনটা হয় যে আপনি নিয়োগ কর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থেকে আবেদন পত্রটি শেষ করেছেন তাহলে সেটা সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে।
  • অন্যদিকে যদি চাকরি পরিবর্তনের কারণ হয়ে থাকে, তাহলে ইতিবাচক বিবৃতি দিয়ে আবেদন পত্রটি বন্ধ করা খুবই জরুরী। যেমন ধরুন– এই ধরনের কিছু লেখা যে, কোম্পানিতে তাদের সময়ের জন্য আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বা ভবিষ্যতে কোম্পানির সাফল্য কামনা করা কিংবা ইতোমধ্যে তারা যে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে তার জন্য সমবেদনা জানানো। 
  • সবশেষে আবেদন পত্রে স্বাক্ষর অবশ্যই জরুরী। 

Resignation letter

[Date]

[Supervisor’s Name]

[Job Title]

[Company Name]

[Address]

[City, State ZIP Code]

Dear [Supervisor’s Name],

I am writing to inform you that I have decided to resign from my position as [Job Title] at [Company Name]. My last day of work will be [Date].

I want to take this opportunity to thank you and the entire team for the valuable experience and support provided during my time at [Company Name]. It has been an honour to work with such a talented and dedicated group of individuals.

I am committed to ensuring a smooth transition and am willing to assist with the handover process in any way I can. Please let me know how I can best support the team during this time.

Thank you again for everything.

Sincerely,

Setu Sarkar. 

আর হ্যাঁ, সরকারি চাকরি ছাড়ার নিয়ম যদি অনুসরণ করতেই চান তাহলে চাকরির ছাড়পত্র লেখার ক্ষেত্রে আরো কিছু টিপস অনুসরণ করতে পারেন। যেমন–

  • স্পষ্ট ভাষী ও concise 
  • প্রফেশনালিজম 
  • Express gratitude
  • অফার টু হেল্প উইথ দা ট্রান্সসিশন
  • এড্রেস টু ইওর ইমিডিয়েট সুপারভাইজার অর ম্যানেজার এন্ড ব্যাসিক ফর্ম। 

সরকারি চাকরি ছাড়ার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র 

চাকরি ছাড়ার দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানার পাশাপাশি এটাও জানা জরুরী, সরকারি চাকরি ছাড়ার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র অর্থাৎ ডকুমেন্ট হিসেবে মূলত কি কি লাগতে পারে। কারণ এই কার্য প্রক্রিয়ার সময় কিছু নির্দিষ্ট নথিপত্র জমা অবশ্যই দিতে হয়। সেগুলো হলো–

  • দাখিলকৃত আবেদন পত্র 
  • সার্ভিস বুক অর্থাৎ কর্মজীবনের সমস্ত তথ্য সংরক্ষিত ডাটা 
  • সার্ভিস সনদ ও মেডিকেল রিপোর্ট 

এখন আসুন আরো জেনে নেই, আপনি যখন চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবেন তখন সাধারণত আপনাকে কোন কোন বিষয়গুলো অবশ্যই মাথা ঠাণ্ডা করে ভাবতে হবে এবং নজরে রাখার প্রয়োজন পড়বে। কেননা হাতেগোনা সাত থেকে আটটি বিষয় রয়েছে যেগুলো চাকরিতে ইস্তফা দিতে সাহায্য করে থাকে। 

✓ নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিত– আপনি যখন সরকারি চাকরি ছাড়ার নিয়ম অনুসরণ করে চাকরি ছাড়তে চাইবেন তখন পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার পরে আপনাকে অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে। কেননা রেজিগনেশন লেটার দেওয়ার পর নোটিশ পিরিয়ডের থাকতে হয় কর্মচারীদের। অনেকেই রয়েছেন চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন বলে কাজে অবহেলা করে থাকেন ভাবেন আপনার দায়বদ্ধতা শেষ তাই আপনি যেমন খুশি সেভাবেই কাটাতে পারেন চাকরির এই কয়েকটা দিন। কিন্তু যারা এমনটা চিন্তা করেন তারা সম্পূর্ণ ভুল, মনে রাখবেন শেষ সময়ে যদি এসে আপনার খারাপ আচরণ দৃষ্টিতে আসে তাহলে সেটা আপনার পরবর্তী জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। 

✓ পালিয়ে না যাওয়া–অনেকেই রয়েছেন যারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। মানে চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত না নিয়ে নিজের জিনিসপত্র নিয়ে হুট করে উধাও হয়ে যান। সত্যি বলতে পরবর্তি জীবনে যদি আপনি অন্য কোন চাকরিতে জয়েন হতে চান বা সম্মান নিয়ে ভালোভাবে বাঁচতে চান তাহলে চাকরির ছেড়ে দেন কিন্তু পালানোর মতো গর্হিত কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। নির্দিষ্ট কিছু সময়ের প্রয়োজন পড়ে চাকরি ছাড়ার জন্য। কেননা আপনি যদি হুট করে চাকরি ছেড়ে দেন তাহলে শূন্যস্থান ভরাট করার জন্য উক্ত অফিস বা কোম্পানির কিছু টাইম অবশ্যই লাগবে। হঠাৎ করে চাকরি ছেড়ে দেওয়া অকৃতজ্ঞতা। 

✓ স্মার্টলি কথা বলুন– চাকরির রেজিগনেশন লেটার সাধারণত ইমেইল আকারে পাঠানো হয়। যাইহোক ধারণা দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে আমরা অনেকটাই আলোচনা করেছি চাকরি ছাড়ার দরখাস্ত নিয়ে। তবে অনেকেই রয়েছেন যারা চাকরি ছেড়ে দেওয়ার জন্য শুধুমাত্র বসকে একটা মেইল পাঠিয়েই চুপ হয়ে যান। খোলাখুলি কোন কথাই বলেন না। এটা তাদের কাছে দৃষ্টিকটু লাগতে পারে। তাই স্মার্টলী সুন্দরভাবে কথা বলুন এবং আপনি কেন চাকরিটি ছেড়ে দিচ্ছেন সেটা তাদেরকে ভালোভাবে জানান। 

✓ মনে রাখা ভালো আপনি এইচআর অফিসিয়াল। এমনটা নয় যে আপনি একজন যন্ত্র। আর এজন্য এতদিন যে সকল ফর্মালিটি মেনে চাকরি টি করেছেন সেটা বাদ দিতে চাইলেও কিছু বিষয়ে অবশ্য মেটাতে হবে। যেমন ফোনের বিল মেডিকেল বিল ইত্যাদি ইত্যাদি। 

✓ সহকর্মীদের সাথে আলোচনা করতে পারবেন এবং অফিস কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেষ করতে পারেন আপনার কর্মজীবন। যাতে করে পরবর্তীতে নতুনভাবে নতুন উচ্ছ্বাসে শুরু করতে পারেন আপনার একান্ত পছন্দনীয় কাজ। 

সরকারি চাকরির আইন এবং কর্মচারীর অবসর গ্রহণ সম্পর্কিত নীতিমালা | সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ pdf

সরকারি কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা এবং সরকারি আইন কার্যকর রয়েছে। আর তাই আপনি যদি সরকারি চাকরি ছাড়ার নিয়ম সঠিকভাবে অনুশীলন করতে চান তাহলে জানতে হবে সে ব্যাপারে। এর জন্য click করুন আমাদের সাজেস্ট ক্রীত লিংকে। যেখানে সরকারি চাকরি আইন এর কার্যকরী কিছু বিষয় সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। 

তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, এই ছিল আমাদের আজকের আলোচনা, এখন আসুন সরকারি চাকরি ছাড়ার নিয়ম জানার পাশাপাশি বহুল জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন ও কুয়েরি সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। যেগুলো লিখে মাঝে মধ্যেই অডিয়েন্স বন্ধুরা সার্চ করে থাকেন গুগলে। 

সরকারি চাকরি ছাড়ার নিয়ম সম্পর্কিত জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর 

১. বেসরকারি চাকরি ছাড়ার আইন কি?

✓ বেসরকারি চাকরি ছাড়ার আইন বলতে পারেন সরকারি আইন ও বিধি নিষেধের মতোই। যেমন বেসরকারি চাকরি ছাড়তে চাইলেও চাকরি ছাড়ার নোটিশ দিতে হয়, চুক্তি না মানলে তার জন্য শাস্তিবাজ জরিমানা ধার্য করা হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। 

২. চাকরি হতে অব্যাহতির বিধান 

✓চাকরি হতে অব্যাহতির বিধান অর্থাৎ পদত্যাগের বিধান কি অনেকেই বুঝেন না। দেখুন যে কোন জিনিস যদি সুশৃংখলভাবে পরিচালনা করতে চাওয়া হয় তাহলে অবশ্যই কিছু নিয়ম-নীতি ও শর্তাবলী জুড়ে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। যেগুলোকে বিধান বা আইন বলে আমরা সম্বোধন করে থাকি। চাকরি হতে অব্যাহতির বিধান বলতে মূলত চাকরি ছাড়ার সময় কি কি বিষয় মানতে হবে এবং কোন নিয়ম অনুসরণ করে কোথায় থেকে কিভাবে চাকরি ছাড়ার নোটিশ সংগ্রহ করতে হবে এই বিষয়টিকেই ইঙ্গিত করে। 

৩. ব্যাংকের চাকরি ছাড়ার নিয়ম 

✓সরকারি বেসরকারি বা ব্যাংক প্রত্যেকটি চাকরি ছাড়ার নিয়ম বলা যায় একই। এর জন্য আপনি যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন বা যাদের সঙ্গে কাজ করছেন তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন। 

৪. গার্মেন্টস চাকরি থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন 

✓ইতোমধ্যে আমরা সরকারি চাকরি ছাড়ার নিয়ম হিসেবে রেজিগনেশন লেটার অর্থাৎ সরকারি চাকরি ছেড়ে দেওয়ার দরখাস্ত সাজেস্ট করেছি। আপনি যদি গার্মেন্টস চাকরি ছাড়তে চান তাহলে গার্মেন্টস চাকরি থেকে অব্যাহতির জন্য মূলত এই একই নিয়ম মেনে আবেদন পত্র লিখুন। 

৫. সরকারি চাকরি পরিবর্তনের নিয়ম কি?

✓সরকারি চাকরি পরিবর্তনের নিয়ম খুবই সাধারণ। যা ইতোমধ্যে আমরা আমাদের আলোচনায় উল্লেখ করেছি। 

৬. চাকরি ছেড়ে দিলে কি কি পাওয়া যায়?

✓ চাকরি ছেড়ে দিলে সাধারণত একজন কর্মচারী শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করা বেতন এবং যেকোন বকেয়া ছুটির বেতন পায়।

৭. কি কি কারণে সরকারি চাকরি চলে যায়?

✓ সহকর্মীদের সাথে বাজে আচরণ, অফিসের নিয়ম ভঙ্গ এবং উচ্চপদস্থ কর্মকতারদের সাথে দুর্ব্যবহার করলে চাকরি চলে যায়। সরকারি চাকরি চলে যাওয়ার আরো কিছু কারণ রয়েছে। বিস্তারিতভাবে জানতে হলে সরকারি চাকরি যাওয়ার কারণ সম্পর্কিত আরো একটি আর্টিকেল পড়ুন।

৮. ইস্তফা পত্র কি?

✓ ইস্তফা পত্র হচ্ছে একটি আবেদন পত্র যেটাকে দাবিনামা পত্র বলেও সম্বোধন করা হয়। এটা হচ্ছে কোন ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান দ্বারা কোন কাজের সম্পর্কে প্রধান নির্দেশিকা দেওয়ার জন্য প্রদত্ত পত্র।

৯. নোটিশ ছাড়াই চাকরি ছেড়ে দিলে কি হয়?

✓ নোটিশ হাতে পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা আইনি নিয়ম। তাই কেউ যদি নোটিশ ছাড়াই চাকরি ছেড়ে দেয় তাহলে আইনি নিয়ম নীতি খেলাফ করা হয় যেটা অপরাধ হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পায়। আর এই সময় নিয়োগ কর্তার দ্বারা আপনি আইনি পদক্ষেপের ঝুঁকিতে পড়তে পারেন এছাড়াও আপনার অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক সুবিধাগুলো বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে। তাই নোটিশ হাতে পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাটা বুদ্ধিমানের কাজ নইলে নোটিশ ছাড়াই চাকরি ছাড়লে এই অসুবিধা গুলোর সম্মুখীন হতে পারেন। 

১০. অন্য সরকারি চাকরি হয়ে গেছে এখন যদি ইস্তফা পত্র না দিয়ে বর্তমান কর্মস্থলে না যায় তাহলে কি কিছু হবে?

✓ এমনটা আপনি করতে পারবেন না। যদি করে থাকেন তাহলে বিভাগীয় মামলা খাবেন। আরে জন্য অবশ্যই একটি চাকরি ছেড়ে দিয়ে অন্য চাকরিতে জয়েন করতে চাইলে আপনাকে ইস্তফা পত্র জমা করতে হবে এবং অপেক্ষা করতে হবে কিছু সময়।

১১. তখনই রিলিজ নিতে চাইলে কি কি করতে হবে?

✓ আপনার যদি তাৎক্ষণিক রিলিজ নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে নিয়োগপত্রের সত্যানুসারে মূল বেতনের ১৫ দিনের বেতন সরকারি কোসাগারে জমা দিয়ে তাৎক্ষণিক রিলিজ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে ।

১২. সরকারি চাকরিতে যোগদানের পর এক মাস পরবর্তীতে যদি চাকরি ছেড়ে দেই তাহলে কি সমস্যা হবে?

✓ না কোন সমস্যাই হবে না। আপনি চাইলে ইস্তফা নিতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে অবশ্যই এক মাস বা 15 দিন কর্মস্থলে সময় দিতে হবে। যার কারণ আমরা ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছি। 

তো অডিয়েন্স বন্ধুরা,, এই ছিল আমাদের সরকারের চাকরি ছাড়ার বিষয়ে আজকের আলোচনা। তো যদি কোন প্রশ্ন বা মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে কমেন্টস সেকশনে জানিয়ে দিন। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *