আমের উপকারিতা
| |

আমের উপকারিতা – আম কিভাবে খেলে ওজন বাড়বে না

আম আমাদের সকলের খুব পছন্দের একটি ফল। আমের উপকারিতা এবং স্বুসাদ এর কারনে আমকে ফলের রাজা বলা হয়। আম এমন একটি ফল যা বেশিরভাগ লোকের কাছে অনেক প্রিয়। আমার মনে হয় ছোটবেলায় এমন কেউ নেই যে অন্যের গাছের আম চুরি করা বা ঝড়ের দিনে কেউ আম কুড়াতে যেত না তাহলে খুবই ভুল হবে। কারণ কাঁচা আম বা পাকা আম দুটোই সবারই পছন্দের তালিকায় রয়েছে।

আমরা নিঃসন্দেহে বলতে পারি যে, আম সবারই প্রিয় আর সুখবর হল যে আমের মৌসুম চলে এসেছে। ভারতীয়দের আম জাতীয় ফল হলেও বিশ্বের প্রায় প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। আম পছন্দ করেনা এরকম মানুষ খুব কম।

এই জ্বলন্ত গ্রীষ্মে প্রচুর ফল পাওয়া গেলেও আমার চাহিদা সবচাইতে বেশি। এই মৌসুমে আমের মত কোন ফল মানুষকে তৃপ্ত করতে পারে না। এই ফল প্রচুর মিষ্টি ও সুস্বাদু এবং বেশ পুষ্টি রয়েছে আমরা যখন অতি সুস্বাদ এর জন্য অতিরিক্ত আম খেয়ে ফেলি তখনই আমাদের ওজন বাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

আমরা কিভাবে আম খেলে ওজন বাড়বে না তা সঠিক উপায় জেনে নিতে পারি।আমরা অনেকেই এ ব্যাপারে আম খেলে ওজন বাড়ে কিনা?ফলটির অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তবে এটি সাধারণত ওজন বৃদ্ধির উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। এসব জানতে অবশ্যই আমাদের টিপস গুলো ফলো করতে পারেন।

খেজুরের উপকারিতা ও বিভিন্ন রকম ব্যবহার জানতে পড়ুনঃ



আমের উপকারিতা

আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, আইরন, কপার, বিটা ক্যারোটিন, পটাশিয়াম এবং প্রচুর ক্যালরি সমৃদ্ধ যা শরীরের জন্য দারুন। তাই আম আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আম শরীরে প্রচুর শক্তি যোগায়।

আম চোখের দুর্দান্ত এজেন্ট হিসেবে কাজ করে রাতের অন্ধকার দূর করে যা চোখের দৃষ্টি সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। আমের রস শরীরকে শীতল রাখতে সহায়তা করে এবং আপনাকে সহজে ক্লান্ত হতে দেয় না।
আমের বিভিন্ন ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যা শরীরের শক্তিশালী করে তোলে এবং অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করে। শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টরেল কমাতেও সাহায্য করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বককে সজীব ও সুন্দর রাখে। আর সত্যিই কি আম খেলে ওজন বাড়ে? হ্যাঁ অবশ্যই আম অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ওজন বাড়ে।

 

কিভাবে আম খেলে ওজন বাড়বে না

কোন কিছুর অতিরিক্ততা আপনার ওজন কে বাড়িয়ে তোলে। আমের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা প্রতিদিন অতিরিক্ত আম খেলে অবশ্যই আপনার ওজন বাড়বে।আম প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি হয় আম চর্বিমুক্ত তবে চিনি এবং ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে। তাই কোনো সীমা ছাড়া আম খেলে ওজন বাড়ে। তাই অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। আমাদের সচেতন হতে হবে আসুন জেনে নেয়া যাক যেভাবে আম খেলে ওজন বাড়বে না।

 

নির্দিষ্ট পরিমাণ ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত

আম কোলেস্টেরল বিহীন ফল। তাই আপনি আপনার ডায়েটে নির্দিষ্ট পরিমাণ আম অন্তর্ভুক্ত করুন।
অর্থাৎ প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি আম নিরাপদে খেতে পারবেন। আমে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি থাকে। এজন্য অল্প খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকেনা।ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে হলে অবশ্যই আপনাকে নিদিষ্ট পরিমান খাবার খেতে হবে।

 

দুপুরের খাবারের সাথে খাবেন না

আমরা একটি চিন্তা করে থাকিযে ভরা পেটে ফল খেতে হয়। এজন্য সব সময় খাবার খাওয়ার পর আমরা ফল খেয়ে থাকি। এই ভুল আমরা একদম করবোনা। দুপুরের ভারী খাবার খাওয়ার পর যদি আবার আম খাই তাহলে অবশ্যই ক্যালোরি পরিমাণ বেড়ে যাবে। এতে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। এজন্য এটি আমরা কখনোই করব না কারণ দুপুরের খাবারের পর আম খেলেঅবশ্যই ওজন বাড়বে। এজন্য দুপুরের খাবারের সাথে আম খাবেন না।

 

আম নাস্তা হিসেবে খাওয়া

দুপুরের খাবারের সাথে না খেয়ে আমরা সবসময় চেষ্টা করব সকালের নাস্তা বা সন্ধ্যার নাস্তায় আম খাওয়া। আমরা নাস্তায় ভাজাপোড়া খাবার বাদ দিয়ে আম খেতে পারি, আমের জুস খেতে পারি কিন্তু চিনি ছাড়া। আম ফাইবারসমৃদ্ধ হয় এটি দুর্দান্ত নাস্তা হিসেবে কাজ করবে। আমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে তাই তারা নাস্তা সময়কে উপকৃত করবে।


কাজ করার আগে আম খাবেন

আমের রসে প্রচুর পরিমান ক্যালরি রয়েছে। তাই কাজ করার আগে যদি আমরা আম খাই তাহলে ক্যালোরি খরচ হবে এতে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমতে পারবেনা এবং ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে না। তাই কাজ করার আগে আমাদের আম খেতে হবে এতে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা একদমই কমে যাবে।

 

ওয়ার্ক আউটের আগে আম খেতে পারেন

আম চর্বিমুক্ত তবে চিনি এবং ক্যালরির পরিমাণ বেশি। সুতরাং আপনাকে শুধুমাত্র মাঝারি পরিমাণে আম আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করতে পারেন। আপনি আপনার ওয়ার্ক আউট এর আগে আম খেতে পারেন। কারণ এটি আপনাকে দুর্দান্ত শক্তি প্রদান করবে এবং পাশাপাশি ক্যালরি কমাতে সাহায্য করবে। এতে ওজন বাড়ার কোন সম্ভাবনা থাকবে না। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই ওয়ার্ক আউট এর আগে আম খাবেন।

 

যেভাবে আম খাওয়া উচিত নয়

আম আপনাকে মোটা করে তুলতে পারে। যখন আপনি আম দিয়ে জেলি, মিল্কশেক জুস, আইসক্রিম ও আমের পায়েস তৈরি করে গ্রহণ করবেন। এইভাবে আম খাওয়া উচিত নয় কারণ এই খাবারগুলো তে চিনি যোগ করা হয় যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। আপনি ছোট ছোট টুকরা করে আম খেতে পারেন কিংবা একটি আম নিয়ে চামড়া ফুটো করে চুষে চুষে খেতে পারেন। এতে অতিরিক্ত আম খাওয়ার প্রবণতা অনেক কমে যাবে।

 

দিনে কয়টা আম খাওয়া যাবে

যাদের শরীরে অতিরিক্ত চর্বি, ডায়াবেটিস রোগী কিংবা মোটা হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। কিংবা যারা ডায়েট মেনে খাবার খান তাদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন একটির বেশি আম কিংবা সর্বোচ্চ দুইটা আমের বেশি না খাওয়াই ভালো। তবে আরেকটু বেশি খেতে পারেন। যাতে কোনো রকম যাতে কোনরকম সমস্যা নাই তবে অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো।

যাদের অতিরিক্ত সুগার রয়েছে অথবা যাদের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল রয়েছে তারা আম খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই কোনো ভালো নিউট্রিশিয়ান কাছ থেকে পরামর্শ নিবেন। যে আপনার প্রতিদিন কত পরিমান আম খাওয়া যেতে পারে। এতে আপনাদের সকল সমস্যা দূর হবে।


Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *