ব্রণের জন্য কোন সাবান ভালো | ১০০%গ্যারান্টিসহ কার্যকারী সাবান
ব্রনের জন্য কোন সাবান ভালো? এটা হচ্ছে সেই সকল মানুষের প্রশ্ন, যারা ব্রণের সমস্যায় ব্যতিব্যস্ত জীবন অতিবাহিত করছেন। আমাদের মূলত সবারই কমবেশি ব্রণ দেখা দেয়। তবে কারো কারো ত্বক এতটাই সেনসিটিভ হয়ে থাকে যে একটু এদিক সেদিক হলেই ব্রণের আনাগোনা ঘটে। ফলে অস্বস্তিকর এক সময় অতিবাহিত করতে হয়।
সত্যি বলতে ব্রণের যে সমস্যা সেটা মুখে বলে প্রকাশ করার মতো নয়। আর স্বাভাবিকভাবেই আমরা সবাই এটা জানি– একটি মানুষের চেহারার সৌন্দর্যকে ব্রণ নিমিষেই নষ্ট করে দিতে পারে। তাই এই নিয়ে অনেকেই বেশ চিন্তিত। তাইতো কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে, ব্রণের জন্য কোন ভালো সাবান ভালো, এমনই প্রশ্ন করে থাকেন ভুক্তভোগীরা।
আরও পড়ুনঃ শীতকালে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন?
আর যারা এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তারা অবশ্যই আমাদের আজকের প্রবন্ধটি স্কিপ না করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। কেননা ব্রন দূর করার এমন কিছু সাবান এবং টিপস আমরা আপনাদেরকে শেয়ার করব, যেগুলো ১০০% কার্যকরী হবে ইনশাআল্লাহ।
ব্রণের জন্য কোন সাবান ভালো?
কারো কারো মতে ব্রণযুক্ত স্ক্রিনে সাবান ব্যবহার না করাই উত্তম। আবার কারো কারো মতে ব্রণযুক্ত স্কিনের জন্য বেশ কিছু কার্যকরী সাবান রয়েছে যেগুলো অত্যন্ত উপকারী। তবে ব্রণের জন্য কোন সাবান ভালো– এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পূর্বে আপনার আরো কয়েকটি বিষয়বস্তু সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরী। সেগুলো হলো:-
- ব্রণ কি?
- ব্রণ হওয়ার কারণ কি?
- সাবান কি?
- সাবানের উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি?
- ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায় বা কার্যকরী টিপস সমূহ সম্পর্কে।
তাহলে আসুন ধারাবাহিকভাবে আমরা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেই। সেই সাথে আরো জানি, ব্রনের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী সাবানের নাম ও দাম সম্পর্কে।
ব্রণ কি?
ব্রণ হলো— মানুষের ত্বকের একটি দীর্ঘ মেয়াদী রোগ, যা সাধারণত লালচে রংয়ের হয়ে থাকে। এটি মূলত ত্বকের একটি বিরাট সমস্যা, যা ত্বককে ভেতর থেকে ড্রাই এবং তৈলাক্ত করে সেই সাথে সৃষ্টি করে বিশ্রী দাগের।
এক কথায়– আমাদের ত্বকে একটা সময় পড়ে যে নির্দিষ্ট ফুসুরি আকারের চিহ্ন বা গোটা দেখা যায় তাই হলো ব্রণ। যেটাকে আমরা পিম্পল বলে সম্বোধন করি।
ব্রণ কেন হয় | ব্রণ হওয়ার গোপন কারণ কি?
ব্রণ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো– বয়সন্ধিকালে হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া। তবে আমাদের মাঝে প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষের ধারণা, ব্রন সাধারণত তাদের হয়ে থাকে যারা অধিক বেশি ভাজাপোড়া, চকলেট বা অন্যান্য ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে তাদের। তবে ইতিমধ্যে এটা পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ব্রণ হওয়ার সাথে এসবের কোনই সম্পর্ক নেই। সুতরাং খাবার খাওয়ার কারণে ব্রণ হয় না।
সাধারণত ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে:- খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা, ঘুমচক্র ইত্যাদি। আর এই ব্রণগুলো সাধারণত ২০ থেকে ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবুও আসুন বোঝার সুবিধার্থে জেনে নেই আর কি কি কারনে আমাদের ত্বকে ব্রণের আবির্ভাব ঘটে সে সকল কারণ সমূহ সম্পর্কে। যথা:-
- ময়লা বালিশের কাভার
- মোবাইল ফোনের নোংরা স্কিন
- মানসিক চাপ
- শরীরে পানির ঘাটতি
- অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন
- অনিয়মিত ঘুম
আপনার ত্বকে যদি প্রচুর ব্রণ থেকে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই এই কয়েকটি কারণের মধ্যে একটি হলেও আপনার সঙ্গে মিল থাকবে। অতএব ব্রণ কে আতঙ্কের মনে না করে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। ব্রণ প্রতিরোধে আপনি যা যা করতে পারবেন সেগুলো হলো:-
- পর্যাপ্ত পানি পান
- খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল রাখা
- পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের ব্যবস্থা করা
- দুশ্চিন্তা মুক্ত জীবন যাপন অতিবাহিত করার চেষ্টা করা
- নিয়মিত শরীর চর্চা করা এবং কোমল সাবান দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করা
- পাশাপাশি ব্রণ দূর করার ঘরোয়া কিছু টিপস অবলম্বন করা।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে পড়তে পারেন: ব্রণ দূর করার উপায় ঘরোয়া পদ্ধতিতে। এবার আসুন জেনে নেই সাধারণত ব্রণ কত ধরনের হয়ে থাকে এবং সেগুলো কি কি।
মূলত এপর্যন্ত ব্রনের ধরনের উপর ভিত্তি করে ব্রণ কে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো হলোঃ
- ইনফ্লেমাটোরি
- স্কেয়ারিং প্যাপুলার
- মিল্ড প্যাপুলার এবং
- নডুলার বা স্কেয়ারিং
এবার আসুন জেনে নেই, ব্রণের জন্য কোন সাবান কার্যকরী এবং সাবান আমাদের ত্বকের জন্য কতটা উপকারী এবং কতটা ক্ষতিকর সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
সাবান কি?
সাবান হচ্ছে উচ্চতর ফ্যাটি এসিডের সোডিয়াম বা পটাশিয়াম লবণ। মূলত একাধিক জৈব এসিডের লবণ হওয়ার কারণে সাবানের কোন নির্দিষ্ট সংকেত নেই। তাই আপনি সাবানকে একটি মিশ্র লবণ ভাবতে পারেন। সাবান মূলত আমাদের জন্য একটি প্রসাধনী, যেটা ত্বকের ময়লা পরিষ্কারের কাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
সাবানের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি কি?
সব সাবান সব শরীর ও ত্বকের জন্য উপকারী নয়, আবার সব সাবান সব ত্বকের জন্য ক্ষতিকরও নয়। মূলত সাবানের উপকারিতা এবং অপকারিতা এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে, সাবান ব্যবহারকারীর সাবান নির্বাচনের ক্ষেত্রে। কেননা কোন সাবান আপনার ত্বককে সুরক্ষা প্রদান করছে এটা শুধুমাত্র আপনি ব্যবহার করার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন।
তবে সপ্তাহে কয়বার সাবান ব্যবহার করা উচিত এবং অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার করলে কি কি ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে আমরা ধারাবাহিকভাবে কিছু বিষয় তুলে ধরব। যথা:-
সাবানের উপকারিতা ও সুবিধাসমূহ
- সাবান ত্বককে সমৃদ্ধ করে অর্থাৎ ত্বকের রসায়ন ক্রিয়াকে সমৃদ্ধ করে ভেতর থেকে করে তোলে নরম ও স্মুথ।
- এটি ব্যক্তিগত স্বচ্ছতা বজায় রাখে
- সাবান একটি প্রাকৃতিক পদার্থ আর এটি স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশ মুক্ত
- সাবান ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুকে ধ্বংস করে যা আমাদের সুস্থ জীবন কামনায় সহায়ক
- এছাড়াও সাবান শরীরের দুর্গন্ধ দূর করে।
আর তাই সাবান আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটা প্রসাধনী। তবে প্রতিদিন গোসলের সাবান ব্যবহার না করা উত্তম। এখন কথা হচ্ছে আপনি তাহলে সপ্তাহে কয়দিন সাবান ব্যবহার করবেন? তাদেরকে বলব যারা একটু ঘর কুনো স্বভাবের। সুতরাং যারা বাড়িতে বেশি থাকেন বাইরে বের হন না তারা সপ্তাহে মাত্র ২ দিন সাবান ব্যবহার করবেন।
আর যারা বাইরে কাজ করেন অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের মূলত সপ্তাহে তিন দিন সাবান দিয়ে গোসল করা জরুরী। আর এর বেশি ব্যবহার না করাটাই ভালো। আর হ্যাঁ সাবান ব্যবহার করার পরবর্তীতে অবশ্যই বডি লোশন প্রয়োগ করা প্রয়োজন। যদি আপনি আপনার শরীরের ত্বক ভালো রাখতে চান।
আরও পড়ুনঃ ত্বক উজ্জ্বল করার উপায় হিসাবে ১০টি কার্যকারী টিপস
সাবানের ক্ষতিকর দিকসমূহ:
সাবানের উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা রয়েছে। মূলত আপনি যদি সঠিক নিয়মে সাবান ব্যবহার না করেন তাহলে এটা আপনার জন্য ক্ষতিকারক প্রসাধনী হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। কেন না এতে রয়েছে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ যেগুলো আমাদের কোমল ত্বক ও শরীরের জন্য যথেষ্ট ক্ষতিকর। সাধারণত আপনি যদি নিয়ম মেনে সাবান ব্যবহার না করেন তাহলে যেসব ক্ষতি হতে পারে সেগুলো হলো:-
- ত্বক অতিরিক্ত ড্রাই হয়ে যাওয়া
- ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ হওয়ার পাশাপাশি উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোও ধ্বংস হয়ে যাওয়া
- শরীরের যে ন্যাচারাল অয়েল থাকে তা নষ্ট হয়ে যাওয়া
- ত্বক বুরিয়ে যাওয়া সহ প্রভৃতি।
যেহেতু প্রত্যেকটা জিনিসের ভালো এবং মন্দ দুইটা দিক রয়েছে তাই অবশ্যই আপনি যদি সাবান ব্যবহার করতে চান তাহলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এবার আসুন জেনে নেই কোন সাবান মুখের জন্য ভালো এবং ব্রণের জন্য কোন সাবান অধীক বেশি কার্যকরী।
কোন সাবান মুখের জন্য ভালো | ব্রণ দূর করার সাবান
মূলত বিভিন্ন সাবানের ধরনের মিলবে আপনার ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান। একেক সমস্যার জন্য আপনি একই সমান ব্যবহার করতে পারবেন। বর্তমান বাজারে আপনি বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন গুণগত মানসম্পন্ন সাবান পাবেন। তবে এমন সাবান নির্বাচন করতে হবে যেটা আপনার ত্বকে সুট করবে। যারা বলে থাকেন কোন সাবান মুখের জন্য ভালো? তাদের জন্য একটাই উত্তর। সেটা হলো: যে সাবানের উপাদান গুলো আপনার ত্বকের সাথে শুট করবে সেই সাবান আপনার মুখের জন্য সবচেয়ে বেশি ভালো।
আর তাই এ পর্যায়ে আমরা ত্বকের সমস্যা অনুযায়ী কিছু সাবান ব্যবহারের পরামর্শ দিব যেগুলো পরীক্ষায় প্রমাণিত এবং বিশেষজ্ঞরা ত্বকের নানা সমস্যার কারণে এই সাবান গুলো ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছেন ইতোমধ্যে। তাহলে আসুন ধারাবাহিকভাবে জেনে নেই আপনি আপনার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন সাবান ব্যবহার করবেন অর্থাৎ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন সাবান ভালো, শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন সাবান ভালো, ছেলেদের মুখের জন্য কোন সাবান ভালো বা মেয়েদের মুখের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী সাবান কোনগুলো।
শুষ্ক ত্বকের জন্য সেরা সাবান
আপনার ত্বক যদি অতিরিক্ত শুষ্ক এবং ড্রাই হয়ে থাকে তাহলে ঐ সকল সাবান অধিক বেশি কার্যকরী হবে যে সকল সাবানে রয়েছে পাঁচ ধরনের উপাদান। যথা:
- অ্যালোভেরা
- কোকো মাখন
- অ্যাভোকাডো
- উদ্ভিজ্জ্য তেল
- ময়েশ্চারাইজার
তাই শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতে চাইলে আপনি সাবান কেনার পূর্বে এই উপাদান গুলো যাচাই-বাছাই করুন পরবর্তীতে কিনুন ত্বকে ব্যবহারের জন্য আদর্শ ও উপযুক্ত সাবান, যেটা আপনার জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সেরা সাবান
তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা দূরীকরণে সে সকল সাবান ব্যবহার করা জরুরী যেগুলোতে রয়েছে:-
- লাভেন্ডার
- কেমোমাইল
- থাইম যুক্ত নির্দিষ্ট ফেস ক্লিনজার সহ প্রভৃতি।
অর্থাৎ তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে এন্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করা অধিক বেশি জরুরী।
সংবেদনশীল ত্বকের জন্য সেরা সাবান
আপনার ত্বক যদি অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে থাকে এবং সংক্রমণ প্রবণ হয় তাহলে ভিটামিন ই এবং যোজোবা তেলযুক্ত সাবানগুলো ব্যবহার করা জরুরী। তাই সংবেদনশীল ত্বকের জন্য আপনি সেই সকল সাবান কিনতে পারেন যেগুলোতে রয়েছে যোজোবা অয়েল এবং ভিটামিন ই উপাদান। যেটা আপনার জন্য হবে সবচেয়ে উপযুক্ত।
মিশ্র ত্বকের জন্য সেরা সাবান
আপনার ত্বক যদি অতিরিক্ত শুষ্ক না হয় আবার অতিরিক্ত তৈলাক্ত না হয় সেক্ষেত্রে আপনি গ্লিসারিন যুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন। সুতরাং যে সকল সাবানে গ্লিসারিন উপাদান রয়েছে সেটা আপনার মিশ্র ত্বকের জন্য সেরা হিসেবে বিবেচ্য হবে।
আর হ্যাঁ বর্তমান সময়ে ব্যবহারকারীর মতামতের উপর ভিত্তি করে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে দশটি সাবান অধিক বেশি জনপ্রিয়তা ও সুফলতা অর্জন করেছে। তাই আপনি চাইলে সকল কিছু যাচাই-বাছাই করে ত্বকের উন্নতির জন্য নিম্ন বর্ণিত সাবান গুলো ব্যবহার করতে পারেন। যথা:-
- ওলে-আল্ট্রা ময়েশ্চার বার
- ডাভ-ক্রিম বিউটি বার
- বায়োটিক অরেঞ্জ পীল বডি ক্লিনজার
- ডেটল সাবান
- টম ফোর্ড-জেসমিন রুজ
- লিরিল ২০০০ উইথ টি-ট্রি অয়েল
- পিয়ারস পিওয়র অ্যান্ড জেন্টেল সোপ
- ডিওর-জাডোর সিল্কি সোপ
- খাদি ন্যাচরাল স্যান্ডেলউড সোপ
- কোকো শ্যানেল – কোকো বাথ সোপ বার
ব্রণ দূরীকরণে এবং ব্রনের দাগের জন্য সেরা সাবান
গালে ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে আপনি কার্যকরী তিনটি সাবান ব্যবহার করতে পারবেন। যেগুলো ইতোমধ্যে অনেকেই ব্যবহার করার মাধ্যমে সুফল পেয়েছেন। সেগুলো হলো:-
- Dxn ghanozhi soap
- Charcoal soap
- Acne Aid BAR
উপরে উল্লেখিত Charcoal soap এ রয়েছে পিওর অলিভ অয়েল, কোকোনাট অয়েল, ফিল্টার ওয়াটার এবং ক্যাস্টর অয়েল। যেগুলো আপনার ত্বকের সমস্যা দূরীকরণের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। অপরদিকে Dxn ghanozhi soap এ রয়েছে মাশরুম এবং পামওয়েল। এটা মূলত একেবারে প্রাকৃতিক ন্যাচারাল উপাদান দিয়ে তৈরি। ছয় ধরনের ছয় প্রজাতির উন্নত মানের ঔষধি গুনসম্পন্ন মাশরুম ও পাম অয়েল সেইসাথে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে এই ব্যবহার্য সাবান।
এটি ব্যবহারে আপনার ত্বকের যে সকল সমস্যা দূর হবে সেগুলো হলো:
- ব্রণের সমস্যা ও ব্রণের কালো দাগ
- ত্বকের মেছতার দাগ
- চামড়া কুঁচকে যাওয়ার সমস্যা রোধ
- ত্বক ড্রাই ও শুষ্কতার সমস্যা
অপরদিকে আপনি যদি Acne Aid BAR টি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বকের ব্রণের জীবাণু মরে যাবে এবং ব্রণ উঠা বন্ধ হবে। পাশাপাশি ত্বকের লোমকূপ থেকে ব্যাকটেরিয়া দমন করবে। ত্বক হয়ে উঠবে কোমল এবং মসৃণ এবং ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে।
তবে হ্যাঁ যেকোনো সাবান ব্যবহার করার জন্য সঠিক নিয়ম ও বিধি নিষেধ মেনে চলাটা খুবই জরুরী। অতএব আপনি আপনার ব্রণের সমস্যা দূর করতে চাইলে সেই সাবানটি বাছাই করুন যেটা আপনার ত্বকের জন্য কার্যকরী। তবে ব্রনের সমস্যাটা যদি অধিক হয়ে থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা অধিক বেশি জরুরী।
সতর্কতা: ব্রণ ত্বকের উজ্জ্বল্যতা এবং সৌন্দর্যকে নষ্ট করে দেয়। আর তাই অনেকেই এই সমস্যাকে দূর করার জন্য বাজারের নামিদামি বিভিন্ন কসমেটিক্স ব্যবহার করেন। যেগুলো ব্যবহারের কারণে ব্রণের সমস্যা ঠিক হওয়ার পরিবর্তে বরং সমস্যা বেড়ে যায়। তাই অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং যদি ব্রণের সমস্যা অতিরিক্ত গুরুতর হয়ে যায় তাহলে স্কিন বিশেষজ্ঞর শরণাপন্ন হোন।
তো ফ্রেন্ডস আজ এ পর্যন্তই। ব্রণের সমস্যা দূরীকরণে আশা করি এই সাবান গুলো আপনাদের কাজে আসবে। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন পাশাপাশি আমাদের ডেইলি স্মার্ট টিপস ওয়েবসাইটের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ।
One Comment