বিটকয়েন কি
|

বিটকয়েন কি ? বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে ?

বিটকয়েন কি, বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে– অনেকেই আমরা বিটকয়েন নাম শুনেছি কিন্তু জানিনা বিটকয়েন আসলে কি, এর কাজ কি এমনকি এর ব্যবহার কি! আর তাই আজকের আলোচনার মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানাবো বিটকয়েন সম্পর্কে খুঁটিনাটি। 

কেননা আমাদের আজকের আলোচনার মূল টপিক– বিটকয়েন কি ? বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে ? তো আপনারা যারা এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইচ্ছুক তারা আজকের এই আর্টিকেলটি স্কিপ না করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। 

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ও জনপ্রিয় ওয়েবসাইট

বিটকয়েন কি?

বিটকয়েন হচ্ছে বিশ্বের সর্বপ্রথম মুক্ত সোর্স ক্রিপ্টোকারেন্সি, যাকে ডিজিটাল মুদ্রা বা ডিজিটাল গোল্ড নামে সম্বোধন করা হয়। আমরা যেমন টাকা, রুপি, ডলার হিসেবে মুদ্রা কে চিহ্নিত করে থাকে, ঠিক সেভাবেই বিটকয়েন এক ধরনের মুদ্রাকে নির্দেশ করে, যেটা বর্তমানে প্রায় অনেক দেশে অর্থ প্রদানের একটি মূলধারায় পরিণত হতে চলেছে। 

তবে কিছু কিছু দেশে বিটকয়েন বৈধ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আর ঠিক এই কারণেই অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন– বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ? এ সম্পর্কে জানতে আলোচনার শেষ পর্যন্ত সাথে থাকুন এবং ধারণা অর্জন করুন বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে এবং এর ব্যবহার বিধি সম্পর্কে এ টু জেড!

বিটকয়েন কাকে বলে?

ডিজিটালাইজ ভার্চুয়াল কারেন্সি কে বিটকয়েন বলা হয়, তবে হ্যাঁ, এটি একটি নির্দিষ্ট দেশের সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত কোনো মুদ্রা নয়। এটা হচ্ছে বিশ্বের সর্বপ্রথম মুক্ত সোর্স ক্রিপ্টোকারেন্সি, যেদিকে বি-কেন্দ্রিক ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে পরিচিতি প্রদান করা হয় এবং যার সাহায্যে লেনদেনের জন্য কোন ধরনের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান বা নিকাশ ঘরের প্রয়োজন পড়ে না। 

কিন্তু এখন কথা হচ্ছে– বিটকয়েন মুদ্রাটি কিভাবে তৈরি হয় এবং এটি কিভাবে কাজ করে। তাছাড়াও বিটকয়েন কিভাবে উৎপাদিত হয় এবং কে এই মুদ্রাটি প্রথম আবিষ্কার করেন? পাশাপাশি বিটকয়েন এর দাম কত বিটকয়েন থেকে কিভাবে উপার্জন করা যায় এবং বিটকয়েন ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা কি কি। এ ব্যাপারে জানতে নিচের প্যারাগুলো ধারাবাহিকভাবে পড়ুন। কেননা পর্যায়ক্রমে আমরা এই প্রত্যেকটি টপিক নিয়ে অতি সংক্ষেপে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

বিটকয়েন কিভাবে তৈরি হয়

বিটকয়েন মূলত মাইনিং এর মাধ্যমে তৈরি হয়। কাগজ যেমন প্রচলিত মুদ্রা তৈরীর একমাত্র উপায় ঠিক একইভাবে বিটকয়েন তৈরির উপায় হচ্ছে মাইনিং। তাই আপনার প্রশ্ন যদি হয়ে থাকে বিটকয়েন তৈরির অন্যতম পন্থা কি? তাহলে এ প্রশ্নের উত্তরে বলা যাবে বিটকয়েন তৈরির অন্যতম সেরা পন্থা হচ্ছে মাইনিং, যার মাধ্যমে ভার্চুয়ালি বিটকয়েন তৈরি হয়। 

মূলত বিটকয়েন তৈরির জন্য বিটকয়েন মাইনিং করা হয়ে থাকে। কিন্তু আপনারা যারা মাইনিং শব্দটি বা মাধ্যমটির সাথে একদমই পরিচিত নন তাদের মাথায় এ ব্যাপারটি একদমই ঢুকবে না। তাই আপনাকে জানতে হবে বিটকয়েন মাইনিং সম্পর্কে এ টু জেড। তবে বোঝার সুবিধার্থে আমরা সংক্ষেপে তুলে ধরছি–

বিটকয়েন মাইনিং হল একটি ডিজিটাল প্রক্রিয়া, যেটার মাধ্যমে মানুষ একটি বিশেষ ধরনের কম্পিউটারের সাহায্যে জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করে এবং যার ফলস্বরূপ তারা পুরস্কার হিসেবে অর্জন করে বিটকয়েন। আশা করছি এই লাইনটি পড়ার পর বিটকয়েন মাইনিং বিষয়টি সম্পর্কে আপনার ক্লিয়ার ধারণা হয়েছে। 

এখন কথা হচ্ছে, বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে এবং এই বিটকয়েন সর্বপ্রথম কে আবিষ্কার করেছেন এবং এক বিটকয়েন সমান কত বা বিটকয়েন এর মূল্য কত! আপনারা বিটকয়েন থেকে অর্থ উপার্জনের মাধ্যম এবং এটি কিভাবে কাজ করে পাশাপাশি এর সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে জানার পূর্বে জেনে নিন বিটকয়েন সর্বপ্রথম কে আবিষ্কার করেছেন এবং বিটকয়েন এর মূল্য মোটামুটি কেমন সে সম্পর্কে।

বিটকয়েন কে আবিষ্কার করেন?

অন্যতম জনপ্রিয় এই ভার্চুয়াল মুদ্রাটি একজন অজানা ব্যক্তি তৈরি করেছেন। এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করার পর জানা গিয়েছে ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামে কোন এক ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এই মুদ্রাব্যবস্থার প্রচলন করে, যা পিয়ার-টু-পিয়ার মুদ্রা বলে অভিহিত হয় পরবর্তীতে।

অতএব এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে বলা যায় বিটকয়েন আবিষ্কার করেন ছদ্মনামধারী এক অজানা অপরিচিত ব্যক্তি। 

১ বিটকয়েন সমান কত টাকা

বিটকয়েন এর মূল্য সুনির্দিষ্ট নয়। কেননা বিটকয়েনের রেট সব সময় একরকম থাকে না এটা সময়ের সাথে সাথে ওঠা নামা করতে থাকে। যে কারণে এক বিটকয়েনে কত টাকা অথবা কত টাকায় ১ বিটকয়েন, এক বিটকয়েন কত টাকার সমান এই সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া ভারী মুশকিল। 

তবে হ্যাঁ সর্বশেষ তথ্য অনুসারে এবং ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত বিটকয়েনের মূল্য ২৩,০০০ মার্কিন ডলার এর অধিক ছিল। তাহলে বুঝতেই পারছেন বাংলাদেশী হিসাবে বিটকয়েনের মূল্য ঠিক কত হতে চলেছে। 

বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে?

দেখুন ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি– বিটকয়েন হলো একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency), অর্থাৎ এটি একটি সাইবার মুদ্রা, যা ডিজিটাল সম্পদের একটি রূপ। বিটকয়েন প্রথম বারের জন্য ২০০৯ সালে সাতোশি  (Satoshi Nakamoto) নামের এক অজানা ব্যক্তি দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল। 

বিটকয়েন একটি পাবলিক লেজার (public ledger) সিস্টেমে কাজ করে, যা ব্লকচেইন (blockchain) নামে পরিচিত। কিন্তু কথা হচ্ছে বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে! এ প্রশ্নটিকে যদি আপনি খুব বেশি জটিল মনে না করেন তাহলে বিষয়টা বুঝতে সুবিধা হবে, কেননা বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে এই প্রশ্নটি বেশি জটিল ভাবে নিয়ে কোন লাভ নেই। 

কেননা ইতোমধ্যে আমরা বলেছি এটি একটা ইলেকট্রনিক মুদ্রা। আর এই ধরনের মুদ্রা ব্যবহার বা আদান-প্রদানের জন্য আপনাকে মূলত ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে হবে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে এটাকে আপনার ব্যবহার করতে হবে। 

আর্টিকেলে আমরা মূলত বিটকয়েন এর মাধ্যমে উপার্জন করার মাধ্যম বা উপায় গুলো সম্পর্কে আলাদাভাবে আলোচনা করব। তবে এ পর্যায়ে তুলে ধরছি বিটকয়েনে কাজ করার মৌলিক কিছু প্রক্রিয়া প্রক্রিয়া, যেগুলো সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরী। 

১. বিটকয়েন একাউন্ট তৈরি করা: আপনি যদি বিটকয়েন ব্যবহার করতে চান বা বিটকয়েন কে কাজে লাগাতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে একটি বিটকয়েন একাউন্ট খুলতে হবে। এটি করার জন্য আপনি একটি ডিজিটাল ওয়ালেট (Digital Wallet) ব্যবহার করতে পারেন যেখানে আপনি আপনার বিটকয়েন সংরক্ষণ করতে পারবেন।

২. পেমেন্ট প্রক্রিয়া: বিটকয়েন ব্লকচেইনে অ্যাড্রেস (Address) নামের একটি প্রকারের পাবলিক কী (Public Key) থাকে, যা একটি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট সংকেত করে। আপনি আপনার বিটকয়েন অ্যাড্রেস ব্যবহার করে অন্য ব্যক্তির কাছে বা অনলাইন দোকানে অর্থ প্রেরণ করতে পারেন।

৩. লেজারে লেখা: সক্রিয় ট্রানস্যাকশনগুলি সক্রিয় করার জন্য, ট্রানস্যাকশনগুলি ব্লকচেইনের একটি নতুন ব্লকে সংযোজন করতে হয়। প্রতিটি ট্রানস্যাকশন কিছু ডেটা এন্ট্রি যোগ করে এবং এটি সত্যিকারের হওয়ার জন্য নেটওয়ার্কের প্রমাণ প্রদান করতে হয়।

৪. প্রমাণিত ট্রানস্যাকশন: ট্রানস্যাকশন প্রমাণিত হওয়ার পর, এটি নতুন ব্লকে যোগ করা হয় এবং ব্লকচেইনে সংরক্ষিত হয়। এই প্রমাণিত ব্লকের সাথে পূর্বের ব্লকের হ্যাশ (Hash) এবং সম্পাদিত একটি নন্স সহ থাকে, যা একটি অদ্ভুত ক্রিপ্টোগ্রাফিক সংখ্যা প্রস্তুত করে। এই প্রক্রিয়াটি ব্লকচেইনের সুরক্ষা ও বিশ্বাসযোগ্যতা সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করে।

তাই আপনি যদি বিটকয়েন এর ব্যবহার বিধি জানতে চান এবং এটির মাধ্যমে উপার্জন করার কথা চিন্তা করেন তাহলে বিটকয়েন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে প্রচুর পরিমাণে এনালাইসিস করুন। আর হ্যাঁ বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে এটা আরো ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে উদাহরণস্বরূপ নিচের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

দেখুন আপনি নিশ্চয় জানবেন আজকাল অনেক ধরনের অনলাইন ওয়ালেট অ্যাপস রয়েছে। যেমন paytm. যে অ্যাপসগুলো টাকাগুলোকে না ধরে না ছুয়ে বিভিন্ন প্রকারের লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। আমরা আমাদের নিজস্ব অ্যাপ থেকে অন্যের ওয়ালেট অ্যাপস এ ডিজিটাল পদ্ধতিতে টাকা ট্রান্সফার করে থাকি।

মূলত এই একই প্রক্রিয়ায় বিটকয়েন এর ব্যবহার করা হয়। কেননা বিটকয়েন এমন একটি ভার্চুয়াল মানে বা কারেন্সি যেটা না কোনদিন হাতে ধরে দেখতে পারা যায় না চোখে দেখা সম্ভব হয়, এটা মূলত সম্পূর্ণ ভার্চুয়ালি বা ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় সম্পাদনের একটি মাধ্যম। 

তবে হ্যাঁ বিটকয়েন আদান-প্রদানের জন্য যেকোনো একটি অ্যাপস বা ওয়েবসাইট সিলেক্ট করতে হয়। মূলত অ্যাপস এবং ওয়েবসাইটকে মাধ্যম বানিয়ে বিটকয়েন আদার প্রদান করা হয়ে থাকে। তাই এক কথায় যদি বলতে যাই যে বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে তাহলে বলা যায় ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিভিন্ন অ্যাপস এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যম ধরে বিটকয়েন কাজ করে থাকে বা বিটকয়েন কে ব্যবহার করা হয়। 

ফরেক্স ট্রেডিং কি? ফরেক্স কিভাবে কাজ করে? আয় কত?

বিটকয়েন কিভাবে মাইনিং করে

বিটকয়েন মাইনিং হলো বিটকয়েন ব্লকচেইনের মাধ্যমে ট্রানস্যাকশন নিশ্চিতকরণ এবং নতুন বিটকয়েন সৃষ্টির প্রক্রিয়া। আর যারা মাইনিং করে তাদেরকে মূলত মাইনার হিসেবে সম্বোধন করা হয়। এক কথায় ঐ সকল বিশেষ কম্পিউটার গুলোকে বলা হয় মাইনার যারা মাইনিং তৈরি করে থাকে। 

আর এই বিটকয়েন মাইনিং হচ্ছে ব্লক চেইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ বা বিটকয়েনের নেটওয়ার্ক। যেখানে মাইনারদের কাজের প্রধান উদ্দেশ্য হলো সংগ্রহযোগ্য লেন্দ্রা তৈরি করা এবং বিটকয়েন ব্লকচেইনে সংযুক্ত করা। এটি করতে সাধারণভাবে নিম্নলিখিত পদ্ধতি গুলো  বা ধাপগুলো  সম্পন্ন করতে হয়। যথা:-

১. মাইনিং হার্ডওয়্যার নির্ধারণ: প্রথমে, আপনার মাইনিং প্রক্রিয়ার জন্য উপযুক্ত হার্ডওয়্যার নির্বাচন করতে হবে। এটি আলাদা প্রকারের একটি কম্পিউটার বা স্পেশালাইজড মাইনিং হার্ডওয়্যার হতে পারে।

২. বিটকয়েন মাইনিং সফটওয়্যার ইনস্টল: দ্বিতীয়ত মাইনিং প্রক্রিয়া চালাতে আপনাকে বিশেষভাবে তৈরি করা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে, যেমন Bitcoin Core, CGMiner, BFGMiner, ইত্যাদি। এই সফটওয়্যারগুলি মাইনিং হার্ডওয়্যারের সাথে সংযোজিত হয় এবং মাইনিং প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।

৩. মাইনিং পূল বাছাই: বিশেষভাবে আমলকরা মাইনাররা পুলে যোগ দেয়, যা তাদের একটি সার্ভারে সংযুক্ত হয়ে ব্লক মাইন করতে সাহায্য করে। তবে এটি করার জন্য পূলে কিছু ফি দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যেটা ব্যয়বহুল।

৪. মাইনিং স্টার্ট: সফটওয়্যার ইনস্টল করা এবং পূলে সংযুক্ত করার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে চতুর্থ ধাপে মাইনিং প্রক্রিয়া শুরু করুন। সময় এবং কম্পিউটারের গুণগত সীমার উপর ভিত্তি করে এটি করতে আলাদা আলাদা বা কম বেশি সময় লাগতে পারে। 

তবে হ্যাঁ মাইনিং সম্পন্ন হওয়ার পর, আপনি বিটকয়েন পেতে সক্ষম হবেন। মানে আপনি অর্জন করতে পারবেন বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ডিজিটাল কারেন্সি। যেটার সাহায্যে ইন্টারনেট মাধ্যমে অর্থ উপার্জনও করতে পারবেন। 

কিন্তু কথা হচ্ছে বিটকয়েনের মাধ্যমে মূলত কিভাবে উপার্জন হয়? একদমই সহজ ভাবে বললে বলা যায় একে অপরের মাঝে আদান প্রদানের মাধ্যমে বিটকয়েন অর্থ উপার্জনের সাহায্য করে অর্থাৎ আদান প্রদানের প্রক্রিয়ায় কাজে লাগে বিটকয়েন। 

বর্তমানে বিভিন্ন দেশে যেমন নেট ব্যাংকিং বা ওয়ালেট অ্যাপস রয়েছে ঠিক একইভাবে বিটকয়েন এরো অহরহ ওয়ালেট রয়েছে। যেখানে খুব সহজেই এটা দেখা যায় যে আপনার একাউন্টে বা আপনার কত বিটকয়েন রয়েছে। আর সেই বিটকয়েন আপনি নেট ব্যাংকিং অথবা ওয়ালেট অ্যাপস এর মাধ্যমে অন্য ব্যক্তির সাথে ডিল করে সেটা লেনদেন করতে পারবেন। 

আর এই বিটকয়েন লেনদেন সম্পর্কে মূলত তৃতীয় পক্ষ জানেনা অর্থাৎ আপনি এবং আপনার ক্লায়েন্ট এর মাঝে যে বিটকয়েন লেনদেন করা হচ্ছে এটা মূলত আপনারা ছাড়া আর কেউ জানবে না। কেননা ট্রান্সসেকশন হিস্টরি সম্পর্কে কাউকে জানানো হয় না। আর ঠিক এই কারণেই কিছু কিছু দেশে বিটকয়েন ব্যবহার বৈধ নয়। 

বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ

এখন কথা হচ্ছে বিটকয়েন যেহেতু কিছু কিছু দেশে বৈধ নয় তাহলে বাংলাদেশে কি বৈধ? এ প্রশ্নের উত্তর যারা জানতে চান তাদের জন্য এই পয়েন্ট। বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ ২০২৩ সালের এর উত্তর হবে না। 

কেননা ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকার এটিকে অবৈধ হিসেবে ঘোষণা করে। আর থেকে কারণেই বিটকয়েন ব্যবহারের কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি এখনো পর্যন্ত আমাদের এই দেশ টিতে। অতএব আপনি যদি বিটকয়েন লেনদেন করেন তাহলে এটা বাংলাদেশী আইনে অবৈধ হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। 

বিটকয়েন কি হালাল

বিটকয়েন কি হালাল? উত্তর হবে না। কেননা ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিটকয়েন হারাম। অনলাইনে অর্থ বিনিময়ের মাধ্যম ভার্চুয়াল মুদ্রা বিটকয়েন ইসলাম ধর্মে হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছে মিশরের দাল আল ইফতা। আর এটার সত্যতা প্রমাণিত।

আর হ্যাঁ যাদের প্রশ্ন বিটকয়েন কেন ব্যবহার করা হয়? তাদের জন্য অতি সহজ উত্তর হচ্ছে– অনলাইন পেমেন্ট করতে এবং অনলাইনে যেকোনো ধরনের লেনদেন করতে বিটকয়েন ব্যবহার করা হয়। বিটকয়েন পিয়ার টু পিয়ার, নেটওয়ার্ক ভিত্তিক কাজ করে। আর তাই কোন ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড বা কোন সংস্থা ছাড়াই একে অপরের সাথে অর্থ লেনদেন করতে পারে বিটকয়েন ব্যবহারকারীরা। 

দ্রুত অর্থ উপার্জনের একটি অন্যতম সেরা মাধ্যম হয়ে উঠেছে এটি। আর তাইতো আজকাল অনেক লোক বিটকয়েন আদান-প্রদানের মাধ্যমে উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী হয়ে উঠছে এবং বিটকয়েন বিশ্বজুড়ে অর্থ প্রদানের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। 

তবে হ্যাঁ– অর্থ উপার্জনের সুযোগ থাকলেও এটা ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে অবৈধ। তো আপনারা যারা সৎ এবং হালাল পথে উপার্জন করতে চান তাদের জন্য বিটকয়েন নিষিদ্ধ। তাই আমরা সাজেস্ট করব বিটকয়েন এর ব্যবহার না করতে এবং এটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে কোনভাবেই জড়িত না থাকতে।

তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজ এ পর্যন্তই। আশা করি বিটকয়েন কি এবং বিটকয়েন এর কাজ কি আমাদের আজকের আলোচনার মাধ্যমে তাই সুস্পষ্ট। তো সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *